আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

HE WILL SPIN A LOT OF GIRL'S HEART(তওবা তওবা)

আমি রুন, রায়ান এর মাম্মা,এই পরিচয়ই দিতে পছন্দ করি । আমার ছেলে সারাদিনই রঙ-বেরঙ এর কাণ্ড করে বেড়াচ্ছে । আজ তার কিছু শেয়ার করবো । কিছু নির্দোষ ভালোমানুষি টাইপ আর কিছু ‘বড্ড বেশী দুষ্ট’ টাইপ । কাণ্ড ১ ছেলে আমার স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে ।

কিছু ফ্রেন্ড ও হয়েছে তার । কিন্তু কারো নামই ও বলেনা। তো গত সপ্তাহে আমি বেশ কিছু ঈদ কার্ড এনে বললাম, বাবা এই গুলো তোমার বন্ধুদের জন্য । তুমি যে কটা বন্ধুর নাম বলবে আমি ঠিক সেই কয়টা কার্ড তোমাকে দিবো । কথা শুনে বাপ আমার চিন্তিত ।

তবে চেহারা দেখে মণে হল টোপ গিলেছে । আস্তে আস্তে ও ৫ টা নাম বলে ৫টা কার্ড নিয়ে মিটমিট করে হাসছে । হায় খোদা, পোলা আমার কয় কি ! ৫ টাই তো মেয়ে । মনে পড়ল ওর জন্মের পর ওকে দেখে আমার দোস্ত বলছিল ‘HE WILL SPIN A LOT OF GIRL'S HEART (তওবা তওবা কি কয় এইসব)’ । লক্ষন তো ভালো না।

৫ টার মধ্যে একটা ও ছেলের নাম নাই । কাণ্ড ২ ইদানীং সে সবকিছুর সাথে একটা ভাইয়া যোগ করছে । চেয়ার ভাইয়া, টিভী ভাইয়া, টেবিল ভাইয়া ইত্যাদি ইত্যাদি । তো আমি একবার তাকে বললাম ‘বাবা সু-সু করবে?’ তার উত্তরঃ ‘নুনু ভাইয়ার সু-সু আসেনি । ’ আমি টাশকীতো , বাপ আমার তুই ভাইয়া ডাকার জন্য আর কিছু পেলিনা ! কাণ্ড ৩ ছেলে আমার এমনিতে শান্ত ।

মারপিট তেমন করে না । কিন্তু একদিন সে তুলকালাম করে ফেললো । ঘটনা ছিল এমন – ওর বাবা অফিস থেকে এসেছে, সাথে তার বন্ধু মোড়শেদ । প্রতিদিন এই সময় রায়াণ এর সাথে ওর বাবা গূটূড়-পূটূড় করে । আজ রায়াণ বাবার ফুল এটেণশাণ পাচ্ছে না ।

বাবা মোড়শেদ এর সাথে গল্পে মশগুল । রায়াণ ক্ষ্যাপা । নানা কাণ্ড করছে বাবার এটেণশাণ পাওয়ার জন্য । কিন্তু কাজ হচ্ছে না। তার পর সে আটলো ফুলপ্রুফ প্লান ।

হটাত সে মোড়শেদের কাছে গেলো আর আমরা শুনলাম ‘ঠাশ’ । সর্বনাশ ! রায়াণ মোড়শেদের গায়ে সোয়া-তিন সিক্কার একখানা চটকণা কষিয়েছে । কর্ম সারা , বাবা কেন আমাদের সবার মনোযোগই এখন রায়াণ এর দিকে । আবার না কোন কাণ্ড ঘটায় । এই হল আমার রায়াণ, যে কিনা সারাক্ষণই বিজি এটা ওটা নিয়ে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।