আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রণবীয় চাণক্য-প্রতারণাঃ ঘোষিত ২০ কোটি ডলার অনুদানে আবার ভারতীয় মন্ত্রীসভার অনুমোদন লাগবে ও নানা শর্ত!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ভারত যদি বাংলাদেশকে এক বিন্দু চিনি দান করার ঘোষণা করে সেটা আওয়ামী-বাকশালীদের কাছে একটি বড় রসগোল্লার মত মনে হয়। তাতেই কত প্রশংসা ও প্রচারণা বা প্রোপাগান্ডা যে ভারত কত বাংলাদেশকে ভালবাসে। যেন ভারত আমাদেরকে উদার হস্তে সাহায্য করে। কিন্তু স্বাধীনতার পর ১৯৭২ হতেই বুঝা গেছে যে ভারত কি চিজ! বিবেকবান মানুষ মাত্রই তা স্বীকার করবেন। তবে বাকশালী ও তাবেদার গংদের কাছে ভারত প্রভু তুল্য।

এই বছরের মে মাসে বাংলাদেশে সফরে এসে ভারতীয় সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমানে রাষ্ট্রপতি প্রণব মূখার্জী জানান যে ২০১০ সালে হাসিনার সাথে দিল্লীতে স্বাক্ষরিত যে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ দিবে তার ২০ কোটি ডলার হবে অনুদান হিসেবে। শুধু তাই নয় এখানে পূর্বে নির্ধারিত সুদের হার ১.৭৫% এর বদলে ১% এবং ৮৫% ভারতীয় দ্রব্যাদির বিষয়টিও শিথিল করা হবে; Click This Link তো এই ছিল এই বছর মন্ত্রী হিসেবে প্রণবের শেষ সফর। ভারতের কেন্দ্রে অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার এই ঘোষণা নিশ্চয়ই ফেলে দেওয়ার মত নয়। তিনি অবশ্যই ভারতীয় প্রধানমমন্ত্রী মনমোহন সিং সহ দেশটির নীতিনির্ধারকদের অনুমোদন নিয়েই এ কথা বলেছেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের সরকার নাকি ভারতীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার অনুমোদন ছাড়া এই ২০ কোটি ডলার তো ব্যাবহার করতেই পারবে না উপরন্ত নানান শর্তের বেড়াজাল; Click This Link ইংরেজী দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের উপরোক্ত রিপোর্ট মোতাবেক দেখা যাচ্ছে যে প্রণব বাবু বলেছিলেন বাংলাদেশের জরুরী তথা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে সমস্ত প্রকল্প করা দরকার সেগুলো এই অনুদান ও ঋণ দিয়ে করতে পারবে।

এই বিষয়ে ভারত সরকার মাত্র ১২৯ মিলিয়ন বা ১২ কোটি ৯০ রক্ষ ডলার ঋণ ছাড় করেছে। এখন দিল্লী গভীর ভাবে ২০ কোটি ডলার কথিত অনুদান নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। একে তো অনুমোদন লাগবেই তার উপর তাদের নিদের্শনা মোতাবেক ব্যাবহার করতে হবে। এরই মাঝখানে দিল্লী এও বলেছিল যে বাংলাদেশ ইচ্ছা করলে এই ১০০ কোটি ডলার পদ্মা সেতু নির্মাণেও ব্যায় করতে পারে। কিন্তু দিল্লীর বর্তমান অবস্থানে বুঝা যাচ্ছে যে বিষয়টি অত সোজা নয়।

তাদের এই অর্থ তাদের ইচ্ছা মাফিক ব্যাবহার হতে হবে। তবেই ভারতীয় ক্যাবিনেট এটার অনুমোদন দিবে। তাই হাসিনার মহাজোট চাইলেই এটা পদ্মা সেতুর জন্য ব্যাবহার করতে পারবে না। প্রণব বাবু যেভাবে বলে গেছিলেন তাতে আওয়ামী-বাকশালী গং খুব খুশী হয়েছিল। যেন হাতে আকাশের চাদ পেয়ে গেছে।

এখন কি পদ্মা সেতু অথবা অন্যান্য রাস্তা, সেতু বা রেলের উন্নয়ন ঘটাতে ভারতীয় উপকরণ এবং ঠিকাদার নিয়োগ দিতে হবে। ২০ কোটি অনুদান দিলেও বাকী ৮০ কোটির জন্য ১% সুদ দিতে হবে। তাতে অবস্থা দাড়াল ভারতীয় উপকরণ, ঠিকাদার এবং সুদ সবই দিল্লীর অনুকূলে। আর আমরা তথাকথিত ট্রানজিটে কি মাশুল পাব সেটা নিশ্চিত নই। আর এই দিকে প্রণব বাবুকে তার দল কংগ্রেস রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য প্রার্থী করল আওয়ামী শিবির সহ আমাদের সুশীলরা খুশীতে আত্নহারা যে একজন বাঙালী ভারতীয় রাষ্ট্রপতি হবে।

অনেকে এই নিয়ে এও বলেছে এতে নাকি বাংলাদেশ দারুণ উপকৃত হবে। আরে প্রণব এখন আমাদের জিল্লুর রহমানের মতই ঠুটো জগন্নাথ। তার পক্ষে মনমোহন ও সোনিয়া গান্ধীর মতামতের বাইরে যাওয়া অসম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর পরে অর্থমন্ত্রী হিসেবেই ছিল ভারতে প্রণবের ক্ষমতা। তা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ হাসিনার মহাজোট আমলে কি উপকার পেল? এখন আবার ঠুটো জগন্নাথ হতে উচ্চাশা।

ভারতীয় কেন্দ্রের একজন মন্ত্রী ঋণের একটা অংশ অনুদান এবং শর্ত শিথিল করে গেলেন সেখানে যখন বিষয়টি আর সহজ থাকছে না তখন তিনি প্রেসিডেন্ট হয়ে কিভাবে নতুন কিছু বাংলাদেশের জন্য করবেন? ভারত সেই ১৯৭২ সাল হতে স্রেফ চাকচিক্য ও চাণক্যতা দেখিয়ে বড়াই করে যাচ্ছে। তাতে বাংলাদেশ তেমন উপকৃত হয়নি। যতদিন না ভারতীয় দালাল ও চামচাদের কবল হতে আমরা মূক্ত না হচ্ছি ততদিন ভারত এভাবেই আমাদের ধোকা ও কষ্ট দিবে। ভারত নিজেই জনসংখ্যা, র্দূনীতি ও চরম দরিদ্রতায় জর্জরিত। তার আছে কেবল মুখে মুখে মিষ্টি কথা ও আশ্বাস দেওয়া।

বাস্তবে অন্তসার শূন্য। খালি কলসি বাজে বেশী। দালাল আলীগ ও হাসিনা এই খালি কলসি বাজাতে দারুণ পরাঙ্গম!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।