আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেখ, একদিন ঠিকই হবে !

uব্লগিং করলে নাকি জাতে উঠা যায় !জাতে ওঠার তীব্র আকুলতায় সুন্দরবনে যদি বাঘের সংখ্যা বাড়ে তবে আনুপাতিক হারে হরিনের সংখ্যা কমে যাবে । কারন বাঘ তার খাদ্য চাহিদা পুরনের জন্য হরিন মারতে থাকবে । এভাবে চলতে থাকলে এক সময় বাঘের তুলনায় হরিনের সংখ্যা কমে যাবে তখন খাদ্যের অভাবে বাঘ মরে যাবে । এভাবেই প্রকৃতি তার ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে বহু কাল ধরে । এই ভারসাম্য রক্ষার তাগিয়ে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়েছে ডায়নোসর সহ বহু প্রজাতি ।

মেয়েদের বয়সন্ধিকাল হয় ১২/১৩ বছরে । কৈশর এবং যেীবনের এই সময়টায় তারা জীবনের নতুন অর্থ খুজে পায় । ছেলেদের ক্ষেত্রে সময় টা ২৬/২৭ বছর । লেখাপড়া শেষ । কিছু একটা করার প্রানান্তকর চেষ্টা ,ব্যার্থতা,সিদ্ধান্তহীনতা,দোদুল্যমান অবস্থায় থাকা এই সময়টায় তারা জীবনের অনেক নতুন কিছুর উপলব্দি করে ।

একটা দেশের বয়সন্ধিকাল হল অনুন্নত এবং উন্নত অবস্থার মধ্যবর্তী উন্নয়নশীল সময়টুকো । আর যদি থাকে মুক্তবাজার অর্থনীতি আর অবাধ তথ্য প্রযুক্তির বিচরন । তবে তো হ য ব র ল । না খুরমা না খেজুর । একটা উধারন দেয় যাক ।

আমরা সবাই পরিবর্তন চাচ্ছি । অর্থনীতির ,সমাজনীতির,রাজনীতির ,সংস্কৃতির । কিন্তু এ জন্য আমরা কতটুকো স্যক্রিফাইস করতে রাজী আছি !পরিবর্তন কখনও একদিক থেকে আসে না । আপনি সমাজের পরিবর্তন চাইলে রাজনীতের পরিবর্তন করতে হবে সাথে সাথে সংস্কৃতির পরিবর্তনও আসবে । এভাবেই ভারসাম্য রক্ষা হয় ।

উদার বামপন্থী কোন দলকে সরকারে বসাবেন আর তাদের কাছ থেকে সাম্প্রদায়িক মুল্যবোধ আশা করবেন এটা সম্ভব নয় । চোখের স্বাধীনতা নিয়ে হলিউড বলিউডের দাপিয়ে বেড়াবেন আর টালিউডে এসে নাক সিটকাবেন তা হবে না । হয় চোখের স্বাধীনতা খর্ব করুন নয়ত সব কিছু মেনে নেয়ার মনোভাব তৈরি করুন । কোন দেশ ব্যাবস্থার আমুল পরিবর্তনের জন্য কমপক্ষে একটি প্রজন্মকে স্যক্রিফাইস করতে হয় । মহান মুক্তিযুদ্ধে একটি প্রজন্ম সেটা করেছে বলেই আমরা পরিবর্তন ভোগ করছি ।

আমরাও না হয় একটু করি ভবিস্যত প্রজন্মের জন্য । হবে হবে করে ৪০ বছরেও কিছূ হলো না জানি । তবে কখনই যে হবে না এত নিশ্চিত হয়ে নিরাশাবাদী দলে যোগ দিলেন কেন । কবে কোথায় এত দ্রুত হয়েছে । যে সব দেশকে আইকন ভেবে ঈর্ষান্বিত হয়েছেন আমেরিকা ভারত অস্ট্রেলিয়া ব্রিটেন তারা কিন্তু স্বাধীনতা শত বর্ষ পার করেছে অনেক আগে ।

আমাদের দেশটা তো কেবল হাটতে শিখেছে । নিজের ভারসাম্য এখনও রাখতে শিখেনি । যেখানে আছাড় খাবে সেখান দিয়েই আবার উঠে দাড়াবে । তাই বলে কি বাবা মা তার সন্তানকে আমরা আমাদের মাকে ছেড়ে যাব ?এই ভুখন্ডে কেউ কোনদিন আমাদের শাষন করেনি । শোষন করেছে বছরের পর বছর ।

পর্তুগীজ,ডাচ,ব্রিটিস,আফগানিস্তান,ইরান থেকে আসা রাজা মহারাজাগন কিংবা ভারত মহাদেশের সুলতান থেকে সম্রাট পর্যন্ত যে যেখানে যা পেয়েছে তাই লুট করেছে । আজ তারা সভ্য দুনিয়ার ঝান্ডা উড়াচ্ছে । তারপরও বাংলা নি:শ্বেষ হয় নি । সৃষ্টিকর্তা যে আমাদের দু হাত ভরে দিয়েছেন । ভাটি এলাকার এই মানুষদের মনোবল দিয়েছেন আকাশসম ।

সাহস দিয়েছে সিংহের । উদ্দীপ্ত রক্ত দিয়েছেন লড়াইয়ের । কোন কিছু কোনদিন কেউ আমাদের মুখে তুলে দেয় নি আমরা আদায় করে নিয়েছি । অবশেষে যা কিছু ছিল অবশিষ্ট ভান্ডারে,তলানিতে সবটুকো চেটে পুটে সাবার করেছে বিশ্বাস ঘাতক পাকিস্তান । সম্পদ নিয়েছে ,জীবন নিয়েছে,সম্ভ্রম নিয়েছে ।

বিরাঙ্গনা করে ছেড়েছে আমার মাতৃসম দেশটিকে । একটি ফুল বাচাতে কে কবে এতগুলো প্রান দিয়েছে ?আমরা দিয়েছি । মা তার এক সন্তানের লাশ কবরে রাখার আগেই আর একটা সন্তানকে পাঠিয়েছে দেশ শত্রু মুক্ত করতে । একটি “মা” ডাক শুনতে রাজপথ রক্তে লাল করেছে কারা ? আমরাই । আমরা এমনই ।

রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ কিনেছি । তারপরও কি শান্ত থেকেছে এই জনপদ । জলপাই রংয়ের উর্দির শাষনে কাটিয়েছি স্বাধীনতার অর্ধেক সময় । মুল খুলতে পারিনি বলতে পারিনি “আমাকে আত্মাকে হত্যা করো না আমি স্বাধীন । সবাই মিলে আন্তস্বার শুন্য করেছে,তলা বিহীন ঝুড়ি বানিয়েছে বাংলাকে ।

এত দুযোর্গ ,এত কন্টকাকির্ন পথ । তার পরেও তো দেখ হাটতে শিখেছি । হয়ত চলতেও পারব এক সময় । একটু সময় তো লাগবেই । তবে কথা দিচ্ছি “দেখ একদিন ঠিকই হবে ।

ভালো থাকবেন সবাই ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।