থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি। সূত্রঃ বুয়েট আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন আছে : হলমার্কের টাকা ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত আসবে : হানিফ
আওয়ামী লীগের মাহবুবুল আলম হানিফ মাঝে মাঝে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে থাকেন। উনার কথাকে বিপরীত ভাবে দেখলেই জানা যায় যে আগামিতে কি ঘটতে যাচ্ছে।
সামপ্রতিক উদাহরন দিলেই ব্যাপারটা কিলিয়ার হবে সবার কাছেই। দূর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক ঋণ চুক্তি বাতিল করার পর উনি দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রায় বানিয়েই ফেলেছিলেন।
আর এখন দেখা যাচ্ছে সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণ সুবিধা পেতে মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের পদত্যাগ করাচ্ছেন।
মাহবুব উল আলম হলমার্ক কেলেঙ্কারির বিষয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বলব হলমার্কের মালিকসহ জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ’ তিনি বলেন, জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সরকারের নির্দেশ আছে। সরকার কোনোভাবেই এর সঙ্গে জড়িত নয়। সংসদে দলীয় সাংসদেরাই অর্থমন্ত্রীকে তিরস্কার করেছেন।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অর্ধেক টাকা ফেরত পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র-শিক্ষক অসন্তোষের ঘটনায় বিএনপির ইন্ধন ছিল বলে অভিযোগ করেছেন জনাব হানিফ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি উসকানি দিয়ে বুয়েটকে অচল করেছিল। আমাদের কাছে এটার তথ্য আছে। ’
উনার উপরের মন্তব্য থেকে এইটুকু কিলিয়ার যে Hallmark এর এই Landmark অর্জনের ক্ষেত্রে সরকার পুরোপুরি জড়িত।
কেননা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডাঃ মোদাচ্ছির আলির নাম এসেছে। বাচাল প্রতিমন্ত্রী কাম্রুল ইসলামের নাম এসেছে। আরো অনেক বোয়াল মাছের নামে আছে, সেইগুলো অবশ্য এই রাঘবগুলোর চেয়ে পুচকি।
আর ১৫ দিনের মধ্যে যে money back guarantee উনি দিচ্ছেন, সেইটার জন্য সাগর-রুনীর হত্যাকান্ডের কথা স্বরণ রাখলেই চলবে। উনারই সিনিয়র আপা সাহারা খাতুনের ৪৮ ঘন্টা আজও শেষ হয় নাই।
সুতরাং নিশ্চিত হওয়া যায় যে Hallmark কোন টাকাই ফেরত দিচ্ছে না।
দ্বিতীয়তঃ হচ্ছে, বুয়েটে কমার্স ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা ভিসি-র পক্ষে যে মিছিল আর শো-ডাউন করেছে, তারপরে সোনার ছেলেদের দল হিসাবে ছাত্রলীগের নাম সবাই জেনে গেছে।
আওয়ামী এই জামানায়, তদুপরি ছাত্রলীগের এই রাম রাজত্বের স্বর্ণ যুগে মাজা ভাঙ্গা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা [ বিএনপি' র হয়ে ] বুয়েটে গিয়ে আন্দোলনে উস্কানি দিবে, এইটা ভাবা মানে হবে আমি এখনো মায়ের দুধ পান করি।
সুতরাং বুয়েটের আন্দোলনে বিএনপি উস্কানি দিতে পারে না। তাদের পক্ষে সম্ভবও না।
যারা এই আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তি তারা কিন্তু এই ভিসির আমলে নিয়োগ পাওয়া বিভাগীয় প্রধান ও ডীনবৃন্দ। তারা সকলেই আওয়ামী লীগেরই লোক।
সুতরাং এটাও নিশ্চিত হওয়া গেল যে, বুয়েটের আন্দোলনের পেছনে আওয়ামী লীগেরই একাংশের হাত আছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।