আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবি নিরমলেন্দু গুনের সাথে লন্ডনে একটি দুপুর

বই থেকে বেরিয়ে আসা লেখক ; লন্ডনে কবি যেখানে থাকছেন সেখানে পৌছাতে দেরী ই করে ফেলি, আমার ঘর্মাক্ত মুখ দেখেই হয়তো, কবি মারুফ রায়হান ভাত সাধেন, মাছ সহ , যা তৃপ্তির সাথে খেয়ে এক কাপ চায়ে বেশ চাঙ্গা হয়ে যাই। আজ যাবার কথা ছিল লরডস এর ক্রিকেট মাঠ দর্শন করতে,পরে তা বাতিল হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া ডক সড়ক ধরে আমরা হাটতে থাকি, আকাশে সূর্যের বেশ তেজ ছিল, লন্ডনে যা প্রায় সহজে দেখা ভার। ক্রিস্প স্ট্রিট মারকেটে কবি টুকিটাকি কিনলেন আর নিজের শো-কেছে রাখার জন্য কিনে ফেললেন একটি ফুটবল, যেটা বেশ দৃষ্টি নন্দন । ইন্টারনেটে ঐ মার্কেট সম্পরকে যা জেনেছি ( Crisp Street Market was the first purpose built pedestrian shopping area in the UK which opened as part of the Festival of Britain in 1951) তারপর আমরা ঢুকে পরলাম এখানকার লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সেন্টার ''আইডিয়া স্টোরে '' দোতালায় মোটামুটি বড় লাইব্রেরীর দুটো সেলফে বাংলা বই থরে থরে সাজানো।

এখানে খবর নিয়ে জেনেছি, নির্মল দার গদ্য সমগ্র রয়েছে। আইডিয়া স্টোরের অন্যান্য শাখায় রয়েছে আরো কিছু বই। নির্মল দার অজান্তে ওখানে ফোন করে আমি তা জেনে নিয়েছি। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় তিনটি বই নিয়ে (দুটা হুমায়ুন একটা ভাই জাফর) বাড়ি ফেরত তরুন কবিকে চিনে ফেলেন এবং জানান, দেশের মাটিতে কবিকে দেখার সৌভাগ্য তাঁর হয়নি। হাটতে হাটতে কবি ইংরেজিতে কিছু একটা বলে ওঠেন ।

আমি এর অর্থ জানতে চাইলে, হাসতে হাসতে বলেন, বই এর ভিতর থেকে ভুতের মতো লেখক বের হয়ে আসলেন । ঐ মারকেটের মাঝেই এক বেঞ্চে কবির সাথে ছবি তুললেন, বগুরার নিহাদ সুপ্ত। পড়াশুনা করে, আবার গিটার বাজিয়ে গান গায় , গান লেখে। আমারো ছবি তোলার ইচ্ছা হয়েছিল, কিন্তু আমার নিজের তো কোন ক্যমেরা নেই। তাই মনের ক্যমেরাতে কবির সাথে আজ আমার দুপুর ভ্রমন বন্দি করে রাখলাম।

ধন্যবাদ কবি নিরমলেন্দু গুন, আমাকে একটি দুপুর দেবার জন্য। দীর্ঘজীবী হন...... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।