আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইহা আমাদের মানসিক সমস্যা

রাস্তায় খুঁজে ফিরি সস্তায় ঘুরে ঘুরে এক কাপ চা একজন লোক যখন কিছু বলে সেইটারে তার বাণী বলে ধরে নেই। কিন্তু সেই লোকটা নিজে যখন এমন একটা কাজ করে বসল যা তার আগের বলা কথাটার সাথে সাংঘর্ষিক তখন এটারে আমরা বলি স্ববিরোধীতা। ইতিহাস মহাপুরুষ বলে অনেকেরেই আখ্যা দেয়। সাধারন চিন্তা থেকেই আমরা ইতিহাসে মহাপুরুষ খুঁজি এবং খুঁজে পাই। ইতিহাসে আমরা মহাপুরুষ খুঁজে পেলেও যা পাইনা তা হল মহানপুরুষ।

কারনটা হইল আসলে ইতিহাসে মহানপুরুষ বইলা কেউ নাই,থাকতে পারেনা। একজন লোক অতি মহা রচনা প্রসব করে মহাকাল ধরে অমর থাকতে পারে যখন তার ব্যাক্তিজীবন লোকদের কাছে লুকানো থাকবে। এই ব্যাক্তিজীবন যতই প্রকাশ হতে থাকে থলের বিড়াল ততই স্পষ্ট হতে থাকে। স্বামী বিবেকানন্দ স্ববিরোধী হতে পারে কিন্তু আনন্দবিরোধী বলে মনে হয়না। লোকটা একটা প্রাণী জবাই করে আনন্দ পেয়েছিল সেইটারে আমরা তার স্ববিরোধীতার প্রমান হিসেবে ব্যাবহার করে এট্টুক সীমাবদ্ধ থাকলে হইত কিন্তু এইটারে কেন্দ্র কইরা যখন তার বিশেদাগার করা হয় তখন তা বিরক্তির বিষয় হইয়া দাঁড়ায়।

তিনি যে স্ববিরোধী ছিলেন সেই সত্য প্রকাশে বাঁধাও দিচ্ছিনা,সত্য জানা জন্মগত অধিকার। মোহাম্মদের কথাও বলা যেতে পারে যে তিনি একটি মহা গ্রন্থ রচনা করেছেন যার নাম আল-কোরআন,যে গ্রন্থ মানুষকে অন্ধকারে ডুবিয়ে রাখে কিন্তু একই সাথে কোটি মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে। এই যে প্রভাবিত করার ক্ষমতাটাই কোরআন এবং মোহাম্মদকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রেখেছে। এখন তার জীবন থেকে আমরা তার বানীর সাথে স্ববিরোধীতা খুঁজে পেতে পারি। যেহেতু তিনি একজন মানুষ তাই আমরা কি তার আনন্দ করার অধিকার কেড়ে নিতে পারি? না,তারও আনন্দ করার অধিকার থাকা উচিত।

সেটা যদি নারী নিয়ে হয় আমার সমস্যা নাই। সেটা যদি ছাগল নিয়ে হয় তখনও আমার সমস্যা নাই। নারী বা ছাগল যদি ইচ্ছাকরে মোহাম্মদের লগে লুটোপুটি খায় তো আমার কি? ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।