আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহাজোটের ভরাডুবির ১০ কারণ

লেখা-লেখির মাধ্যমে দেশ ও জাতির জন্য কিছু করার মানসিকতা আছে। আওয়ামী লীগের পরাজয়ের ১০টি কারন - ১. অতিআত্মবিশ্বাস: ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে একদা যেমন সূর্য অস্ত যেত না তেমনি আওয়ামী লীগের নেতারা ভাবেন কোনো নির্বাচনে তাঁদের কেউ পরাজিত করতে পারে না। যদি কোনো নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতারা পরাজিত হন তখন ভাবেন, এটা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ফল। ২. ষড়যন্ত্র তত্ত্ব: আওয়ামী লীগ বরাবর বন্ধুকে শত্রু এবং নিকটকে দূর করতে পছন্দ করে। কেউ সরকারের সমালোচনা করলে তাঁকে দেশ ও... জাতির শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

আবার সেই শত্রুরা যখন আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে তখন তার দেশপ্রেমিকের সনদ পেতে অসুবিধা হয় না। ৩. সাংগঠনিক দুর্বলতা: আওয়ামী লীগের পুরোনো রাজনৈতিক দল। এই দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাও পুরোনো। চারটি সিটি করপোরেশনের অন্তত তিনটি আওয়ামী লীগের একটি অংশ দলের মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে তলে তলে কাজ করেছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সেই বিরোধ মেটানোর চেষ্টা ছিল না।

৪. বিরোধী দলের শক্তিকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা: ২০০৮-এর নির্বাচনে বিজয়ের পর থেকেই আওয়ামী লীগ বিরোধী দলকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে আসছে। শীর্ষ নেতাদের কথায় চরম অবজ্ঞা ও অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পেয়েছে। মানুষ কখনই এই বিষয়টি ভালো চোখে নেয়নি। ৫. মিত্রদের সঙ্গে অসহযোগিতা: চার সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থীদের ১৪ দলের সমর্থক বলে দাবি করলেও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ১৪ দলের মতামতকে কখনই গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি কাউন্সিলর পদেও শরিকদের মতামত নেওয়া হয়নি।

জোটগতভাবে কোনো তৎপরতাও লক্ষ করা যায়নি। ৬. জাতীয় পার্টির অসহযোগিতা: মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির কমবেশি ভোট সব সিটি করপোরেশন এলাকায় আছে। তাদের মতামত নেওয়া বা সহযোগিতা চাওয়ার প্রয়োজনবোধ করেনি আওয়ামী লীগ। ভেবেছে একক শক্তিতেই নির্বাচনে জিতে যাবে। কিন্তু ২০০৮ আর ২০১৩ যে এক নয় এই উপলব্ধি আওয়ামী লীগ নেতাদের আসেনি।

৭. কাজের চেয়ে কথা বেশি: গত সাড়ে চার বছরে আওয়ামী লীগ নেতারা, তার মন্ত্রীরা কাজের চেয়ে কথাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তারা ভেবেছেন বিএনপি জামায়াতের দুঃশাসনের কথা বলেই জনপ্রিয়তা ধরে রাখা যাবে। সিটি নির্বাচন প্রমাণ করল শুধু কথায় চিড়ে ভেজে না। ৮. বিএনপিকে মৌলবাদীদের দিকে ঠেলে দেওয়া: ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি অনেকটাই জামায়াত থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতারা সব সময় তাদের জামায়াতের সঙ্গে ব্র্যাকেটবন্দী করার কৌশল নিয়েছেন।

এর ফলে সব মৌলবাদী গোষ্ঠী জোটবদ্ধ হয়ে বিএনপিকে ভোট দিয়েছে। ৯. সবকিছুর দায় চাপানো: জামায়াতের যুদ্ধাপরাধের বিচার বিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মানুষ পছন্দ না করলেও বিরোধী দলের তত্ত্বাধায়ক সরকার পুনপ্রতিষ্ঠার দাবিকে সমর্থন করছে। সরকার এই দুটিকে পৃথক না করে সব দায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধী তৎপরতা বলে চালিয়ে দিয়েছে। ১০. শেয়ারবাজার পদ্মা সেতু, হলমার্ক ইত্যাদি কেলেঙ্কারির জবাব না পাওয়া: সরকারের নেতারা বিএনপিকে দুর্নীতিবাজ ও দুঃশাসনের প্রতিভু বলে দাবি করলেও নিজেদের তার চেয়ে উত্তম প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রথম দিকে মন্ত্রীদের কিছুটা পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি থাকলেও ‘আবুল ঘটনায়’ সরকার ও দলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

(সংগৃহীত) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।