আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অমরত্ত্ব-ধর্ম-অধর্মে,বিজ্ঞান-অবিজ্ঞানে বিশ্বাস-অবিশ্বাসে।(একটি অতি আধ্যাত্মিক গবেষনা মূলক পোস্ট)০৩ পর্বে সমাপ্ত।আজকে দ্বীতিয় পর্ব

আমি কখনো যায়নি জলে,কখনো ভাসিনি নীলে,কখনো রাখিনি চোখ ডানা মেলা গাঙচিলে বিজ্ঞানের মতে এখন পর্যন্ত প্রানের বা আত্মার কোন অস্তিত্ব আবিস্কার হয়নি। বিজ্ঞান মানুষকে অমর করতে চেয়েছে কিন্তু মজার ব্যাপার হলো প্রান বা আত্মা কে সংগায়িত করতে পারেনি। তারা চেয়েছে শরীরটে দীর্ঘজীবি হোক- ফ্রী রেডিকেলস কমাতে ,সেল ডিভাইডেশন কমাতে বা এন্টি অক্সিডেন্ট বাড়িয়ে জীবন দীর্ঘায়ু করতে। কিন্তু আসলে মানব শরীর নশ্বর । এমনকি আল্লাহ ও বলেছেন তিনি জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করার জন্য আমাদের প্রতিবার নতুন নতুন শরীর দিবেন।

যেহেতু ব্যাপারটা পৃথিবীতে ঘটছে না তাই বলা যাতেই পারে যে বয়স বাড়ানো মানে আসলে জরাগ্রস্ত করা কারন এখন পর্যন্ত সকল রোগের ঔষধ আবিষ্কৃত হয়নি। তাই সম্ভব হয়নি মানব দেহকে অবিনশ্বর করা । আর তাই শ্বাব্দিক অর্থে অমরত্ম সম্ভব নয়। এবার আসি এই পোস্টের সবচাইতে আধ্যাত্মিক অংশে। প্রানীর মূল চালিকা শক্তি হলো প্রান বা আত্মা ,যাই বলেন না কেন? আসলে এই আত্মাটা কি ? বিজ্ঙান বলে প্রানীকোষ চালিত হয় নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমের সমন্বয়ে কিন্তু তবে চালিকা শক্তি কি?এখানেই এসে মিলিত হয় বিজ্ঞান ও অপবিজ্ঞান।

বলা হয় এ হচ্ছে এক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক শক্তি। এর পিছনে যুক্তি হলো যে মানুষে উপর ভৌগলিক চৌম্বক প্রভাব আছে আবার কোন খারাপ কিছু সামনে আসার আগে বা ঘটার আগে মানুষ টের পায় । অনেকেই ব্যাক্ষা করেছে এটা হয় আসলে এই ইলেকট্রোম্যাগনেটিক শক্তি দ্বারা । একেকজনের ক্ষেত্রে এ শক্তি একেক রকম একেক ধরনের । এ শক্তি খালি চোখে দেখা যায়না কিন্তু 'অরা' ক্যামেরা দ্বারা এর ছবি তোলা যায়।

এবং এতে দেখা যায় মানুষের আচরন মনের অবস্হা ও বয়স ভেদে এই 'অরা' বিভিন্ন রকম। দেখতে আবার মৃত মানুষের ক্ষেত্রে এই অরা থাকে অনুপস্হিত। 'অরা'র শাব্দিক অর্থ হলো আলোর ছটা। কিরলিয়ান ফটোগ্রাফিView this link নামক এক প্রকার ফটো গ্রাফি আছে যা দিয়ে প্রানের অস্তিত্ব বোঝা সম্ভব । এমনকি সদ্য ছেড়া পাতার ছবি তোলা হলে সেখানে মাত্র ছিড়ে ফেলা পাতার অবয়বও ফুটে উঠে আসলে যার অস্তিত্ব ই নেই।

কিছুক্ষন পরে ছবি তুললে অবশ্য সঠিক ছবিটিই আসে। কিন্তু এক্ষেত্রে আলোটা আমাদের চোখে দৃশ্যমান নয়। তবে কি এ দিয়ে কুকুরের চোর দেখে চিৎকার করার ব্যাক্ষা পাওয়া যায়, বা রাতের বেলায় কোন কিছু দেখে কুকুরের চিৎকার করা এই আলোর উপস্হিতিতেই নয় তো? হতে পারে মানুষের ভিতরের যে পজিটিভ এনার্জি থাকে তা যদি কোন নেগেটিভ এনার্জির সামনে আসে তবে আমাদের নিজেদের অজান্তেই আমাদের শরীর রিআ্যাক্ট করে এজন্যই কি আমাদের গা ছমছম করে উঠে বা আমরা অস্বস্তি বোধ করি? এবার দ্বীতিয় প্রশ্ন। এই ইলেকট্রোম্যাগনেটিক শক্তি কি আমরা নিয়ন্ত্রন করতে পারি?আর যদি পারি তবে কি আমরা আত্মাকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবো?যদি পারি তবে কি অমরত্ত সম্ভব? মানে আত্মার অমরত্ম যা মানুষের নিয়ন্ত্রনাধীন? এবার আসুন অপবিজ্ঞনের কথা ..বিশ্বাস করার দরকার নেই , আমি নিজেও করিনি...যেহেতু গবেষনা মূলক পোস্ট তাই লিখছি.......। হিমালয়ের মুনিঋষিরা প্রায় মৃত্যুকে জয় করে ফেলেছেন ,ক্ষুধা তৃষ্না,জরাকে জয় করেছে।

তাদের কে খোজ করতে যেয়ে দেখি সেখানে শতায়ু অনেক মুনি রয়েছেন তাদের না শরীরে আছে কোন বয়সের ছাপ যেমন মুনি কার্তিক যার বয়স ৩০৫ বছর- এবং ওনার শিষ্য ধীরেন্দ্র ব্রহ্মচারী যার বয়স ১০০ বছর- এসব দেখে যখন মাথা পুরোই খারাপ হবার অবস্হা তখন দেখি এনাকে। এনার নাম মহামুনি বাবাজী। কথিত আছে উনার বয়স ১৮০০ বছর। আসলেই কি সম্ভব .........। হিন্দুশাস্ত্র উপনিষদে পরমায়ু লাভ করার যজ্গ বা ধ্যান নিয়ে লেখা আছে।

ওনাদের জীবনিতে একটা বিস্তর মিল পাওয়া যায় আর তা হলো ওনারা প্রত্যেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে থাকেন এবং জীবনের কোন না কোন সময়ে এরা নিজেদের হৃদপিন্ডকে আয়ত্তে এনেছিলেন। কার্তিকের ব্যাপারে বলা হয় তিনি নাকি কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের হার্ট বন্ধ করে দিয়েছিলেন যা মৃত্যুর ই নামান্তর । আর আমরা আগেই দেখলাম যে মৃত্যুর পরবর্তী ধাপ হলো অসীম জীবনের। আবার মহামুনি বাবাজী সমন্ধে বলা আছে আরও শিউরে ওঠা কাহিনী আর তা হলো তিনি তার ১৮০০ বছরের জীবনে নিজের শরীর পরিবর্তন করেছে। মহামুনি বাবাজী-কায়া কল্প তবে কি তিনি অমরত্তের স্বাদ পেয়েছেন? সেই অমর আত্মার ধারক হিসেবে নতুন শরীর নিয়েছেন ।

ওনার এক শিষ্যের সামনে উনি ওনার প্রান বায়ু বের করে তিন ভাগ করেন এবং শেষের ভাগ দিয়ে নিজের পুরোনো শরীর থেকে একটি নতুন শরীর ফিরে পান । তার পুরোনো শরীর উনি নিজেই আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন। এই পদ্ধতির নাম হলো কায়া-কল্প যোগ। আমি বিষয় টি সম্পর্কে কিছুই জানি না উপনিষদ কি? কোথায় পাওয়া যাবে ,কোথায় ই বা এ সমন্ধে লেখা আছে তা সমন্ধে অনেক হিন্দুদেরই ভাসা ভাসা ধারনা তবে প্রত্যেকেই স্বীকার করেছে যে তাদের ধর্ম প্রন্থ বা উপনিষদে অমরত্তের উপায় নিয়ে বিষদ লেখা আছে। শেষ কথা- আমি অমরত্ত নিয়ে ঘাটঘাটি করতে যেয়ে এসব পেয়েছি।

যে কেউই পাবেন। বিশ্বাস অবিশ্বাসের দায়ভার পুরোপুরি পাঠকের উপর। যা পেলাম আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। কারো ধর্মীয় অনুভুতি বা বিশ্বাসে আঘাত দেয়া আমার প্রয়াস নয়। প্রথম পর্ব এখানে।

(আগামী কাল শেষ পর্ব) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।