আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খুব নিরবে বাংলাদেশ আর একবার ধর্ষিত হোল।

দেশ কে ভালবাসি এই যদি হয় আমার অন্যায় তবে আমি অপরাধী আপনি তো খুব ব্যাস্ত রাজাকারের বিচার চাইতে গিয়ে। আসলেই খুব ব্যাস্ত। এতো বড় কাজের মধ্যে ছোট্ট একটা খবর আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি “বাংলাদেশ-ভারত : রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প চুক্তি সই” আচ্ছা শুনুন এই কয়লা বিদ্যুত হলে কি কি পরিবেশ বিপর্যয় হবে তার কয়েক্ টি নমুনা শুনুনঃ ১। সারা দেশে এসিড বৃষ্টি হবে ২। সুন্দরবন ধ্বংস হবে ৩।

এখন ইউনিট প্রতি ৮ টাকা হলেও অচিরেই ভারত কয়লার দাম বৃদ্ধি করে ১৪ টাকা ইউনিট প্রতি করবে। ৪। ধান ও চিংড়ি সমৃদ্ধ রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নে ১৮ হাজার একরের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানে ইতিমধ্যেই ১৮৩৪ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। এর মধ্যে খাস জমি মাত্র ৮৬.১৬ একর বাদে বাকী সবটাই ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। অথচ এই সরকারই জেল জরিমানার বিধান রেখে “কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন” তৈরি করেছে।

নতুন এ আইনে কৃষি জমিতে বসতবাড়ি বা শিল্প কারখানাসহ যেকোন প্রতিষ্ঠান স্থাপনে সরকারের অনুমতি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে দু’বছরের কারাদন্ড এবং ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক দন্ডের বিধান থাকছে। কি রকম তামাশা জনগনের সাথে। আচ্ছা এইবার চলুন দেখি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যে ভারতেও বিদ্যুত যাবে তা হলে এটা ভারতে স্থাপিত হ্লনা কেন? ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি এনপিটিসি’র ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্র জানাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের নরসিংহপুর জেলার ঝিকলি ও তুমরা গ্রামে এনপিটিসি রামপাল কেন্দ্রের মতোই ১০০০ একর জমির ওপর ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২টি ইউনিট নির্মানের প্রস্তাব দিয়েছিল। ভারতের পরিবেশ মন্ত্রনালয়’র এক্সপার্ট এ্যাপ্রাইজাল কমিটি’র এ প্রসঙ্গে দেয়া প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য নির্ধারিত স্থানটি মুলতঃ কৃষিপ্রধান এবং এ বিষয়ে প্রকল্পের স্বপক্ষের লোকদের দেয়া তথ্য গ্রহনযোগ্য নয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শহরের এত কাছে এরকম বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাঙ্খিত নয়। এছাড়াও নর্মদা নদী থেকে প্রকল্পের জন্য প্রতিদিন ৩২ কিউসেক পানি টেনে নেয়াও বাস্তবসম্মত নয়। তাছাড়া প্রস্তাবিত ঐ প্রকল্পের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে সংরক্ষিত বনাঞ্চাল। ভারতীয় পরিবেশ আইনে সংরক্ষিত বনের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যাবেনা। অথচ বাংলাদেশে সেই একই কোম্পানিকে একই ধরনের ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এতে বাংলাদেশে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে সবচেয়ে বেশি। কোন রকম পরিবেশ-প্রতিবেশগত বিবেচনা ছাড়াই সুন্দরবনের কোলের মধ্যেই নির্মান করা হচ্ছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রিয় জন্মভূমি তুমি আর একবার ধর্ষিত হলে। ক্ষমতার ৫ বছর এভাবে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাধারন মানুষের দৃষ্টি বিভিন্ন দিকে সরিয়ে দিয়ে গোপনেও ধর্ষিত হচ্ছে এই মাতৃভূমি। আপনারা কি একবার এই ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলার সময় হবে? নাকি রাজাকারের বিচার চাইতে থেকে আর একবার দেশকে ধর্ষিত হতে দেবেন ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।