আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেডিকেলে নতুন ভর্তি পদ্ধতি গ্রামের শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে দেবে

এমবিবিএস ও বিডিএস এ ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে গ্রামের এবং তুলনামূলক মাঝারি ও খারাপ মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীরা। কেননা এসব শিক্ষার্থীরা শহরের এবং ভাল কলেজের শিক্ষার্থীদের তুলনায় কম জিপিএ পেয়ে থাকে। যতই তারা মেধাবী হোকনা কেন। মুখস্থ বিদ্যা নির্ভর এসএসসি ও এসইচএসিসর রেজাল্ট কোনভাবেই একটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মানদন্ড হতে পারেনা। এতে করে প্রকৃত মেধাবীরা ভর্তির সুযোগ পাবেনা।

সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য চলতি বছর থেকে আর ভর্তি পরীক্ষা নেবেনা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের জিপিএর ভিত্তিতেই এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আবেদনের জন্য দুই পরীক্ষা মিলিয়ে অন্তত ৮ জিপিএ থাকতে হবে। বাংলাদেশের সবগুলো মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ মিলিয়ে মোট ৮ হাজার ৪৯৩টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ২২টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ২ হাজার ৮১১টি।

আর ৫৩টি বেসরকারি মেডিকেলে ৪ হাজার ২৪৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ৯টি ‘পাবলিক’ ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ৫৬৭টি আসন রয়েছে। আট হাজার ৪৯৩ টি আসনের মধ্যে ৪,২৪৫ টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের আসন বড় লোকের জন্য সংরিক্ষত। বাকি সরকারি মেডিকেলের আসনগুলোর জন্য লড়বে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে িজপিএ ৮ পেয়েছে হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী।

কিভাবে কিসের ভিত্তিতে এদের ভর্তি করানো হবে? সন্দেহ হচ্ছে এ ক্ষেত্রে আর্থিক লেন, দূর্নীতি,রাজনীতিকরণ আর স্বজনপ্রীতি হবে। আমাদের র্দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হওয়া স্বাস্থ্য প্রশাসন আরো দুর্নীতিতে ডুবে যাবে। দুর্নীতিকে হালাল করে নেওয়ার একটা সহজ পদ্ধতি বের করা হল আরকি! আওয়ামী লীগ আমলে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি আমলে বিএনপি দলীয় নেতাদের পুত্র কন্যারা ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রথম বছরেই প্রশ্নবিদ্ধ হবে ভর্তি প্রক্রিয়া। মেডিকেল শিক্ষাকে শহুরে বড়লোকদের জন্য সংরক্ষিত করে ফেলা হবে।

গ্রাম এবং অনগ্রসর এলাকার জন্য কোন কোটা রাখা হবে কিনা আর রাখা হলে সেটা কিভাবে নিশ্চিত করা হবে এমন অসংখ্য প্রশ্ন রয়েই যায়। যা শোনা যাচ্ছে তাতে ভর্তি পরীক্ষার ঝামেলা থেকে বাঁচা এবং কোচিং সেন্টারের দৌরাত্ব বন্ধ করার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এটা অনেকটা মাথা ব্যাথা দূর করতে মাথাই কেটে ফেলার মত অবস্থা। গুটিকয় কোচিং সেন্টারের জন্য এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয়া শাসক শ্রেণীর ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এমন সিদ্ধান্তের ফল কি হতে পারে সরকার কি তা ভেবেছে? মেডিকেল শিক্ষায় এ ভর্তি পদ্ধতি বৈষম্য সৃষ্টি করবে কিনা তা কি ভেবেছে সরকার? এমন জঘন্য আর বাজে সিদ্ধান্ত এ সরকার আর কত নেবে? তাই কতদিন পর আবার এ সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হয় তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

অপেক্ষায় থাকলাম দেখার জন্য যে, সরকারেরর এ সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর ও ফলপ্রসু হয়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.