আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"বি এ" থেকে "এম এ" জলিল অনন্ত.....

মাংসের গন্ধ পাচ্ছি. . কাঁচা না, রান্না করা.। । । বি এ অনন্ত জলিল(!!!) সাহেবের বিখ্যাত “ইউ প্রম গানা / ইউর মা প্রম…” এইগুলার কোনটাকেই আমি বড় করে দেখি না। আমার কাছে ব্যাক্তিগতভাবে যেটা মনে হয়েছে,অনন্ত সাহেব যদি নিজের ঢোল নিজে না পিটিয়ে অন্যদের দিয়ে পেটাতেন,তাহলে মনে হয় এত কথা হতো না।

আপনি হেড ফোন দিয়ে যার ইচ্ছা তার গান-ই শুনতে পারেন, কিন্তু যেখানে আপনি একজন সম্মানিত ব্যাক্তি,সেখানে যদি মমতাজ/মাহফুজুর রহমান/ইভা রহমানের গান লাউড স্পিকারে শুনতে থাকেন,আর “DNA Less”(!!!) মাহফুজের সঙ্গীত প্রতিভা নিয়ে ওয়ায করতে থাকেন,তখন স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ আপনার সম্পর্কে ভিন্ন মন্তব্য্ করতে থাকবে,যেটা আপনি শত চেষ্টা করেও বন্ধ করতে পারবেন না। অনন্ত সাহেব যদি ওইভাবে ঢোল না পিটিয়ে, সিম্পলি এইভাবে বলতেন-“আসলে দেখুন, আমি নিজে এক সময় বাংলা চলচিত্রের সুদিন দেখছি, সেই চলচিত্র যখন আমার চোখের সামনেই ধংস হয়ে যাচ্ছিল, তখন কেন জানি নিজের মন থেকেই এই শিল্পকে বাঁচানোর জন্য একটা তাড়না অনুভব করছিলাম, আমি জানি যে, আমার সীমাবদ্ধতা আছে, চলচিত্রের নায়ক হওয়ার মত হয়ত কোন কোয়ালিটি আমার নাই, কিন্তু এই অবস্থায়, যেখানে প্রতিষ্ঠিত একজন নায়ককে প্রতি ছবিতে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা সম্মানী দিতে হয়, তা দেওয়ার মত সাহস/দুঃসাহস যেটাই বলেন,কোনটাই আমি নিজের মাঝে জাগ্রত করতে পারিনি,তাই দর্শকদের উদ্দেশ্যে শুধু আমার একটাই আকুতি থাকবে- আপনারা অনন্তের কাঁচা অভিনয়/ভুল উচ্চারন নয়,অনন্তের বাংলা চলচিত্রকে বাঁচানোর অদম্য চেষ্টা টাকে বড় করে দেখুন, আপনাদের সহযোগীতা পেলে এই অনন্ত-ও হয়ত কাঁচা থেকে পাকা অভিনেতায় পরিণত হতে পারে”। অনন্ত সাহেব যদি বিনয়ী হয়ে উপরের কথাগুলো বলতে পারতেন, তাহলে আজ যারা তাঁর সম্পর্কে নাক ছিটকাচ্ছে, তাঁরাই তাঁকে উপরে তুলে দিত। শচীন টেন্ডুল্কার শুধু ব্যাটিং দিয়ে নয়, বিনয় দিয়েই এত বেশি জনপ্রিয়। যারা কিনা পাকিস্তানের সাপোর্টার,তাঁরা সাধারনত ভারতের বিপক্ষ নিয়ে থাকে, তারপরও একটু জরিপ করে দেখুন,ওই পাকিস্তানী সাপোর্টাররাও শচীন-কে ভালোবাসে।

মানুষ তো মানুষ-ই,তাই না? আর মানুষ বলেই তাঁর সীমাবদ্ধতা থাকবেই, যদি সেই সীমাবদ্ধতা টাকে বিনয়ী হয়ে স্বীকার করে নেয়া যায়, তাহলে অন্য সাধারন মানুষের কাছে তাঁর সেই সীমাবদ্ধতা আর দৃষ্টিকটু হিসেবে ধরা পরে না। অনন্ত সাহেব যত তাড়াতাড়ি এই কথাটা উপলব্ধি করতে পারবেন, তত তাড়াতাড়ি তিনি বি এ অনন্ত জলিল থেকে এম এ জলিল অনন্তে পরিনত হবেন বলে আশা করি। অপেক্ষায় রইলাম… ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।