আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইমাম সাহেবের উপর ফতোয়াঃ অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা

সম্প্রতি কানাইঘাট উপজেলার ফালজুর গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম সাহেবের উপর এলাকার কতিপয় লোক তার পেছনে নামজ না হওয়ার ফতোয়া জারি করেছে। তাদের এ ফতোয়ায় তারা এই ইমাম সাহেবের পেছনে নামাজ জায়েয হবেনা বলে রায় দিয়েছে। নামাজ না হওয়ার কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছে যে তিনি একজন ‘মুক্তিযুদ্ধা’। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম যে উক্ত গ্রামের কতিপয় তথাকথিত মৌলভি মিলে উক্ত ইমাম সাহেবের উপর এই মর্মে ফতোয়া জারি করেছে যে “তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা তাই তিনি আওয়ামিলীগার।

সুতরাং এই ইমামের পেছনে নামাজ জায়েয নয়”। এই ফতোয়ার মাধ্যমে তারা উক্ত ইমাম সাহেব কে মসজিদের ইমামতির অযোগ্য ঘোষনা করেছে। উক্ত ফতোয়া এলাকার সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। এলাকার শিক্ষিত-সচেতন মহল বিষয়টি কে খুবই হতাশাজনক হিসেবে দেখছেন। এই ফতোয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সচেতন জনতার মনে আজ এইসব তথাকথিত মৌলভিদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে।

এলাকার সচেতন মানুষের সাথে বিষটির সুরাহা নিয়ে কথা বললে তারা তাদের অপারগতার কথা প্রকাশ করেন। অবস্থাদৃষ্ঠে ফতোয়াবাজদের শক্তির কাছে সচেতন মহলের অসহায়ত্বের চিত্রই ফুটে উঠেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সচেতন জনতার মনে আজ প্রশ্ন উঠেছে যে, মুক্তিযোদ্ধের স্বপক্ষশক্তি দাবিদার এই সরকারের আমলেই যদি একজন ইমাম সাহেবকে শুধুমাত্র তার মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার অপরাধে চাকরি হারাতে হয়, তার মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহন করাটা শাস্থিযোগ্য অপ্অরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় তাহলে এদেশের মানুষের মন থেকে একদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই শুধু বিলুপ্ত হবে তা নয় এমন দিন ও কি আসছে যখন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল মুক্তিযুদ্ধাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হবে? জাতির বিবেক আজ এই প্রশ্নের উত্তর জানতে অস্থির। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.