আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ড. ইউনূসের করের নথি তলব অবৈ..........ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কর সংক্রান্ত নথি তলব করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে সরকারের চিঠি দেয়া অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তিনি বলেছেন, এনবিআর একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। কোন সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানকে সরকার নির্দেশ দিতে পারে না। ১৯৬৭ সালে বিচারপতি মোর্শেদ এ নিয়ে রায় দিয়েছিলেন। ওয়াদুদ মল্লিক বনাম ডিআইটি মামলায় ওই রায় দেয়া হয়েছিল।

ইউনূস সাহেবের আইনজীবীদের উচিত এনবিআরকে সরকারের দেয়া চিঠি চ্যালেঞ্জ করা। গতকাল সুপ্রিম কোর্টে নিজ চেম্বারে মানবজমিন এবং অন্য একটি দৈনিকের সঙ্গে আলাপকালে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক এসব কথা বলেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সরকারের আচরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা খুবই অস্বাভাবিক। ভদ্রদেশে মানী লোককে এভাবে অসম্মান করা হয় না। এতে সরকারের গৌরব বাড়ে না।

আমাদের দেশে মর্যাদাবান লোকের মর্যাদাহানি করা কালচারে পরিণত হয়েছে। দুই নেত্রীর সংলাপ এবং নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়েও কথা বলেন সাবেক এটর্নি জেনারেল রফিক-উল হক। জরুরি জমানায় তিনি একই সঙ্গে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ছিলেন। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ দিকে দুই নেত্রীকে সংলাপে বসানোরও উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

তিনি বলেন, সে সময় আমি তাদের দু’জনের সঙ্গেই কথা বলেছিলাম। আমার সংলাপ উদ্যোগে দুই নেত্রী সায় দিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগে দুই নাম্বার পদধারী ব্যক্তির বাধার কারণে সে সংলাপ প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়। এখন তা নিয়ে আর বিস্তারিত বলতে চাই না। ব্যারিস্টার রফিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি রাজি থাকলে আপনি নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হবেন কিনা? এ প্রশ্নে উচ্চস্বরে হেসে ওঠেন প্রবীণ এ আইনজীবী।

বলেন, কখনওই না। আমার বয়স পেরিয়ে গেছে। তাকে বলা হয়, পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে আপনি বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব এলে আপনি রাজি থাকবেন। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, কখনওই না। গত ৬ই আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এনবিআর এবং বিভিন্ন ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়।

এতে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশী টাকায় অর্থ ও কর সুবিধা পেয়েছেন কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। এর আগে বর্তমান সরকারের আমলেই ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে অপসারণ করা হয়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।