আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাম-ধর্ষন-মূল্যবোধ

ফেসবুকে আমি https://www.facebook.com/LINCON04 আগে বলে দিচ্ছি লেখাটি মূল্যবোধ সংক্রান্ত! ধৈর্য্য কম থাকার কারনে অনেকে বড় লেখা পড়তে চাননা, আবার রসকসহীন ভাবে লিখি বলে অনেকে পড়তে চাননা, তাদের জন্য আগে থেকে লেখার উদ্দেশ্য বলে দেয়া ভাল! হয়তো অনেকে ভেবে বসে থাকবেন কি আছে ভেতরে, তারপর লেখা পড়ে মনে করবেন, 'ও, এইটা! আমি ত জানি!' বিভ্রান্তিতে না ফেলার জন্য আগেভাগে বলে দেয়া ভাল! কাম, ক্ষুধা মানুষের আদিম চাহিদা। সৃষ্টির পরথেকে মানুষ এদুটির আবর্তে বেঁচে আছে, নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী! চিন্তা করুন একটি ক্ষুধাহীন পৃথিবীর কথা! কামার হাপর চালাচ্ছে না, কারন তার ক্ষিধের তাড়না নেই। দর্জি সেলাই করছে না,তার খাদ্যের প্রয়োজন নেই! পৃথিবীর প্রতিটি পেশার সৃষ্টি হয়েছে ক্ষিধের কারনে! আচ্ছা, ক্ষুধা যদি নিবৃত হয় তাহলে বাকী থাকে জৈবিক তাড়নার! প্রতিটি প্রানীরই এই দুটি চাহিদা বর্তমান! তাহলে মানুষের সাথে অন্য প্রানীর পার্থক্য কোথায়? এখানেই আসে মূল্যবোধের কথা। একজন পুরুষ একজন নারীর প্রতি সবসময় আকর্ষন বোধ করে! তাই সে নারীর সাথে মিলিত হয়! একটি পশু অন্য পশুটির সাথে যেখানে মিলিত হয় বংশবিস্তারের স্বার্থে, সেখানে মানুষ বংশবিস্তারের পাশাপাশি জৈবিক আনন্দ মিলিত হয়। পশু যেখানে শুধুমাত্র তার বিপরীত লিঙ্গকে বেছে নেয় এজন্য, তার সাথে অন্য পশুটির কি সম্পর্ক ছিল তা বিবেচনা না এনে; সেখানে মানুষের মূল্যবোধ তাকে শেখায় এধরনের কাজ না করতে! তাই মানুষ তার মায়ের, বোনের, ছোট বাচ্চার, ভাইয়ের, বাবার সাথে মিলিত হয়না! এক্ষেত্রে অ-মানুষরা ব্যতিক্রম! অ মানুষরা মিলিত হবার জন্য এসব বিচার বিবেচনা করেনা। এতেই তার আনন্দ! জৈবিক তাড়না সে হস্তমৈতুনের মাধ্যমে দমন করতে পারে, কিন্তু অমানুষের মূল্যবোধ বলে কিছু নেই! তার কাছে জৈবিক তাড়নার চেয়েও ধ্বংসের প্রবৃত্তি বেশী কাজ করে! তাই সে পৃথিবীর সৌন্দর্য্য নষ্ট করে! এ প্রক্রিয়াটি ধর্ষন! বিরাট লেকচার দিতে গিয়ে সম্ভবত খেই হারিয়ে ফেলেছি। নিজের ছোটবেলার অভিজ্ঞতার কথা বলি। তখনো শিক্ষা আন্দোলন হয়ে উঠেনি! হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বেশীর ভাগ ই পড়ালেখা ছেড়ে দিত, গ্রামে হল্লা করে বেড়াতো! এবং অধিকাংশের বিনোদন ছিল যাত্রা দেখা, সিনেমা দেখা, বাগানে দল বেঁধে চুরি করা, গ্রামের মেয়েদের ফুসলিয়ে গ্যাংব্যাং অথবা মিচ্যুয়াল সেক্স করা, এসব নিয়ে প্রতিদিন আড্ডা দেয়া! কে 'কয়টা'র সাথে করতে পেরেছে সেটা বীরত্বপূর্ন হিসেবে দেখা হতো! কেউ একটা'রে চেয়ে না পেলে তার সাথে জোর করা হতো এবং 'করে' দেয়া হতো! কেউ ধরা পড়লে তাকে সাথে সাথে বিয়ে! এই ছিল তখনকার সময়ে শাস্তি! আমার ধারনা প্রতিটি গ্রামের একই চিত্র ছিল। মানুষ শিক্ষিত হতে লাগল ধীরে ধীরে, কিন্তু ধরে 'করে দেয়া' থেমে থাকেনি! অবশেষে একাজের সংঙ্গা এলো 'ধর্ষন' নামে! আমরা শিখলাম ধর্ষনকে একটি ঘৃনিত কাজ হিসেবে! কিন্তু যারা মূল্যবোধের শিক্ষা পায়নি তারা একে এখনো আনন্দের আরেকটি উত্‍স হিসেবে গন্য করে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে লাগল! মোটামুটি এই হচ্ছে বিশ্লেষন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৪০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।