আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাল টাকা শনাক্তে পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে নতুন অধ্যায়

বাংলাদেশ ব্যাংকের বারবার সতর্কতার পরও জাল নোট সনাক্ত করতে ব্যর্থ হচ্ছেন অনেকেই। আর এ কারণে তাদেরকে পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়। তাই সর্বস্তরের জনগণের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের আসল ব্যাংক নোট ও জাল নোটের মধ্যে পার্থক্য শিখাতে তাদের পাঠ্যবইয়ে এ বিষয়টি সংযুক্ত করার জন্য শিা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে আগামী বছর থেকেই পাঠ্যবইয়ে এ বিষয়টি নিয়ে একটি অধ্যায় যোগ করবে শিাবোর্ড। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আসল ব্যাংক নোট ও জাল নোট সম্পর্কে সচেতন মানুষকে সচেতন করতেই পাঠ্য বইয়ে একটি অধ্যায় সংযোজন করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, ব্যাংক ডিপ্লোমা ও সাধারণ ডিপ্লোমা কোর্সে এ অধ্যায় সংযোজন করার প্রস্তাব করা হবে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়োগ পরীা, বিসিএসে পরীাসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীায় এ বিষয়টি সংযুক্ত করা হবে। জনগণকে সতর্ক করার পদপে হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ প্রস্তাব দিবে বলে জানা গেছে। এজন্য একটি প্রস্তাবনা চুড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দাশগুপ্ত অসীম কুমার বলেন, জাল টাকা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবরই সতর্ক রয়েছে।

জনগণকে সতর্ক করতে বিভিন্ন সময় টিভি ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। কিন্তু জনগণ বিজ্ঞাপন ভালভাবে দেখে না। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে পাঠ্য বইয়ে ব্যাংক নোট ও জাল নোট বিষয়ে একটি অধ্যায় সংযোজন করা হয়। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাবনা শিা বোর্ডে খুব শিগগিরই পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। নতুন এ অধ্যায় যুক্ত হলে মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা আসল ও জাল নোটের পার্থক্যগুলো বুঝতে পারবে।

একইভাবে শিকরা এ বিষয়ে জানার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে অভিভাবকরাও এ সম্পর্কে জানাতে পারবে। বাংলাদেশে ব্যাংকের প্রস্তাবনায় ওই অধ্যায়ে আসল নোট চেনার তিনটি প্রধান বৈশিষ্ট নিরাপত্তা সূতা, রং পরিবর্তনশীল কালী ও অসমতল বা খসখসে ছাপা বিষয়ে আলাদা আলাদা অনুচ্ছেদে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া থাকবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকসূত্রে জানা গেছে। জাল নোট ও আসল নোট চেনার উপায়, জাল টাকা পেলে করনীয় কি, জাল টাকা সম্পর্কিত অপরাধের শাস্তি ও টাকা যতœ নেয়ার উপায় সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় ওই অধ্যায়ে সংযুক্ত থাকবে। এছাড়া অধ্যায়ে অধ্যায়ের শেষে সম্ভাব্য কি কি প্রশ্ন হবে সেটাও ঠিক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি করা ওই অধ্যায়ে দেখা গেছে অধ্যায় শেষে ২৬টি প্রশ্নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

জাল টাকা ছাড়াও মুদ্রা বা টাকার বিভিন্ন বিষয় যেমন, টাকা ইতিহাস, মুদ্রা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের কারা, কোন কোন নোটে গভর্নরের স্বাক্ষর থাকে, কোন কোন নোটে থাকেনা এবং কেন থাকেনা, বাংলাদেশের নোটগুলো কোন দেশের কোন প্রতিষ্ঠান হতে ছাপানো, ধাতব মুদ্রা বা কয়েন আমাদের দেশে মিন্ট করা হয় কিনা, অন্ধ ব্যক্তিরা কিভাবে নোট চিনবে সেসব বিষয়সহ প্রভৃতি বিষয় যুক্ত করা ওই অধ্যায়ে যুক্ত থাকবে বলে জানা গেছে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।