আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব "বঙ্গপিতা" বলেই কি ফজিলাতুন্নেসা মুজিব "বঙ্গমাতা”?

প্রথমত বলে নেই এই বাংলায় বোধ করি আর কোন নাম বা পদ খালি নেই যা আগামিতে এই দেশের সাধারন মানুষ বীরদরপে দেশের নাম উজ্জ্বল করার পর আমরা দিতে পারব কেননা এই দুই দলের পরিবারতন্ত্রে এমনভাবে আবদ্ধ এই দেশ এবং দেশের জনগন যে এদের তোষামোদিতে আমরা ইতিমধ্যে প্রায় সকল বিশেষ্য,বিশেষণ,সর্বনাম , এবং ক্রিয়া ব্যাবহার করে ফেলেছি । দেখুন একটি বিষয় হল বাংলাদেশের আজকের যেই অবস্থান এর পিছনে অনেকের অবদান আছে দল মত নির্বিশেষে আমরা তাদেরকে সম্মান জানাব এটাই স্বাভাবিক এবং যেকোনো নামে তাদেরকে সম্মান হিসেবে ডাকা যেতে পারে তাতেও কোন সমস্যা থাকার কারন নেই যেমনটা হল শেখ মুজিব কে জাতির জনক, জাতির পিতা , বঙ্গবন্ধু ইত্যাদি। তবে সমস্যাটা কোথায় ? সমস্যা হল ফজিলাতুন্নেসা মুজিবকেও যখন একদল মানুষ জাতির মাতা হিসেবে ঘোষণা দেন । আমি এক লাইনে আগে আমার অবস্থান বলে নেই সেটা হল “কোনও রূপেই বঙ্গমাতা উপাধি ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এর উপর অর্পিত হওয়া গ্রহণযোগ্য বা সর্বজনগৃহীত নয়”। এটি শুধুমাত্র কোন একটি রাজনৈতিক দলের তোষামোদি এবং লেজুড়বৃত্তির অতিরঞ্জিত কর্ম।

না ইতিহাস এই ঘটনার সাক্ষী যে ইনি এমন কিছু বাংলাদেশের জন্য করেছেন যার জন্য “বঙ্গমাতা” উপাধি দেয়া সম্ভব এক তিনি বঙ্গবন্ধু এবং জাতির জনক শেখ মুজিবের স্ত্রী ছাড়া । শেখ মুজিব এর কারনের এই জাতি একটি দেশে পরিণত হয়েছে । তাই তাকে জাতির পিতা বলি সুতরাং জাতির মাতা এমন একজনই হবেন যার অর্জন ওই সম পর্যায়ের হবে বাঙালি জাতির জন্য । কিন্তু আফসোসের বিষয় হল এই রকম কোনও নারীর অভিরভাব এই বঙ্গ ভুমিতে এই পর্যন্ত হয়নি। সুতরাং পিতৃ পরিচয় কিংবা স্বামীর পরিচয়ে হয়ত অনেকে ক্ষমতা পেতে পারেন তবে জাতির মাতা পরিচয় পেতে পারেন না ।

গতকাল ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের সম্ভবত ৮৩ তম জন্ম বার্ষিকী ছিল । যা মোটামুটি প্রায় জাতীয়ভাবে পালিত হয়েছে বলা চলে কিন্তু প্রশ্ন হল কেন ? হ্যা দলীয় পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সেটা পালন করতেই পারে কারন চামচামি এবং লেজুর বৃত্তি করা ছাড়া নেতা কর্মীদের এই দেশে করার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না তবে আমি আমি ভদ্র মহিলার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং তার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি তাকে জাতীয়ভাবে জন্মবার্ষিকীতে ওই “বঙ্গমাতা” নামে এবং সম্মানে ভূষিত করা শুধু মাত্র একটি দলের অতিরঞ্জিত লেজুড়বৃত্তি ছাড়া আর কিছুই নয় যা গোটা জাতির কাছে কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না । সুতরাং পরিশেষে এতটুকুই বলবো ওই স্থানগুলি আমাদের দেশের সম্মানের জায়গা সেখানে বুঝে না বুঝে কাওকে বসানো ওই স্থান এবং ওই ব্যাক্তির অসম্মনান কেননা তিনি ওই স্থান কামনা করেন না । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।