আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৪ বছর পুর্তিতে ধীবরের ৩০০তম পোস্ট। ব্লগ ও ব্লগারদের মুল্যায়ন ও বিবিধ। উৎসর্গ সামুর সব ব্লগারদের

সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল নাক কান গলা তিনই বিদ্রোহ করে বসে আছে। এই ফাকে চিন্তা করলাম ৪ বছর পুর্তিতে ট্রিপল সেঞ্চুরি পোস্টটা লিখেই ফেলি ! ব্লগার পরিসংখ্যান পোস্ট করেছেন: ২৯৯টি মন্তব্য করেছেন: ৮৭১৬টি মন্তব্য পেয়েছেন: ১০৫১২টি ব্লগ লিখেছেন: ৩ বছর ১১ মাস ব্লগটি মোট ১৩৮৬৫১ বার দেখা হয়েছে আমার লেখালেখির বয়স সেই ইন্টারমিডিয়েট থেকেই। শুরুটা বাংলাতে হলেও, ২০০৫ সালের দিকে খেয়াল করলাম, কিছু বঙ্গ কুসন্তান ইন্টারনেটে ক্রমাগত ইসলাম আর বাংলাদেশ বিরোধী লেখা ছাপাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই ইংরেজিতে একে একে লেখা শুরু করলাম। এটা চলেছে প্রায় তিন বছর।

এর পর ঠিক কার মাধ্যমে মনে নেই, সামুর ঠিকানা পেয়ে রেজিঃ করেই ফেললাম। ভাগ্য সুপ্রসন্ন দেখেই প্রথম লেখাটিই প্রথম পাতায় স্থান পেয়ে গেলো। মনে হয় আমি সেই সৌভাগ্যবানদের একজন যে, খুবই অল্প সময়ে সেইফ হয়ে গিয়েছে। প্রথম প্রথম যখন পত্রিকায় লেখা দিতাম, সম্পাদক সাহেবের একটাই অনুযোগ ছিল। বানান ভুল।

কিন্তু বিষয়বস্তু কড়া ধাতের ছিল বলে, উনারা বানান শুদ্ধ করার কাজটি করে নিতেন। কি বুঝলেন? হ্যা, লেখালেখি আমার নেশা, পেশা নয়। আর এই দিক দিয়ে আমি ভীষন রকমের ছটফটা। সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে ভেবে চিনতে লেখা দেয়া আমার স্বভাব বিরুদ্ধ। খানিকটা অলসতা আর অনেক খানি ব্যাস্ততাও এর কারণ।

আমি যখন সামুতে লেখা শুরু করি, তখন নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। তাই আমার সর্বপ্রথম পোস্টটি ছিল এই রকম, খালেদা হাসিনার একসাথে আলোচনায় বাধা কোথায়? লেখাটি ২৭৩ বার পঠিত হয়েছিল, কিন্ত মন্তব্য ছিল মাত্র হাতে গোণা কয়েকজনের। ভালো লেগেছিল ৪ জনের। রাজনৈতিক দর্শনের দিক দিয়ে আমি নিজেকে কঠোর বাংলাদেশি জাতিয়বাদে বিশ্বাসি মনে করি। আর ধর্মভীরু হলেও, ফরজ ছেড়ে নফল নিয়ে টানাটানি করা আমার ভীষন অপছন্দের।

যেমন ধরুন দেশের কিংবা দেশের মানুষের কল্যাণের কথা এক পাশে সরিয়ে রেখে, "টাখনুর নীচে" কাপড় পড়লে জাহান্নামে যেতে হবে, এধরণের চিন্তা করা বা কথা বলার লোকজনের কাছ থেকে আমি একশো হাত দূরে থাকি। অর্থাৎ কেউ ঐ ধরণের পোস্ট দিলে আমি খুব সযতনে সেটা এড়িয়ে যাই। তবে ইসলাম বিদ্বেষিরা কি কত জঘণ্য ভাষা ব্যাবহার করতে পারে, ইংরেজিতে যখন লেখালেখি করতাম, তখন খুব ভালো করেই দেখেছি। স্বভাবতই ওদের উপর ঘৃণাটা প্রবলই ছিল। তাই সামুতে যখন বিনা কারণে ইসলাম এবং ইসলামের নবীকে নিয়ে জঘণ্য ভাষায় পোস্ট দেয়া হতো, তখন প্রতিবাদ করতাম।

( যারা ইংরেজিতে ইসলামোফোবিক লেখা লিখতো, সামুতে দেখতাম, ওরাই বা ওদের প্রতিনিধিরাই সামুতে একই ধরণের কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল) একারণে মুত্রমনাদের প্রতিনিধিরা আমাকে সাম্প্রদায়িক ট্যাগিং এর ব্যার্থ চেস্টা করেছিল। লাভ হয়নি, কারণ আমি বাংলাদেশের সেই পবিত্র মাটির সন্তান, যেখানে ধর্মভীরুতা আছে, ধর্মদ্বেষ নেই। সামু পর্যবেক্ষণঃ সবচেয়ে ভালো লেগেছে যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব কিংবা কোন ধর্মের বিরুদ্ধে উস্কানিমুলক লেখা দিলে শাস্তিমুলক ব্যাবস্থা নেবার কথা রয়েছে। এমনকি ব্যাক্তিগত আক্রমন কিংবা অশ্লিল ভাষায় মন্তব্য দেবার বিরুদ্ধেও একই অবস্থান। তবে পাশাপাশি কস্টটা হলো, সেই নীতি তাদের মধ্যে সাধারণত প্রয়োগ হতে দেখা যায় না, যারা মডারেটর ঘনিষ্ট বলে পরিচিত।

অথবা যারা বাম রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসি ( এদের অনেকেই আবার প্র আলোর মতির মতো, মুখে বাম কাজে ডান) তাছাড়া সাধারণ ব্লগারদের আহবানের প্রতি সামু উদাসীন। মাইনাস বাটন বন্ধের বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ট ব্লগাররা প্রতিবাদ করলেও, কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তেই অনড় ছিলেন। এছাড়াও তুলনামুলক বিচারে বিষয়বস্তু ও মান অনেক ভালো হলেও, অনেক লেখাই স্টিকি করা হয় না। তবে যদি বাম ঘরানার কেউ লিখে (যত বিতর্কিতই হোক না কেন) তবে সেটা প্রায় সময়েই স্টিকি হয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময় এই ধরণের দুটি লেখা স্টিকি হয়েছিল (রেজা ঘটক আর এস্কিমোর- ইনি চিহ্নিত কট্টরপন্থি আওয়ামি লিগার) যার বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ট ব্লগাররাই চুড়ান্ত অনাস্থা জ্ঞাপন করেছিলেন।

মুখ চিনে চিনে স্টিকি করার বাজে প্রথা থেকে বেড়িয়ে না আসলে, সামুর স্টিকি পোস্টের কোন মুল্য থাকবে না। চলবে... (লেখাটা প্রায় শেষ করে এনেছিলাম। এমন সময় ল্যাপটপের অদ্ভুতুড়ে আচরণে সব শেষ। এদিকে শরীরও চলছে না, যে আবারও বাকিটুকু নতুন করে লিখবো। ফ্লুতে খুবই বেহাল দশা।

তাই আপাতত বিরতি নিচ্ছি। পরের পর্বে শেষ করার আশা রাখি। অনেক ধন্যবাদ সবাইকে। ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।