আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিরক্ত এখন? এই ছ সাতটি বস্তু আপনার বিরক্তি বাড়িয়ে বা কমিয়ে দিতে পারে

যে মুখ নিয়ত পালায়......। । ১। ব্ল্যাক ক্যাট তো সবার পরিচিত। কালো বিড়াল।

ইতিহাস থেকে জানা যায়,ব্রিটেনে কালো বিড়াল হচ্ছে সৌভাগ্যের প্রতীক। স্কটল্যান্ডের মানুষের বিশ্বাস হল যে মেয়ের ঘরে কালো বিড়াল ঢুকবে তার অনেক পাণীপ্রার্থী হবে। কালো বিড়ালের অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতায় বিশ্বাস করে জাহাজে বিপদ থেকে বাঁচার জন্য কালো বিড়াল রাখা হত। তবে মধ্যযুগে কালো বিড়ালকে মন্দভাগ্যের প্রতীক ভেবে অনেক হত্যা করা হয়েছিল। এজন্যই আমরা ঐসময় ইউরোপে ইদুরঘটিত প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখতে পাই।

আবার আরেক ব্ল্যাক ক্যাট ইন্ডিয়ান দুধর্ষ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু সেই ব্ল্যাক ক্যাটের চেয়েও বেশী জনপ্রিয় ক্যাট। ক্যাটরিনা কাইফ । তার চেয়েও বেশী জনপ্রিয়, জননন্দিত এবং নিন্দিত ক্যারেক্টার কালো বিড়াল, দ্য ব্ল্যাক ক্যাট অফ বাবু সুরঞ্জিত। অবাধ্য পি এস এর হাত ধরেই সর্বসমক্ষে বেরিয়ে এসেছিল সুরঞ্জিত সাহেবের কালো বিড়াল।

এ নিয়ে লেখালেখি হয়েছে প্রচুর। আমার ও ইচ্ছা ছিল “একজন মডু এবং একটি কালো বিড়াল” নামে গল্প লেখব। তিনি তখন সময় হয় নি। তবে এখন আর গল্প নয়। আজ বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধা দরকার।

ঘন্টা বাঁধার জন্য প্রথমে দরকার বিড়াল ধরা। বিড়াল ধরার জন্য আপনাকে যেতে হবে এখানে । বিড়াল ধরে দুটো কাজ করা যেতে পারেঃ ১। ঘন্টা বাঁধা। ২।

বিবাহ করতে যাচ্ছেন এমন কাউকে গিফট করা। তার অতিসত্ত্বর বিড়ালের প্রয়োজন হবে। কালো বিড়ালের ভয়ে এখন বিড়াল মারার জন্য নিরীহ বিড়ালের আকাল চলছে দেশে। বিড়াল পেয়ে বিবাহ ইচ্ছুক ভদ্রলোক খুশি হবেন। ২।

ব্ল্যাক ক্যাট বা কালো বিড়াল কে আটকানোর পর ও যদি প্রচুর সময় থেকে থাকে তাহলে উচিত মাছি মারা। মাছি মারা একটি উত্তম কর্ম। রাষ্ট্রের সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তা ব্যক্তিরা থেকে শুরু করে সাধারন মানুষেরা পর্যন্ত নিয়মিত নিয়ম করে এই মাছি মারেন। মাছি র প্রতি সবার এত ক্ষোভ। যেন মাছি রাষ্ট্রীয় শত্রু।

বিচিত্র কারনে অনেক আশ্চর্য বস্তু মাঝে মাঝে রাষ্ট্রযন্ত্রের শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। যেমন ইদানীং বিভিন্ন ঘটনা প্রতিঘটনায় মনে হচ্ছে “লিমনের পা” হয়ে গেছে রাষ্ট্রের আরেক প্রতিপক্ষ। তাহলে ব্লগারদের ও মাছি মারায় এগিয়ে আসা উচিত। কিন্তু তাই বলে মশা মারতে যাবেন না আবার। মশারা প্রায়ই নিজের দুঃখে আত্নহত্যা করে বসে।

এমনি এক সুস্থ সবল নীরোগ মশার আত্নহনন নিয়ে আমার একটি লেখা দেখতে পারেন ববস পুরস্কার বিজয়ী বাংলা ব্লগার আলী মাহমেদ এর ব্লগেঃ হে যুবক, হে নীরোগ, এভাবে চলে যেতে হয় না । । আর নিশ্চিন্তে মাছি মারার জন্য চলে যান এখানে আর ইচ্ছেমত মাছি মারা চলুক। ৩। বাংলা ছবির কথায় আসি।

বাংলা ছবি আমাদের জিনিস। ভালো হোক মন্দ হোক আমাদের। এরকমই বাংলা একটা ছবিতে এক ভিলেনের কাছ থেকে একটা নতুন তথ্য পেয়েছিলাম। নবাব সিরাজউদ্দৌল্লার মা নাকী মেজাজ খারাপ হলে জিনিস পত্র ভাঙাভাঙি করে মেজাজ ভালো করতেন। জিনিস পত্র ভাঙার শব্দে তার রাগ পড়ে যেত।

এই পদ্বতি অবশ্য ফলো করেন রাজনীতিতে থাকা বিরোধী দল এবং তাদের সমর্থকেরা। যে দলই বিরোধী দল হোক মাঝে মাঝেই তারা হরতাল ঢেকে গাড়ি পুড়িয়ে, কাচের গ্লাস ভেঙে রাগ নামায়। নবাব সিরাজের মায়ের মত। কিন্তু ধরেন আপনি কম্পিউটারের সামনে বসে আছেন। হঠাৎ আপনার রাগ উঠে গেল।

চরম রাগ। একেবারে ফাটাফাটি, ভাঙাভাঙি রাগ। কিন্তু ভাঙবেন কি? কাচের গ্লাস ভাঙলে ঘরে বকা ঝকা খাওয়ার সম্ভাবনা, কম্পিউটারের মনিটর ভাঙ্গলে অর্থনৈতিক ক্ষতি, ইত্যাদি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করলে দেখা যায় ভাঙার জিনিস এক বিরল প্রজাতি সাধারন মানুষদের জন্য। এক্ষেত্রে আমি আপনাকে বলতে পারি গুগল ভাঙেন। হ্যা সার্চ ইঞ্জিন গুগল।

ভেঙে টুকরো টুকরো করে টুকরো গুলো ইচ্ছে মত ছুড়ে ফেলে ভাঙা টা উপভোগ করেন। এই গুগল ভাঙায় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার রা বা ওয়েবমাষ্টার রা, যাদের সাইট গুগল দ্বারা পেনালাইজড হয়েছে নিকঠ অতীতের সার্চ এলগোরিথম আপডেটের কারনে, তারা ব্যাপক মজা পাবেন। তো ভাঙেন গুগল ভাঙেন। ৪। এখন তো অনেকেই হয়ে যাচ্ছেন মিউজিশিয়ান।

দারুন কন্ঠ। বিশাল প্রতিভা। আর এই সব ই কম্পিউটারের কল্যাণে। এডিটিং করে পুরা যা তা অবস্থা। গান হচ্ছে।

শিল্পী হচ্ছে। একই ধারার মিউজিক হচ্ছে। এখানে একটু ক্রিয়েটিভ ভাবে বানাতে পারবেন মিউজিক । একটু ভিন্নভাবে। ৫।

এবার আপনার যুদ্ধ দ্যা ওয়ার মটরশুটির(বিনস) বিরুদ্ধে। মটরশুটি ধরেন এখন দেশের জন্য হুমকি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষনা দিলেন, আইন শৃঙ্গখলা পরিস্থিতি ইতিহাসে সব সময়ের চেয়ে ভালো ছিল। কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি করেছে মটরশুটি। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড যাবতীয় খোঁজ দ্যা সার্চ চালিয়ে বের করেছে দেশে যে এই অনন্ত গুম, ছিনতাই,দূর্নীতি হচ্ছে তার প্রধান এবং একমাত্র কারন মটরশুটি।

একথা শোনে কি আপনি বসে থাকবেন? বসে থাকার কোন মানেই হয় না। লেগে যান মটরশুটি ভাঙতে । বাকী আল্লাহ ভরশা। ৬। সায়েন্স ফিকশন পছন্দ হলে এবারের ফ্ল্যাশ টি ভালো লাগবে।

নয়জন পৃথিবী বিখ্যাত শিল্পীর সৃষ্টি কে এক সাথে করা হয়েছে এখানে। আমার কাছে লেগেছে অসাধারন। লোড হতে একটু সময় নেয়। কিন্তু আপনি যদি জাফর ইকবাল স্যারের যারা বায়োবট পড়ে কল্পণায় কোন সাই ফাই জগত দেখেছিলেন মনের অজান্তেই সেই ছোটবেলায় তাহলে এই সাই ফাই বস্তুটি আপনার ভালো লাগবেই বলা যায়। এইসব ফ্ল্যাশ,গেমস ব্যবহার করতে গিয়ে সময়ের প্রতিও লক্ষ্য রাখা দরকার।

সময় তো পড়ছেই। এই বালুর মত ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।