আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানবজমিনের জঘন্য রিপোর্টিং, একট ডেটিং স্পট কে বলা হল বেশ্যালয়।

মানবজমিনের একটি জঘন্য রিপোর্টিং। ঢাকার অদূরে একটি পরিচিত ডেটিং স্পট কে বলা হল বেশ্যালয়। এখনে নাকি অশ্লিল কাজ চলে। নৌকায় ভাড়ায় যুবকদের নারী সাপ্লাই দেয়া হয়, সাথে মদ আর নানা যৌন উপরকণ ..!! অতচ জানা কথা ভেড়িবাধ, বিরুলিয়া জেটি এলাকাটি সুপরিচিত ডেটিং স্পট। দুপুরে এখানে যারা আসে তাদের বেশির ভাগই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া স্টুডেন্ট।

বিকেলে সবাই আসে, মুক্ত বাতাসের খোঁজে। ফ্যামেলি সহও নৌকা ভ্রমনও হয়। স্পিডবোট, লঞ্চও আছে কিশোর-বালকের দলও নৌকা ভ্রমন করে, পানিতেও ঝাপ দেয়, এতে অনেকে পানিতে ডুবে মারাও গেছে কয়েকজন। এটা মোটেও বেশ্যালয় নয়, ভ্রমন স্পট কাম ডেটিং স্পট। নৌকা ভাড়া ১০০০ টাকা না।

২৫০ থেকে ৩০০। অন্যান্ন ডেটিং স্থানের মত এখানেও বাড়াবাড়ি হয়, তবে সীমানা অতিক্রম করেনা কখনো। ভেড়িবাধের কিছু নির্জন এলাকায় মাস্তানি, চাঁদাবাজি-ছিনতাইও হয়, এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যায়। কিন্তু অত্যন্ত নোংড়া মানসিকতার মানবজমিন জঘন্য ভাবে এটাকে উপস্থাপন করলো। প্রতিক্রীয়াশীল এই পত্রিকাটি দু বছর আগেও পরিকল্পিত ভাবে এ ধরনের একটি খবর ছেপেছিল।

"রমনা পার্কে ভাড়ায় পাওয়া যায় প্রেমিকা" সুধু কাছে যেয়ে অফার দিতে হয়। এই খবরটি এলাকাটিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে, রমনা পার্ক এলাকা প্রায় কাপলশুন্য হয়ে পড়েছিল। পার্ক এলাকায় ও সংলগ্ন রাস্তায় মেয়েদের একক চলাচলও ঝুকিপুর্ন হয়েযায়। মহিলা জগাররাও পার্কটি ও পার্ক সংলগ্ন রাস্তা এড়িয়ে চলতে থাকে। পার্কটি একটি ভুতুরে এলাকায় পরিনত হয়েছিল কয়েকদিনের জন্য।

পত্রিকাটির মতলবি প্রচারনা ২০০৪ এর জেএমবির কার্যক্রমের সাথে অনেকটাই মিলে। ২০০৪ এ জেএমবি ভ্যালেন্টাইন্সডের বিকেলে টিএসসি চত্তরে শতাধিক কাপলের উপর নৃশংশ বোমা হামলা চালিয়েছিল। পটেটো চিপসের মোড়কে বোমাটিতে বিশেষ ধরনের স্পিন্টার থাকায় বিপুল সংখক হতাহত হয়েছিল, রক্তে ভেসে গিয়েছিল টিএসসির চত্তর। পঙ্গু হয়ে গিয়েছিল অনেকেই। এর পর ঐ এলাকায় কাপলদের ঘোরাঘুরি অনেকদিন বন্ধ ছিল।

তার কিছুদিন আগে কোপানো হয়েছিল হুমায়ুন আজাদকে। মানবজমিন পত্রিকার মোটিভ জেএমবির কার্যক্রমের মত না হলেও উদ্দেশ্য ও লক্ষ একই। নোংড়া ভাবে ভয়ভীতি শৃষ্টি করে প্রেমিক যুগল বা একক পথচারি মেয়েদের মুক্ত চলাচল বাধাগ্রস্থ এবং বিপদ্গ্রস্থ করা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৮ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।