আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডঃ ইউনুস ইস্যু, পদ্মা সেতুতে আওয়ামী সরকারের দূর্নীতি আড়ালের অপকৌশল?

চলতে চলতে একদিন চলার পথ শেষ হয়ে যাবে। দেখা যাবে নিকষষষ কালো অন্ধকার! বাংলাদেশের রাজনীতিবিদেরা কূটনীতি, অর্থনীতি, এমনকি রাজনীতি সম্পর্কে কতটা মূর্খ (নাকি ব্রিলিয়ান্ট?) তা ডঃ ইউনুস ইস্যুতে বোঝা গেল। কতটা মূর্খ হলে কেউ দাবী করতে পারে অসম্মান করায় সরকারের উপর প্রতিশোধ নিতে ডঃ ইউনুস পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাঁধা দিয়েছে? তাও আবার হিলারীর সহায়তায়! বিশ্বব্যাংক যেখানে পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দুর্নীতির প্রমাণ দিয়েছে, তাদের দেয়া শর্ত অনুযায়ী আবুলকে অপসারণও করিয়েছে, সেখানে এর পিছনে ইউনুসকে দায়ী করা কি আসলেই সরকারের মূর্খামি নাকি মন্ত্রীমহোদয়ের দুর্নীতির সংবাদ হাপিস করে দেয়ার একটা অপকৌশল? পদ্মা সেতু ইউনুসের কূটচালের কারনে হচ্ছে না, এইধরনের সংবাদ সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করিয়ে ইউনুসের বিপক্ষেও নেয়া গেলো, সরকারের দুর্নীতির খবরও চেপে যাওয়া হলো। আওয়ামী সরকার এই ধরনের কাজকর্মে বেশ পারদর্শী। মানুষকে নতুন নতুন ইস্যুতে ব্যস্ত রেখে পুরাতন অপকর্মের কথা ভালোভাবেই ভুলিয়ে দিতে পারে।

খুব বেশীদিন আগের কথা না, এইতো সেদিনই আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী সুরঞ্জিতের পিএস'র গাড়ীতে সত্তর লক্ষ টাকা পাওয়া গেলো, এইটা নিয়ে হাউকাউ শুরু হতেই ইলিয়াস আলীকে গুম করা হলো। সবাই সুরঞ্জিতকে ভুলে গেলো, লাইমলাইটে ইলিয়াস, হরতাল হলো, আগুনে পুড়ে মানুষ মরলো। খুনের দায়ে আন্দোলনকারীদের জেলে পুরে দেয়া হলো, মামলা করা হলো। ইলিয়াস ইস্যু গায়েব। এরপর এলো পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের আপত্তি।

প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিও দেখানো হলো। তাদের আপত্তি মেনে আবুল পদত্যাগও করলো। সবাই যখন একের পর এক মন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ে বিস্মিত, সরকারের অপকর্ম বেরিয়ে পরছে, তখনি এক মহল থেকে দাবী করা হলো সব কিছুর মূলেই ডক্টর ইউনুস দায়ী! এইক্ষেত্রে পুরনো শত্রুতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। নোবেল পুরস্কার পাওয়া, তৃতীয় ধারার রাজনীতি চালুর জন্য রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা, গ্রামীন ব্যাংকের সফলতা ইত্যাদিতে হাসিনা সরকার হিংসাপরায়ণ হয়ে ইউনুস নির্মূলে লেগে গেলো। পদ্মা সেতুর মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ন ইস্যুতে ইউনুসকে দায়ী করে পুরনো শত্রুতার ঝাল মিটিয়ে নেয়া হলো।

নিজেদের দুর্নীতি ঢাকা পরলো, ইউনুসকেও বাশ দেয়া হলো। এ যেন "রথও দেখা হলো, কলাও বেচা হলো, কলা বেচার টাকা দিয়ে বাসায়ও ফেরা হলো"। আওয়ামী থিঙ্কট্যাঙ্ক খুবই ট্যলেন্টেড, প্রচন্ড শক্তিশালী। এই থিঙ্কট্যাঙ্ক যেভাবে একের পর এক সমস্যা "গুম" করে দিচ্ছে নতুন নতুন ইস্যু টেনে, তাতে শঙ্কিত হওয়ারই কথা। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।