আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হে জাতিরজনক আমরা সত্যি লজ্জিত । আমাদের ক্ষমা করুন ।

"সত্য যখন মিথ্যার সামনে দাঁড়ায় মিথ্যা বিলুপ্ত হয়, কেননা মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল" ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেখলাম খালেদাজিয়ার জন্ম দিনে উয়িস করছে । হ্যাপি বার্থ ডে বেগম জিয়া । নিন্দা জানানোর ভাষা নায় । হে জাতির জনক আমরা সত্যি লজ্জিত । আমাদের ক্ষমা করুন ।

যিনি না থাকলে বাংলাদেশ নামের কোন কিছুর জন্ম হতনা সে মহান নেতার মৃত্যুর দিনে যারা উল্লাস করে তারা শুধু জাতির জনক কে অপমান করছে না বরং পুরা জাতিকে অপমান করছে । অপমান করছে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ৩ লক্ষ মা বোন কে । আমাদের মহান মুক্তি যুদ্ধকে। পৃথিবীর কোন দেশে দেশটির জাতির জনক কে এমন অপমান করে বলে আমার জানা নায় । সত্যি সেলুকাস !!! বড়ই বিচিত্র এই দেশ !!! আমার এক বন্ধুর ফেসবুক স্ট্যাটাস: কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রোর নাম গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ডে উঠেছে তার বিরুদ্ধে সর্বাধিক সংখ্যক হত্যা প্রচেষ্ঠা ব্যর্থ হবার কারণে।

৬৩৮ বার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ফিদেলকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এবং পরবর্তীতে যার বিস্তারিত নিয়ে চ্যানেল ফোর প্রকাশ করে "638 ways to kill Castro" নামক ডকুমেন্টারিটি। অর্থাৎ, সর্বাধিক সংখ্যকবার হত্যা চেষ্টাই ইতিহাসের পাতায় অমর করেছে ফিদেলকে। আমি নিশ্চিত গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড যদি কখনো কারো নামে সর্বাধিক সংখ্যক কুৎসা রটানোর কোনো তালিকা করে তবে এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার জন্ম পরিচয় হতে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ধাপ নিয়ে নির্বিচারে নির্জলা মিথ্যাচার চালিয়েছে ছাগুরা। জীবনের বেশীরভাগ সময়েই অত্যাচারী পাকিস্তান সরকারের বিপক্ষে থাকায় এসব মিথ্যাচারে রসদ জুগিয়েছিল সে সময়কার সরকারগুলোও।

কিন্তু দূর্ভাগ্য, ক্ষমতায় থাকার মাত্র তিন বছরের মাথায় তার হত্যাযজ্ঞের পর পুনরায় ক্ষমতাসীন হয় এদেশে প্রো-পাকিস্তানী রাজাকার চক্র, যারাও পূর্ববর্তী পাকিস্তান সরকারের মত কার্পণ্য করেনি তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে। শুধু তাই নয়, জাতির স্মৃতি থেকে মুজিবকে মুছে দিতে তার বিখ্যাত ৭ই মার্চের ভাষণের অরিজিনাল কপি পুড়িয়ে ফেলবারও আদেশ দিয়েছিলো তৎকালীন স্বৈরশাসকরা। তা যাই হোক বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কি বলেছেন। ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেছেন, 'আমি হিমালয় দেখিনি, বঙ্গবন্ধূকে দেখেছি। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও নির্ভীকতা হিমালয়ের মতো।

এভাবেই তার মাধ্যমে আমি হিমালয়কে দেখেছি। ' প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের মতে, 'শেখ মুজিব ছিলেন এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব। ' ফিনান্সিয়াল টাইমস বলেছে, 'মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনই জন্ম নিত না। ' ভারতীয় বেতার 'আকাশ বানী' ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট তাদের সংবাদ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে বলে, 'যিশু মারা গেছেন। এখন লক্ষ লক্ষ লোক ক্রস ধারণ করে তাকে স্মরণ করছে।

মূলত একদিন মুজিবই হবেন যিশুর মতো। ' বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর দিনে লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকান্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে। ' নিউজউইকে বঙ্গবন্ধুকে আখ্যা দেওয়া হয়, "পয়েট অফ পলিটিক্স বলে"। বৃটিশ লর্ড ফেন্যার ব্রোকওয়ে বলেছিলেন, "শেখ মুজিব জর্জ ওয়াশিংটন, গান্ধী এবং দ্যা ভ্যালেরার থেকেও মহান নেতা"। আফসোস, আমরা এমন এক জাতি, অন্যরা বুঝলেও কী হারালাম তা আমরা নিজেরাই বুঝে উঠতে পারিনি কখনো।

এই শোকের দিনে আমরা শোকাহত । আল্লাহ এই মহান নেতাকে জান্নাত দান করুন । আমীন । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।