আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৈধ ও শালীন ২য় বিয়ের নিন্দা করে অশ্লীলতা, ব্যভিচার, পরকীয়া আর সমকামের সাপোর্ট দেয়, এরা কারা? ভালো মন্দের মাপকাঠিতে হুমায়ূন আহমেদের ২য় বিবাহ - পর্ব ৩

বিজ্ঞানের ক্লাসকে ধর্মের ক্লাস বানাবেন না। বিজ্ঞানের ক্লাসে কোন নিউটনের বাণীর প্রতি অন্ধ বিশ্বাস ও ভক্তি নিয়ে বসবেন না। প্রতি ক্ষেত্রে সন্দেহ করুন, প্রশ্ন করুন অবিরত। বিজ্ঞান কারো বাণী দিয়ে চলেনা। বিজ্ঞান চলে যুক্তি ও প্রমাণের উপর।

প্রতি লাইনে লাইনে প্রমাণ চ (এই পোষ্টটির কিছু জায়গায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় এডিট করা হয়েছে। তাই যারা আগে পড়েছেন তাদেরকে আবারও পড়ে দেখার আমন্ত্রণ রইলো) بسم الله الرحمن الرحيم সকল প্রশংসা আল্লাহর। অসংখ্য দরুদ নাযিল হোক তাঁর নবীর উপর বারবার। ১ম পর্ব ২য় পর্ব যারা প্রথম দুই পর্ব পড়েননি, তারা এই পর্ব পড়ে যে একেবারে বুঝবেন না এমন নয়। তবে সমালোচনামূলক মন্তব্য করতে চাইলে আমার অনুরোধ আগে প্রথম দুই পর্ব পড়ে নিন।

কেন আবার এই পুরানো বিষয়ে লিখলাম সেটা যারা সিরিজটি ভালো করে পড়বেন তাদের আর বুঝিয়ে বলতে হবে না। এই বিষয়ে অনেক আলোচনা হলেও এই আঙ্গিকে কোন আলোচনা আমার নজরে পড়েনি। এছাড়া চিন্তা করে এই সিরিজ পড়লে নবী সাহবীদের একাধিক বিবাহ, নবী(সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বালিকা বিবাহ,ইসলামের দাসপ্রথা ইত্যাদি নিয়ে আমাদের মনে কেন খটকা লাগে এবং এই খটকা লাগাটা যে একেবারে অযৌক্তিক তা বুঝতে পারবেন আশা করি। এখানে হুমায়ুনকে আনা হয়েছে শুধুমাত্র উদাহরণ হিসাবে। আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে যদি সত্যিই প্রয়োজন হয় তাহলে ২য় বিবাহ করা যে একজন পুরুষের বৈধ অধিকার, সেটা দেখানো এবং এই অধিকার তাদেরকে না দেয়ার কারণে সমাজে কিরকম অশান্তি হচ্ছে সেটা দেখানো।

যারা নিছক আবেগ নিয়ে চলেন, সমাজের চল আর প্রথাকেই যারা খোদার আসনে বসিয়েছেন তারা জানি শত যুক্তি দিলেও এটা মানবেন না। আর ভাবার কোন কারণ নেই যে আমি একাধিক বিবাহকে উৎসাহিত করছি। ১৪ নং মন্তব্যটি পড়ুন, তাহলেই বুঝবেন। এবার আসেন আমরা ভালো খারাপের মানদণ্ড নিয়ে আমার আগের দুই পর্বের লেখায় যা আলোচনা করলাম সেই আলোকে বিচার করে দেখি হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় বিবাহকে, এবং ইতিহাসের আরো যারা ২য় বা আরো বেশী বিবাহ করেছে তাদেরকে। ১ম পর্বে যা বলেছিলাম সেটার সারাংশ যা দাঁড়ায় তা এই যে আমরা মোটামুটি তিন ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে কোন কাজকে ভালো খারাপ বলি বা ভালো খারাপ হিসাবে নির্ধারণ করি।

১- ধর্ম দিয়ে নির্ধারণ ২- সামাজিক প্রথা দিয়ে নির্ধারণ ৩- নাস্তিকদের নির্ধারণ (হতে পারে সেটা যুক্তি দিয়ে বা অন্য কিছু দিয়ে) তো যারা মুসলমান তারা তো তাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই ব্যাপারে টুঁ শব্দটিও করতে পারেন না। কেননা খোদ আসমান জমীনের স্রষ্টা আল্লাহ্‌ই শর্ত সাপেক্ষে চারটি বিবাহের অনুমতি দিয়ে রেখেছেন পূর্বের স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই। ভালো করে বুঝে নিন শর্তসাপেক্ষে শুধু অনুমতি আছে কিন্তু কোন উৎসাহ দেয়া হয়নি। মুসলমানের কাছে সেটাই বৈধ যেটা আল্লাহ্‌ বৈধ করেছেন; সেটাই ভালো যেটা আল্লাহ্‌ ভালো বলেছেন। তার নিজের মন কি বললো, তার সমাজ কি বললো ; আল্লাহ্‌র ফায়সালার পর এসবের পাই পরিমাণ কোন মূল্য নেই।

আর নাস্তিকদের এ ব্যাপারে কথা বলা তো চরম হাস্যকর ব্যাপার। হুমায়ূন তো কারো কোন ক্ষতি করেন নি। নাস্তিকদের মতে তো যে কেউ যে কোন কাজ করতে পারে, যদি অপরের কোন ক্ষতি না হয়। নাস্তিকদের কাছে তো লিভ টুগেদার, সমকাম সব বৈধ, আর হুমায়ূন তো এগুলো করেননি, উনি তো বিয়ে করে নিয়েছেন। চালুনি বলে সুঁই তর পিছে কেন ছিদ্র।

আসলে তাদের ভাব দেখে যা মনে হয় সেটা হলো, তারা বিয়ে করার বিরুদ্ধে লেগেছে। কেউ একাধিক বিয়ে করে বৈধ পন্থায় যৌন চাহিদা মিটাতে গেলে তাকে তারা নারীলোভী, কামুক বলে গালি দেয়, পক্ষান্তরে লিভ টুগেদার করলে , সমকাম করলে এটাকে লম্পটরা ব্যাক্তি স্বাধীনতা, আধুনিকতা ইত্যাদি বলে প্রচার করে। ঐ যেমন নাকি মুসলমানরা পৃথক রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করলে আমেরিকা বলে যে এরা বিচ্ছিন্নতাবাদী, সন্ত্রাসী; আর খ্রিষ্টানরা পৃথক রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করলে আমেরিকা বলে যে এরা স্বাধীনতাকামী, এদের স্বাধীনতা দেয়া হোক। তারা সমকামকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে বলে, আর ২য় বিবাহের মত একটি চিরবৈধ ও শালীন কাজকে কামুকতা বলে প্রচার করে। অথচ কোন পুরুষের যদি প্রয়োজন থাকে তাহলে ২য় বিবাহ করা তার অধিকার।

এখানে কোন লম্পটের নাক গলানোর কোন অবকাশ নেই। উপরের দুই ভিত্তিতে পাস করার পর রইলো সামাজিক প্রথার ভিত্তি। যাদের নিজস্ব কোন বিচার বিবেচনাবোধ নাই, যুক্তি দিয়ে যারা কোন কিছু বিচার করতে জানেনা, সাধারণত তারাই মূর্খ সমাজের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়ে সমাজের প্রথা ও চল দিয়ে ভালো খারাপ নির্ধারণ করে। এরা সাধারণত বদ্ধ মানসিকতার ও একরোখা মেজাজের হয়। যাইহোক সামজিক প্রথাকে হিসাবে আনলে বলতে হয় যে, কিছুদিন আগেও তো এই উপমহাদেশে হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা একাধিক বিবাহের প্রথা ছিলো।

। এখনো তো একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায় নি। আর সামাজিক প্রথা রক্ষা করতে হবে এটাই বা কে বললো? তাহলে তো যারা আগের হাজার বছরের প্রথাকে ভেঙ্গে এই নতুন প্রথা চালু করেছেন তারাই চরম অন্যায় করেছেন । তাই বলতে পারি হয়তো হুমায়ূন এই অন্যায় প্রথাকে দূর করে আগের ভালো প্রথাকে ফিরিয়ে আনার জন্য এই কাজ করেছেন। কত মানুষ কত লাইনে সামাজিক প্রথা ভাঙছে তার কোন খবর নাই, সবাই লাগছে এই বিবাহের পিছনে।

অথচ এটাকে ১ম স্ত্রী ও সমাজ স্বাভাবিকভাবে, উদারচিত্ততার সাথে মেনে নিলে কত পারিবারিক অশান্তি শেষ হয়ে যেত, সেটা কেউ চিন্তা করে না। তার উপর কথা হলো বর্তমানের এই মূর্খ, অর্বাচীন, লম্পট, ধর্ষক, খুনী, সন্ত্রাসী সমাজের কোন প্রথারতো কানা কড়ি মূল্যও নাই, মানারতো কোন প্রশ্নই আসেনা। এই সমাজের প্রথাইতো আমাদের মা বোনদেরকে শেষ করে দিচ্ছে, ধর্ষিতা বানাচ্ছে, বেশ্যা বানাচ্ছে, রাস্তার মজদুর বানাচ্ছে। শত ধিক আর থুতু মারি এই সমাজকে আর তার প্রথাকে। (হুমায়ূনতো সমাজের মাপকাঠিতে পাস করেননি, যদিও তাতে কিছুই যায় আসেনা; কিন্তু নবীরা ও সাহাবীরা কিন্তু এই তিন মাপকাঠিতেই ১০০ ভাগ পাস।

কারণ তাদের সমাজে বহু বিবাহ মোটেই কোন খারাপ কিছু ছিলোনা। এখান থেকেই বুঝে নিন হযরত সোলায়মান (আঃ) এর ১০০ জন স্ত্রী ছিলো শুনলে যে আপনার মনটা কেমন কেমন করে, মুখের কোণে বাঁকা হাসি ফুটে; এটা নিছক মূর্খতা আর সমাজের পূজা করার কারণে হয়। নবীরা কামুক নয়, যারা তাদের সমালোচনা করে তারাই সব বিশ্ব লম্পট ও কামুক; এবং তারা পুরা সমাজকে লম্পট বানাতে চায়, এজন্য তারা কোমর বেঁধে এই চির বৈধ ও শালীন বিয়ে ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লেগেছে। ) এখানে ক্লিক করে দেখুন। সোলায়মান (আঃ) এর ব্যাপারটি আরো ক্লিয়ার হবে এই পোষ্টের শেষের দিকের আলোচনা দ্বারা।

ইংরেজরা ছিলো অতি ধুরন্ধর। তাদের সমাজ বিজ্ঞানীরা সাধারণ মানুষের মন মানসিকতা, চিন্তাধারা খুব ভালো করে স্টাডি করেছিলো। তারা বুঝেছিলো যে বেশীরভাগ মানুষই সমাজ যেটাকে ভালো বলে সেটাকে ভালো বলবে এবং সমাজ যেটাকে খারাপ বলে সেটাকে অন্ধভাবে খারাপ বলবে। বেশিরভাগ মানুষই তলিয়ে দেখবে না যে, সমাজ যেটাকে নিন্দনীয় বা খারাপ বলছে সেটা কি আসলেই খারাপ কিনা বা সমাজের মানুষ এটাকে কিসের ভিত্তিতে খারাপ বলছে। আর দু'একজন তলিয়ে দেখলেও সে সমাজের নিন্দার ভয়ে সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলবে।

তাই তারা পরিকল্পনা করলো যে একাধিক বিবাহ, বাল্য বিবাহ ইত্যাদিকে মুসলিম সমাজে যেভাবেই হোক ধীরে খারাপ হিসাবে তুলে ধরতে হবে। এরপর এটা যখন মানুষের মনে গেঁথে যাবে তখন এক সময় তারা নবীদেরকেও একাধিক বিবাহের কারনে খারাপ বলা শুরু করবে। এই সুচতুর সুগভীর ষড়যন্ত্রে যে তারা সফল হয়েছে তার প্রমাণ আজকের যুগের মানুষদের নবীদের ব্যাপারে এসব প্রশ্ন করা। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে রক্ষা করুন। মোটকথা ভালো খারাপ নির্ধারণের কোন মাপকাঠিতেই আপনি তার এই ২য় বিবাহকে খারাপ বলতে পারেন না, নিন্দা করা তো অনেক দূরের কথা।

(ঠিক তেমনি ইতিহাসের আরো যারা বহু বিবাহ করেছেন ) কিন্তু অর্বাচীন, মূর্খ , অসভ্য আর বদ্ধ মানসিকতার লোকেরা কোন কিছু না বুঝেই, কেউ ২য় বিবাহ করলে তার নিন্দা শুরু করে দেয়। ঐ চিলে কান নেয়ার মত ছোট বেলা থেকে শুনে আসতেছে মূর্খ সমাজের মূর্খ লোকের প্রচারণা যে, একাধিক বিবাহ খারাপ; ব্যস, খারাপ। কেন খারাপ? কে বললো খারাপ? কিসের ভিত্তিতে বললো খারাপ? ইত্যাদি কোন কিছু চিন্তা না করে তারা সেটাকে মেনে নিলো। বাড়তি যৌন চাহিদা পূরণের জন্য ২য় বিবাহের মত একটা চির শালীন ও বৈধ পন্থার কথা কেউ অবলম্বন করেছে শুনলে এদের মাথায় যেন একটা অন্ধ ও বয়ড়া ভূত চেপে বসে, আর সভ্যতা ও ভব্যতার সীমা ছাড়িয়ে আর একজন মানুষের নির্দোষ ব্যাক্তি জীবন নিয়ে নোংরা সমালোচনা করতে থাকে। অথচ সমাজে যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে কত মানুষ যে কত লাম্পট্য করছে সেখানে সব ভেজা বেড়াল।

একদিকে ২য় বিবাহের নিন্দা করে মানুষকে তা থেকে আটকে রাখা হচ্ছে, আবার অন্যদিকে অশ্লীল সিনেমা , নাটক দেখিয়ে; অশ্লীল বই, পত্রিকার বিস্তার ঘটিয়ে এবং প্রগতির নামে , নারী অধিকারের নামে সুন্দরী নারীদেরকে ঘরের বাহিরে এনে মানুষের যৌনতাকে উস্কিয়ে দেয়া হচ্ছে। তখন অটোমেটিক মানুষ তার যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য চুপি চুপি লাম্পট্যময় কাজের দিক এগিয়ে যাচ্ছে। একদিকে বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, আবার অন্যদিকে যুবক যুবতীদের যৌনতাকে উস্কে দেয়ার জন্য যা যা করা দরকার সব করছে। ফলে তারা এখন প্রায় প্রকাশ্যেই লাম্পট্য শুরু করেছে। প্রাইমারীর ছেলে মেয়েরা পর্যন্ত অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িয়ে যাচ্ছে।

তখন এরা মুখে কুলুপ দিয়ে বসে থাকে, বা বলে যে, আরে এই যুগের ছেলে মেয়েরা এগুলো একটু করবেই। এই নাস্তিকরা হলো শয়তানের দোসর। এরা চায় সমাজ থেকে লজ্জা শালীনতা উঠিয়ে দিয়ে সমাজে অশ্লিলতা, ব্যাভিচার আর লাম্পট্য ছড়িয়ে দিতে। বাড়তি যৌন চাহিদা পুরণের বৈধ ও শালীন পন্থাকে সামাজিক চাপ প্রয়োগ করে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, আর সর্ব দিকে থেকে যুবক যুবতীদের যৌনতাকে উস্কে দেয়া হচ্ছে যাতে সে অবৈধ পন্থায় , লাম্পট্য করে তার যৌন চাহিদা মিটায়। আল্লাহ আমাদের এদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করুন।

এবার আসুন দেখি ২য় পর্বে আমরা যা আলোচনা করলাম সেই আলোকে হুমায়ূনের ২য় বিবাহকে বিচার করি। ২য় পর্ব না পড়ে থাকলে , আমার অনুরোধ তা একবার পড়ে দেখুন। কথা দিচ্ছি আপনার সময় নষ্ট হবেনা। তো ২য় পর্বে আমরা দেখেছি যে আমরা কারো সমালোচনা করতে গিয়ে মোটামুটি চারটি ভুল করি। আসুন দেখি আমরা হুমায়ূনের সমালোচনা করতে গিয়ে এই চারটি ভুলের কয়টি করলাম।

১নং ভুলঃ হুমায়ূন ২য় বিয়ে করেছেন, এটা হলো তার একটা কাজ। এখন কথা হলো এই কাজের পিছনে উদ্দেশ্য কি ছিলো তার? ভালো উদ্দেশ্য যেমন থাকতে পারে, তেমনি খারাপ উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। কিন্তু আমার আপনার সেটা নিশ্চিতভাবে বুঝার কোন উপায় আছে কি? নেই; একদম নেই। আমরা শুধু তার সার্বিক অবস্থা দেখে আন্দাজ করতে পারি। কারো মনের কথা নিশ্চিত করে বলা কোনদিন কারো পক্ষে সম্ভব নয়।

কিন্তু সমালোচনাকারীরা সম্পূর্ণ বিনা প্রমাণে এটাই নিশ্চিত ধরে নিচ্ছেন যে, হুমায়ূন তার যৌন লালসা মিটানোর জন্য বিবাহ করেছেন। (তেমনি তারা ধরে নিচ্ছে আমাদের প্রিয় নবীজী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ক্ষেত্রেও, অথচ তাদের এই ধরে নেয়াটা নবীজীর সার্বিক অবস্থার সাথে মিলেনা, তাদের এই ধরে নেয়াটা একেবারে প্রমাণহীন। সম্পদের লালসা ও বিবাহ Vs মুহম্মদ (সা).. সামুরাইয়ের যুক্তিখন্ডন ) পড়ুন এই পোষ্টের ১০ ও ১১ নং কমেন্ট। ভালো করে খেয়াল করুন, আমি আপাতত এখানে সমালোচনাকারীদের একথা ঠিক ধরে নিয়ে তাদের ভুল ধরলাম যে, যৌন লালসা মিটানোর জন্য বিবাহ করা খারাপ। এটাকে বলে তাসলিমী জবাব।

একটু পরে আমি দিবো ইনকারী জবাব। সেখানে দেখাবো যে ,আসলে যৌন লালসা বা চাহিদা মিটানোর জন্য বিবাহ করাকে খারাপ বলাও নিছক মূর্খতা। যৌন লালসা বা চাহিদা মিটানোর জন্য বিবাহ করা খারাপ হলে একটা বিবাহও করতে পারবেন না। সবাই বিবাহ সাদী বাদ দিয়ে জঙ্গলে গিয়ে থাকেন। আরে মিয়া কারো যৌন ক্ষমতা যত বেশীই থাকনা কেন,সে যদি বৈধ পন্থায় তা পূরণ করে,তাহলে কখনো বলা যাবেনা যে সে তার লালসা চরিতার্থ করেছে,বরং বলতে হবে,সে তার অনিবার্য প্রয়োজনকে শালীন ও বৈধ পন্থায় পূরণ করেছে।

কেউ যদি তার যৌন চাহিদা অবৈধ পন্থায় পূরণ করে (ব্যাভিচার করে,সমকাম করে ইত্যাদি),তখন সেটা লালসা চরিতার্থকরন বা কামুকতা হবে। কারো যদি যৌনশক্তি অন্য কারো থেকে বেশী থাকে, কিন্তু এটা তার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সে কোন ব্যাভিচার বা ধর্ষণ না করে, তাহলে এটা তার একটা বিশেষ গুণ বলেই মানব ইতিহাসে বিবেচিত হয়ে আসছে। এটাকে কোন দোষ ভাবা ,চরম মূর্খতা ছাড়া কিছু নয়। আয়োডিনের অভাব না থাকলে কেউ এটাকে দোষ ভাবতে পারেনা। এটা যদি গুণ না হতো তাহলে সবাই যৌনশক্তি কমানোর জন্য ডাক্তারের কাছে যেতো,বাড়ানোর জন্য যেতোনা।

এছাড়া পুরুষত্ব বা যৌনশক্তি বেশী থাকা মানে এই নয় যে শুধু এই গুণটাই বেশী। বরং পুরুষত্ব বা যৌনশক্তি বেশী থাকলে তার স্বাস্থ্য, বুদ্ধি, স্মরণশক্তি, বিপদে অবিচলতা, ব্যাক্তিত্ব, নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইত্যাদি অনেক কিছুই তার বেশী থাকবে। না জানলে নেটে সার্চ দিয়ে জেনে নেন। ( আর নবীরা যে শুধু চারিত্রিকভাবে অন্য মানুষদের থেকে শ্রেষ্ঠ হতেন এমন নয়, বরং তাঁরা শারীরিক দিক থেকেও গড়ে অন্য মানুষদের থেকে শ্রেষ্ঠ হতেন। ) ২নং ভুলঃ হতে পারে হুমায়ূন কোন ঠেকায় পড়ে অপারগ হয়ে এই বিয়ে করেছেন, কিন্তু কোন বিশেষ কারণে তার অপারগতাটি কি ছিলো,তা তিনি প্রকাশ করেননি।

৩নং ভুলঃ হতে পারে ২য় বিবাহের ব্যাপারে হুমায়ূন আমাদের এই ফালতু সামাজিক প্রথার সাথে একমত ছিলেন না, সোজা কথায় তিনি এটাকে কোন খারাপ কাজ মনে করতেন না। আর কোন ব্যাপারে যে কেউ যে কোন মত রাখতে পারে । এটা প্রত্যেক মানুষের অধিকার। সুতরাং এ ব্যাপারে তাকে নিন্দা করা একেবারে সংকীর্ণ, গোঁরা আর বদ্ধ মানসিকতার পরিচয়। আর আগেই বলেছি মানব ইতিহাসের কোন সভ্য সমাজেই এটা খারাপ ভাবা হতোনা।

বর্তমানের এই মূর্খ, অর্বাচীন, লম্পট, ধর্ষক, খুনী , সন্ত্রাসী সমাজের এটাকে খারাপ ভাবার দ্বারা কিছুই যায় আসেনা। ৪নং ভুলঃ (এই পয়েন্টটি বুঝতে হলে ২য় পর্ব থেকে এই জায়গাটা পড়ে আসতে হবে)এই ঘটনার অন্তরালে হয়তো এমন ঘটনা রয়ে গেছে, যা জানলে আমরাও বুঝতে পারবো যে, হুমায়ূন আসলে কোন অন্যায় কাজ করেন নি। কিন্তু সেটা এখন আর কি জানা সম্ভব। আচ্ছা হুমায়ূন বেঁচে থাকতে কি তাকে এই ব্যপারে কেউ জিজ্ঞাসা করেছিলো? আমার জানা নেই। আরেকটা কথা হলো, এই যে আপনি কারো কোন কাজ দেখে তার উদ্দেশ্য আন্দাজ করবেন, এটা কিন্তু আপনি আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে করবেন, নিজের জীবনের ঘটনাবলীর আলোকে আন্দাজ করবেন।

যদি এমন হয় যে আপনিও এই কাজটি উনি যেই উদ্দেশ্যে করেছেন সেই উদ্দেশ্যেই কোনদিন করেছিলেন, তাহলে হয়তো আপনার আন্দাজ আপনার অজান্তেই ঠিক হতে পারে। কিন্তু যদি এমন হয় যে, উনি যে উদ্দেশ্যে কাজটি করেছেন সেটা আপনার অভিজ্ঞতা থেকে দূরে তাহলে কিন্তু আপনি কোনদিনও সঠিক আন্দাজ করতে পারবেন না। যে ক্যাল্কুলেটর ১০০০ পর্যন্ত হিসাব করতে পারে আপনি যদি সেটা দিয়ে আরো বড় সংখ্যা হিসাব করতে চান তাহলে তা কখনো সম্ভব নয়। এই সংক্ষিপ্ত কথা থেকে বুঝে নিন যারা বলে যে, হুমায়ূন আহমেদ শেষ বয়সে কিশোরী নারীর প্রতি যৌন লালসায় পড়ে শাওনকে বিবাহ করেছেন, তারা কত অন্যায় কথা বলেন। হুমায়ূন বিয়ে করেছেন এই কাজটি প্রকাশমান, কিন্তু বিয়েটা উনি কেন করলেন সেটা উনার মনে রয়েছে।

আর কারো মনের ভিতর কি আছে সেটা আমি আপনি কখনোই বলতে পারবো না। যে নিজে লম্পট বা লম্পট সমাজে যে বাস করে সে হয়তো নিজের উপর অনুমান করে চরম অবিবেচকের মত হুমায়ুনকেও লম্পট বলতে পারে, কিন্তু সামান্য বিবেচনা বোধ যার আছে এমন কেউ তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেন না শুধু এই হিসাবে যে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন, তাও একজন কিশোরীকে। এতটুকু পড়েও যদি কেউ নবী(সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে আয়েশা (রাঃ) এর বিবাহের ব্যাপারে নাস্তিকদের আপত্তির জবাব বের করতে না পারে তাহলে আমার কিছু বলার নেই। এতক্ষণ ধরে আমি তাসলিমী জবাব দিলাম অর্থাৎ নাস্তিকদের এই কথা তর্কের খাতিরে ঠিক ধরে জবাব দিলাম যে, যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য বিবাহ করা দোষনীয়, এবং দেখালাম যে হুমায়ূনের ক্ষেত্রে বা অন্য কারো ক্ষেত্রে এটা বলা যে তিনি যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য বিয়ে করেছেন এটা বিবর্তনবাদের মত একদম প্রমাণহীন কথা; আর খোদ ইসলামের নবীর ক্ষেত্রে এটা বলা চরম পর্যায়ের প্রমাণহীন মূর্খতাকীর্ণ কথা। এখানকার পোষ্টের ১১ নং কমেন্টটি পড়ুন ।

নীচে থেকে শুরু হলো ইনকারী জবাব অর্থাৎ দেখাবো যে তাদের যুক্তির এই ভিত্তিটাই ঠিকনা। এবার আসেন আসল কথায়। ধরেন কেউ যৌন চাহিদা মিটানোর জন্যই বিবাহ করলো। তো এতে কি হয়েছে? এজন্য কি আপনি তাকে নারী লোলুপ বলতে পারেন? কখনোই পারেন না। আরে ভাই লোভ কাকে বলে এটা আমাকে বলেন।

কারো দুই রুটি খেয়ে পেট ভরে না, কারো ভরে যায়। এখন যে দুই রুটি খায় সে কি যে চার রুটি খায় তাকে পেটুক বলতে পারে?খাদ্য লোভী বলতে পারে?না। পারে না। ভালো করে খেয়াল করুন, ১-যে প্রয়োজনের চেয়ে বেশী খায় সে হলো পেটুক। ২-যে পেট ভরে যাবার পরেও শুধু জিহ্বার মজার জন্য খায়,প্রয়োজনের চেয়ে বেশী বেশী খায়, নিজেরটা খেয়ে আবার অপরের খাবারের দিকে চেয়ে থাকে সে হচ্ছে লোভী, ছোঁচা।

৩-যে অপরের খাদ্য না কিনে,না বলে খেয়ে ফেলে সে হচ্ছে চোর। ৪-আর যে ক্ষুধার্ত অবস্থায় টাকা ও খাবার থাকা সত্ত্বেও খাবার কিনে না খেয়ে উপোস থাকে সে হচ্ছে নির্বোধ। এ কথা যদি বুঝে থাকেন তাহলে শুনুন, পেটের ক্ষুধার মত যৌন ক্ষুধাও একটি ক্ষুধা। পেটের ক্ষুধার মত এটাও স্বাভাবিক একটি শারীরিক চাহিদা। পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য যেমন আল্লাহ পাক খাদ্যের ব্যবস্থা রেখেছেন, তেমনি নারী ও পুরুষের যৌন ক্ষুধা মিটানোর জন্যও আল্লাহ ব্যবস্থা রেখেছেন।

সব মানুষের খাবারের চাহিদা এক সমান হয় না। একজন চারফুট লম্বা মানুষের যতটুকু খাবারের চাহিদা , একজন ছয় ফুট লম্বা বিশালদেহী মানুষের চাহিদা নিশ্চয়ই বেশী হবে। ঠিক এরকম মানুষের যৌন চাহিদাও একেক জনের একেক রকম। এটা শারীরিক গঠন, বংশগতি, আবহাওয়া, দেশ ইত্যাদি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। এখন কারো যদি শরীরের যৌন চাহিদা বেশী থাকে,তাহলে আপনি আমাকে বলেন এতে কি তার নিজের কোন হাত আছে?নেই, কোন হাত নেই।

এটা সম্পূর্ণ খোদা প্রদত্ত বা নাস্তিকদের ভাষায় প্রকৃতি প্রদত্ত। আর একটু আগে দেখিয়েছি এটা তার একটা বাড়তি গুণ। আপনার নিজের মনের মধ্যে লাম্পট্য থাকলেই আপনি অন্য কারো(সাধারণ মানুষ বা নবী) শরীরে বাড়তি শক্তি আছে, এটা শুনে বাঁকা হাসি হাসতে পারেন। এবার আগের খাবারের উদাহরণের সাথে নীচের কথাগুলো মিলান ১-আপনার শরীরের যৌন চাহিদা কম বলে আপনার হয়তো এক স্ত্রীতেই কাজ চলে যায়, তাই বলে যার যৌন চাহিদা বেশী সে যদি দুই বা তিন বা চারটি বিবাহ করে তাহলে আপনি তাকে নারী লোভী বলতে পারেন না। যেমন নাকি আপনার দুই রুটিতে ক্ষুধা মিটে গেলেও যার চার রুটি খাওয়া প্রয়োজন তাকে খাদ্য লোভী বলতে পারেন না।

২-যে, এক স্ত্রী দ্বারাই তার শরীরের যৌন চাহিদা মিটে যাবার পরও আরো বিবাহ করে তাকে হয়তো কোন ক্ষেত্রে আপনি লোভী বলতে পারেন,কিন্তু এটা তো শুধু সেই জানতে পারে আসলে তার প্রয়োজন আছে নাকি নাই? এখানে আপনি আমি হাত দেয়ার কে? এর উপর আগের কথা তো খেয়াল রাখতে হবেই যে, যৌন চাহিদা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যেও সে বিবাহ করতে পারে, যেটা শুধু তাকে জিজ্ঞাসা করেই জানা সম্ভব। ৩-আর যে বিবাহ না করে যৌন চাহিদা মিটায় সে হচ্ছে লম্পট, ব্যাভিচারী বা ধর্ষক, যেমন নাকি যে অপরের খাবার খায় না কিনে সে হচ্ছে চোর বা অন্যকিছু। এখন ব্যপার হয়ে গেছে উল্টা। লম্পটরাই এখন যারা বৈধ পন্থায় যৌন চাহিদা মিটাচ্ছে তাদেরকে লম্পট, কামুক বলে নিন্দা করছে। ৪-আর যে তার শরীরে বাড়তি যৌন চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এবং বিয়ে করার সুযোগ , সামর্থ্য ও প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজন পরিমাণ বিয়ে না করে একজন নিয়ে কষ্ট করে থাকে সে হচ্ছে ঐ ব্যক্তির মত বোকা যে ক্ষুধার্ত অবস্থায় টাকা থাকা সত্ত্বেও শুধু দুই রুটি খেয়ে বাকী ক্ষুধা পেটে নিয়ে বসে থাকে আর মানুষের খাবারের দিকে চেয়ে থাকে।

যেকোন দুর্বল মুহূর্তে এই লোকের দ্বারা অঘটন ঘটে যেতে পারে, ঘটছে। ৫-আর যে সমাজ হুমায়ুনকে নিন্দা করলো তারা হচ্ছে চরম অর্বাচীন, পরোক্ষভাবে নারী নির্যাতনকারী, শিশু হত্যাকারী। এই নিন্দার ফলে কি হবে? অন্য নামকরা লেখকরা, সাধারণ মানুষরা, এমনকি এই নিন্দাকারীরা দ্বিতীয় বিয়ে করার প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লোকনিন্দার ভয়ে বিয়ে করবে না। কেউ হয়তো পেটে ক্ষুধা নিয়ে বসে থাকবে, মরণ পর্যন্ত কষ্ট করবে। কিন্তু অনেকেই যাদের চাহিদা বেশী সে কিন্তু ঠিকই গোপনে তার ক্ষুধা মিটিয়ে নিবে, নিচ্ছে।

পুরুষ মানুষের যৌন চাহিদার এই বাস্তব বিষয়টি অযথা গোঁড়ামি করে মেনে না নেয়ার কারণে সমাজে কত অন্যায় হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। হচ্ছে পরকীয়া, হচ্ছে ব্যাভিচার, হচ্ছে ধর্ষণ। বাড়ছে পারিবারিক কোন্দল, ভাঙছে সংসার, হচ্ছে আত্মহত্যা। ছোটবেলা থেকে নিজের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মাঝে দেখে আসছি এই পারিবারিক কোন্দল। গত এক বছরের পেপার ঘাটলে দেখা যাবে কত কত প্রাণ ঝরে গেছে এই কোন্দলে।

অথচ স্ত্রী ও সমাজ যদি আধুনিকতা ও উদারতার সাথে স্বামীর ২য় বিবাহকে বা প্রয়োজনে আরো বেশী বিবাহকে মেনে নিত তাহলে এই ঝগড়া বিবাদ, কোন্দল কিছুই তেমন হত না। ২য় বিবাহকে মেনে না নিয়ে আমাদের কি লাভ হয়েছে? সেইতো পরকীয়া করতে গিয়ে ১ম স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য, ঝগড়া বিবাদ হচ্ছেই, সেইতো সংসার ভাঙছেই। সেইতো স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে খুন করছেই,সেইতো মা তার সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করছেই। হচ্ছে আরো শত নিদারুণ ঘটনা। এরচেয়ে ভালো কি এই নয় যে আমরা সংকীর্ণতা পরিহার করে পুরুষের যৌন চাহিদা পূরণের জন্য একাধিক বিবাহের এই বৈধ , শালীন ও নিয়ন্ত্রিত বাস্তব চাহিদাকে মেনে নেই? এই শালীন ও বৈধ জিনিস মেনে না নেয়ার কারণে কিন্তু আমাদেরকে মেনে নিতে হচ্ছে লাম্পট্য, বিচ্ছেদ, অশান্তি, আত্মহত্যা ইত্যাদি কত কি।

যার ক্ষুধা বেশি লেগেছে তাকে যদি খাবার দেয়া না হয় তাহলে তো সে একসময় অসহ্য হয়ে চুরি ছিনতাই করবেই। একটা বুড়া মানুষ ধর্ষণ করেছে এই খবরে আমরা নিন্দার ঝড় বইয়ে দেই, কিন্তু চিন্তা করি না যে আমরাইতো তাকে এই কাজে বাধ্য করেছি। একদিকে লোকনিন্দার ভয়ে সে বিয়ে করতে পারেনি, যৌন চাহিদাকে দমিত করে রেখেছে অনেক দিন মূর্খ সমাজের নিন্দার ভয়ে, আরেকদিকে এই লম্পট সমাজ সুন্দরী ললনাদেরকে তার চোখের সামনে নাচিয়েছে,হাসিয়েছে; তো কত আর সহ্য করা যায়, অবশেষে ভেঙ্গে যায় ধৈর্যের বাধ কোন এক নির্জনতায়, কোন এক দুর্বল মুহূর্তে। আমি মনের ভাবটি হয়তো গুছিয়ে লিখতে পারলাম না। কিন্তু চিন্তাশীল পাঠক আশা করি বুঝে নিবেন।

কমপক্ষে ১নং কমেন্ট ও তার জবাব পড়ুন। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।