আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই পাগলদের থেকে দূরে থাকুন

কি আর বলব কিছু লিখলেই হয় ছাগু না য় ভাদা বইলা গালি খাইতে হইব......। তয় আমি যা সত্য তাই লেখুম কারন আমি ভাদা ও না ছাগু ও না, আমি বাংলাদেশী। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ১৩ নম্বর বাস বাসে করে নীলক্ষেত যাচ্ছিলাম। উদ্দেশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের TSC। এমনিতেই প্রচন্ড জ্যাম সাথে পাল্লা দিয়ে গরম, তার উপর বসেছি আবার জানালার পাশে! রোদের পুরো তাপে চান্দিতে ডিম পোচ করা যাবে অবস্থা! কোনোমতে দাতে দাত চেপে টাইট হয়ে বসে আছি, এই পরিবেশেও কিছু চু-নাগরিক (যারা টিভি টক শোগুলিতে যেতে না পেরেও একটুও দমে না গিয়ে টি স্টল, বাস স্ট্যান্ড, বাসের ভেতর, অফিস এর ভেতর ও অফিস ব্রেকে টক শোর মঞ্চ তৈরি করে লেগে পরে সরকার ও বিরোধী দলের গুষ্ঠি উদ্ধার করতে) দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাপমাত্রা বারানো-পরিবেশ নষ্ট-মেজাজ এর ১২টা বাজানো ছাড়া আর কোনো উপকারে আসছিলো না! শেষে হেডফোন কানে গুজতে বাধ্য হলাম! ঢাকা কলেজের সামনে আসার পর আর পারলাম না! হেডফোন খুলে নেমে পরলাম বাস থেক। ২-১ কদম ফেলতে না ফেলতেই হৈচৈ আর কান্নার আওয়াজ পেয়ে পেছনে ফিরতেই দেখলাম বেশ জটলা। এগিয়ে গিয়ে দারাতেই মিনিটের মাঝেই বুঝে ফেললাম ঘটনা! পকেটমার ধরা পরেছে! বেদম উত্তম-মাধ্যম চলছে! ঐ বেটাও সমানে মার খেয়ে চেচাচ্ছে। যার পকেট মারতে গিয়ে ধরা পরেছে তার চেহারা আর সাইজ দেখে আমি নিজেই একটা ঢোক গিললাম আর ঐ পকেটমারের কথা ভেবে তো আত্মা শুকিটে গেলো! তার উপর মানিব্যাগের মালিকের সাথেও লোক ছিল ২/১ জন তারাও হাত চালাচ্ছে সমানে! কিছু সময় পর এক বৃদ্ধমত চাচা (হতে পারে ঐ পকেটমারের দলের লোক) জিজ্ঞেস করল কয় টাকা ছিলো মানিব্যাগে? মানিব্যাগের মালিক মার থামিয়ে বলল- ৫/৬'শ টাকা। চাচা জোরে জোরে কথা বলছিলো, বলল- মাত্র এই কটা টাকার জন্যে এত মারাতাছেন? মানিব্যাগের মালিক একটু রেগে গিয়ে বলল- মানে কি? কি কইতে চান? চাচামিয়া বলল মাত্র ৫/৬'শ টাকার জন্যে এত মারতাছেন? পুলিশে দিয়া দ্যান! মানিব্যাগের মালিক আরো ক্ষেপে গিয়ে বলল- ঐ মিয়া ৫/৬'শ টাকা কি টাকা না? হাওয়ায় উড়ে নাকি ৫/৬'শ টাকা? আপনে পাগল নাকি? চাচা মিয়া এরপর যা উত্তর দিল তার জন্যে আমি প্রস্তুত ছিলাম না! বলল- ৪ হাজার কোটি টাকা যদি মাত্র হ্য় তাহলে ৫/৬'শ টাকা আর কি এমন টাকা বাবা? তাছাড়া তোমার টাকাতো হারায় নাই! আর পাগলের কথা বললা? আবুলের মত অত শিক্ষিত লোকে ৪ হাজার কোটি টাকারে মাত্র বললে কিছু যায় আসে না আর আমি ৫/৬'শ টাকারে মাত্র বইলাই পাগল? এইবার আমি বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিকের মত আমার গাঢ় কালো সানগ্লাসটা চোখে পরলাম, কানে হেডফোন দিলাম, হাত ২ টা পকেটে দিয়ে সোজা হাটতে শুরু করলাম! কারন এই দেশে থাকতে হলে চোখে দেখা যাবেনা, অতিরিক্ত কিছু শোনা যাবে না, হাত দুটো বেধে রাখতে হবে! তানা হলে এত বড় বড় পাগলদের সাথে চলতে ফিরতে বা তাদের কথা শুনতে গেলে নিজেও পাগল হতে হবে!!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।