আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক ঝাড়িতেই নেট বিল ১১০০ টাকা কমাইলাম(স্পীড 2.5 MB): এরই নাম নো-সিন্ডিকেট, প্রতিযোগীতা ও সুশৃঙ্খল বৃটেন!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ দেশে থাকতে ২০০৯ সালের আগষ্টে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম; মাত্র 14.5 KBPS হতে সর্বচ্চো 256 KBPS এর মধ্যে ক্যাবল টিভির মতই উপভোগ করুন ৭৭ টি দেশ, ৮০০ এর অধিক সম্পূর্ণ ফ্রি লাইভ অনলাইন টেলিভিশন চ্যানেলস! Click This Link তো সেই পোষ্টের একটি মন্তব্যের জবাবে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বিষয়ে আশা করেছিলাম(৬নং কমেন্ট); ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৪:১৭ লেখক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আশা করি আগামী ১ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর সবার স্পীড হবে অন্তত ৬৪ কিলোবাইটস। তার মানে এটা দাড়ায় যে আগষ্ট ২০১০ সাল নাগাৎ সবারই নেট স্পীড ৬৪কেবিই দাড়াবে! আমি মূলত টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির হাসানুল হক ইনুর একটি প্রস্তাবের সুত্র ধরেই আশাবাদী ছিলাম যে ২০১০ সাল নাগাৎ এই রকম হবে। ইনুর বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে দৈনিক আমাদের সময় ২৭শে জুন ২০০৯ এ রিপোর্ট করে। এই নিয়েও একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম; বাজেটে ইন্টারনেট ব্যাবহার মূল্য কমল কি? ইনুর প্রস্তাবিত ৩০০টাকা/মাস মূল্য কবে কার্যকর হবে? Click This Link কিন্তু একটু ধাক্কা খেলাম! Ontvtime.com কে নিয়ে দেওয়া পোষ্টে জানু ২০১১তে গ্রীণলাভার নামক এক ব্লগার ভাই আমার সেই জবাব দেওয়াকে ভিত্তি করে মন্তব্য(২৯নং) করলেন; ভাই আজকে আমি ১৬ কিলোবাইটস এর ভাড়া দিতাছি ৯০০ টাকা।

৬৪ কিলোবাইটস নিলে তো না খায়া থকতে হইবো। ভালো থাইকেন ভাই আর বাংলাদেশ নিয়া বেশি স্বপ্ন দেখলে হতাশা ছাড়া আর কিছু আমাগোরে দিতে পারবেন না। মানে ২০১০ সাল পেড়িয়ে ২০১১ সালেও কাংখিত গতি পেলাম না। ২০১১র ঐ সময়টাতে বাংলা লায়ন ও কিউবির বেশ তোড়জোর মানে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছিল। ভেবেছিলাম যাক ওয়াইম্যাক্স এসে গেল যখন এবার বুঝি নেট বাংলাদেশে নেট ব্যাবহারকারী গণ একটু বেশী মূল্য হলেও এতদিনে সবাই এর নেটওয়ার্কে আসবে।

এটা নিয়ে একজন ব্লগার সাঈফ শেরিফ মন্তব্য করেছেন(১০নং)। কিন্তু দেখা যায় এক মাত্র বাংলা লায়নই সর্বাধিক ৭টি জেলায় তাদের নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে পেরেছে'; Click This Link এই লেখা পর্যন্ত আর বাকী দুই কিউবি ২টি এবং ওল্লো ৩টি জেলায় আছে। তাও আংশিক পুরোপুরি কাভার করতে পারেনি; http://www.qubee.com.bd/coverage http://ollo.com.bd/coverages এবার নিয়মিত ভিত্তিতে প্রতিমাসের মূল্য দেখি; Banglalion Click This Link Qubee http://www.qubee.com.bd/monthly-package Ollo http://ollo.com.bd/get ওল্লোকে বাদ দিলাম। কিউবি আশাব্যাঞ্জক নয়! একমাত্র বাংলালায়নই ৭৫০ টাকা ও ভ্যাট ১৫% সহ সর্বমোট ৮৬২ টাকা ৫০ পয়সায় ৫১২ Kbps(কিলোবিটস) স্পীড দেয় এবং আনলিমিটেড ব্যাবহার। তার মানে স্পীড ৬৪ KBps(কিলোবাইটস)! Kbps ও KBps এর সমন্ধে দেখুন; http://www.dslreports.com/faq/2388 এটাকে মন্দের ভাল বলা যায় কিন্তু আন্তর্জাতিক মানদন্ড নয়।

আর মাত্র ৭টি জেলায় তার নেটওয়ার্ক। বাকী জায়গাতে ফিক্সড ফোন(ল্যান্ড লাইন) ঝামেলা এবং মোবাইল ফোনেও ইন্টারনেট স্পীড নাকি আশানুরুপ নয়। গড়ে ঠিক সবাই কত স্পীড পায় সেটা নিয়ে ভেবেছিলাম হয়ত ১৬-৩২ KBps হবে। তাই সাহস করে ইন্টারনেটে টিভি চ্যানেল দেখা নিয়ে আরেকটা পোষ্ট দেই। এটা ছিল অনটিভিটাইমের চেয়েও উন্নতমানের ছবি ও নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে দেখার সাইট; WWI TV হল নিরবিচ্ছিন্ন ও উন্নত মানের ছবি দেখার আদর্শ ইন্টারনেট টিভি চ্যানেলস সাইট Click This Link এটাতে আরো বিস্ময় দেখলাম।

ভেবেছিলাম স্পীড বুঝি গড়ে ১৬, কিন্তু যশোর জেলার ব্লগার তুহিন ভাইয়ের মন্তব্য(৯নং) দেখে পুরাই টাস্কিত! তুহিন২৭ বলেছেন: স্পিড পাই মাত্র ৪/৫ কেবি তাহলে দেখা যাচ্ছে যে ৪ঠা আগষ্ট ২০০৯এ অনটিভিটাইম নিয়ে দেওয়া পোষ্টে আশা করা ৬৪ KBps ৩ বছর পর ২০১২তে এসে মাত্র ৫ KBps! পৃথিবীর প্রায় সব দেশ দিনকে দিন তাদের গ্রাহকদের নেট স্পীড বৃদ্ধি করা সহ সেখানকার ISPরা কে কত কম দামে সার্ভিস বা সেবা দিতে পারে তার প্রতিযোগীতা হয়। কেউ হয়ত লোকসান দেয় না কিন্তু মোটামুটি লাভ করে তার গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি করে। উন্নত দেশ গুলিতে কিভাবে আরেকজনের গ্রাহক ছিনিয়ে নিবে এবং বিদ্যমান গ্রাহক ধরে রাখবে তা নিয়ে তুমুল প্রতিযোগীতা হয়। এই নিয়ে আমার একটি নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও বাস্তব ঘটনা তুলে ধরছি। ইংল্যান্ডের যে শহড়ে ঠিকানা ব্যাবহার করি তার ঘরের ইন্টারনেটের দায়িত্ব আমার।

যদিও মাঝে মাঝে সেই শহড়ে কাজের ও ক্লাসের জন্য(লন্ডনে) বাইরে যেতে হয় ভাড়া ও পরিচিত হওয়ায় সেটাকেই আপাতত স্থায়ী ঠিকানা বানাইছি সে যাই হৌক ইচ্ছা ছিল বৃটেনের ভার্জিনমিডিয়ার ইন্টারনেট লাইন নিব। ভার্জিনই বর্তমানে বৃটেনে ইন্টারনেট সার্ভিসে সর্বশ্রেষ্ঠ। তারা সরাসরি ফাইবার অপটিকস কেবল হতে মানুষের বাসায় সার্ভিস দেয়। যেখানে গত বছর ছিল প্রতি মাসে ২১ পাউন্ডে ১০ Mbps যা ১.২৫ MBps স্পীডে আনলিমিটেড ব্যাবহার। কিন্তু বাড়িটি পুরোনো হওয়ায় কাউন্সিল RG-6 তার নেওয়ার অনুমতি দিবে না।

তাই ভার্জিন লাইন পাই নি অথচ এই লাইন কয়েক মাস পরে একই তথা ২১ পাউন্ডে ২০ Mbps বা ২.৫ MBps স্পীড হয়! উল্লেখ্য বৃটেনে ভার্জিনই RG-6 তারে ফোন, নেট ও ক্যাবল টিভি সংযোগ দেয়। তাই অগত্যা ফোন লাইন ও এডিএসএল মডেম বা রাউটার ব্যাতীত নেট ব্যাবহারের আর কোন উপায় থাকল না। আধা-সরকারী বৃটিশ টেলিকমের(BT) মাসিক লাইন রেন্ট ১১ পাউন্ড এবং আনলিমিটেড নেট ব্যাবহারে ২৬ সহ সর্ব মোট বিল ৩৭ পাউন্ড! সব বিবেচনা করে দেখলাম একটি কোম্পানীর লাইন রেন্ট ৭.৫ পাউন্ড এবং আনলিমিটেড নেট ব্যাবহার ১৭.৫ সহ মোট ২৫ পাউন্ড। এটাই ছিল আমার নাগালের মধ্যে সবচেয়ে কম রেটে এবং স্পীড ২০ Mbps তথা ২.৫ MBps। বাংলাদেশী টাকায় ৩১৫০ টাকা এবং বাধ্যতামূলক এক বছরের জন্য চুক্তি! এত স্পীডে এই বিল বাংলাদেশের যেকোন ISPএর চেয়ে কম।

সে যাই হৌক এই বছর বিগত জুলাই মাসে এর চুক্তি র মেয়াদ শেষ হয়। এরই মধ্যে সরকারের কিছু ট্যাক্স আরোপে ৬-৭ মাস আগে বিল বেড়ে দাড়ায় সর্বমোট ২৬.৫ পাউন্ড। তবে আবার সকল ISPএর জন্য মূল ব্যান্ডউইধের চার্জ কমিয়ে দেয়। এই কারণেই ভার্জিন তার গ্রাহকদের পুরানো মূল্যে স্পীড দ্বিগুণ করে দেয়। শুধু তারাই নয় আরো কয়েকটি কোম্পানী ফোন(ল্যান্ড) ভিত্তিক লাইনে তাদের রেট কমায়।

কিন্তু আমার কোম্পানী রেট কমায়নি। এই আগষ্ট মাসেও বিলের জন্য ই-মেইল দেয়; Hello **** You can see your latest bill online now. We'll take the payment from your bank account on, or shortly after, **/08/12. Please check your bill summary and Direct Debit carefully. Total bill: £26.50 Direct Debit due date: **/08/12 (we'll take payment on or after this day) বিভিন্ন সময় বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে দেখি আরো কোম্পানী ১৮-২০ পাউন্ডে ফোন সুবিধা সহ একই স্পীডে নেট সেবা দিচ্ছে। আমাকে Orange কোম্পানীর মার্কেটিং ক্যাম্পেনরত এক সুন্দরী তরুণী বলল যে তাদের লাইন নিতে যা তারা মাত্র ১৮.৫ পাউন্ডে দিবে। আমি বললাম তাইলে তো পুরোনো কোম্পানীর শুধু ব্রডব্যান্ড নয় ফোন লাইনও হস্তান্তর হতে হবে। তাতে আমার নেট ব্যাবহার কয়েকদিনের জন্য ব্যাহত হবে না? সুন্দরী তরুণী হেসে বলল তুমি পরবর্তী বিলের দিন পর্যন্ত সেবা রেখে তোমার এই সার্ভিস বাতিল করার কথা বলে Migration Authorisation Code (MAC) নিয়ে নাও।

এটা তারা ১-২ ঘন্টার মধ্যেই ই-মেইল ও মোবাইলে দিয়ে দিবে। তখন আমাদের টোল ফ্রি নাম্বারে ফোন করে তুমি রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে সেই MAC ডিজিট দিয়ে দিবে। এই MAC সমন্ধে দেখুন; Click This Link আমরা তোমাকে ৭ দিনের মধ্যে রাউটার ও আনুষাঙ্গিক জিনিস কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠিয়ে দিব। তোমার নেট ব্যাবহার তো বন্ধ হবেই না ফোন লাইনও নয় পরের দিন আমার বর্তমান সার্ভিস দানকারী কোম্পানীকে ফোন করে তা টার্মিনেট ও ম্যাক ডিজিট চাইলে সেখানকার প্রতিনিধি প্রথমেই বলে কেন তুমি এটা করছ দয়া করে বলবে কি? আমি বললাম তুমি আগে বল যে এই সার্ভিস যেহেতু এক বছর পূর্ণ করেছে এখন আমি স্বাধীন তাই এটা টার্মিনেট করলে অতিরিক্ত চার্জ হবে কিনা। সে বলল যে তুমি ৭ দিন পরে প্রসেস করলে কোন অতিরিক্ত চার্জ হবে না তবে আমরা তোমাকে আজই ম্যাক ডিজিট ১-২ ঘন্টার মধ্যে দিয়ে দিব।

আমি বললাম ঠিকাছে। প্রায় ফোন রেখে দেওয়ার অবস্থা তখন সে বলল দেখ জনাব এটা আমাদের নিয়ম যে তুমি ঠিক কি কারণে আমাদের সার্ভিস ছেড়ে দিচ্ছ। আমি বললাম দেখ Orange আমাকে এই একই সার্ভিস মাত্র ১৮.৫ পাউন্ডে দিচ্ছে। আমি মাসে ৮ পাউন্ড বাচাতে পারব। সে সাথে সাথে বলল যদি তোমাকে আমরা নতুন করে এক বছরের জন্য মাসে মাত্র ১৭.৭৫ পাউন্ডে এই সেবা দেই, তুমি কি নিবে? এই কথা শুনে আমার যেন আনন্দে লাফ দেওয়ার যোগাড় হল মনে মনে বলি নিব না মানে!!! আমি বললাম তুমি নিশ্চিত? সে বলল হ্যা নিশ্চিত! আমি এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বললাম তাইলে তুমি আমাকে এটা ই-মেইল ও মোবাইলে এসমএমএস করে জানাও! এক ঘন্টার মধ্যেই তারা ই-মেইল করল; Sub: Broadband Renewal Good Afternoon Mr ***, As discussed on the call your new contract will be for £17.75 per month for the next 12 months. You will remain on the same broadband and home phone packages as before however it will now be at the lower price for you. As mentioned on the call you have a 14 day cooling off period should you wish to change your mind. If you need any further assistance please call 0800 XXX XXXX and one of my colleagues will be happy to help. Regards, *** এরই নাম হল সৎ, সুস্থ ও প্রতিযোগীতা মূলক ব্যাবস্থা সাধারণ মানুষের উপকারী।

দেশটা যেহেতু বৃটেন তাই কেউ সিন্ডিকেট ও মনোপলী করে জনগণের রক্ত চুষে খাবে তা তো স্বপ্নই দেখা সম্ভব নয়, উপরন্ত ট্যাক্স বা কর ফাকি দেওয়াও সহজ নয়। প্রধানমন্ত্রী হতে শুরু করে একটা সরকারী অফিসের কেরাণী ও ক্লিনারেরও জবাবদিহিতা আছে। একটা পাব্লিক প্রজেক্ট করার নিমিত্তে যেমন সিদ্ধান্ত নিতে প্রায় দেড়ীই হয় না সেখানে বাস্তবায়নও সময়মত হয়। এখানে র্দূনীতি অনেক কম অন্তত বাংলাদেশের তুলনায় কম! তাই র্দূনীতি ও অনিয়ম তো সহজে হয়েই উঠে না উপরন্ত এদের পক্ষে চামচামী ও দালালী করার সুযোগ প্রায় নেই। বৃটেন সহ উন্নত দেশে যেখানে সোশ্যাল-ডেমোক্রেসী সে কাউকে না খেয়ে ও বিনা চিকিৎসায় মরতে দেওয়াতো দূর গৃহহীনও কল্পনা করা যায় না।

বৃটেনে বেসরকারী কাজে নিয়োজিত ব্যাক্তিবর্গ সময় মত বেতন তো পানই উপরন্ত অন্যায় ভাবে বরখাস্ত হলে বিশেষ আদালত Employment Trubunal এ মালিকপক্ষকে জবাবদিহিতা করতে হয়। কাজেই বকেয়া বেতনের জন্য কাউকে রাস্তায় নেমে ভাঙচুর করার কথা ভাবা অসম্ভব! তাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন বৃটেনে স্থায়ী হয়ে যেতে পারি, আমিন!  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।