আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক অসামান্য বীরের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্প

Loading... তাঁকে সবাই ক্যাপ্টেন নিজাম হিসেবে চিনত। ছয় ভাইয়েরর মধ্যে পাঁচজনই তখন যুদ্ধক্ষেত্রে। সম্ভবতঃ শহীদ খাজা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়াই এদেশের সবচেয়ে বড় দেশ প্রেমিক। তিনি না পোষাকধারী, বেতনভোগী কোন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ছিলেন না কোন রাজনৈতিক দলের নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন পুরোদস্তুর পেশাজীবী মানুষ।

কর্মরত ছিলেন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে (বর্তমান রূপসী বাংলা) কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস পদে। পড়াশুনা করতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-তে। পরিচিত ছিলেন কবি হিসেবে। কখনও গিটার উঠিয়ে টুংটাং কিছু একটা করার চেষ্টা করতেন কখনও বা রবীন্দ্র সঙ্গীতের কলি আওড়াতেন। থাকতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে।

কৈশোরের অভ্যাসগুলো তখনও পিছনে ফেলতে পারেন নি। তাই চুটিয়ে আড্ডা জমাতেন বন্ধু মহলে। পিত্রালয়ে যখন যেতেন ঘুরে বেড়াতেন পাড়াময়। ১৯ এপ্রিল তিনি ঢাকা থেকে পালিয়ে যান। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২২।

তিনি সিলেট অঞ্চলের ৪ নম্বর সেক্টরের তিনি সাব-সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পান। একজন অসামরিক সদস্য হয়েও এত বড় দায়িত্ব পাবার নজির আর নেই। তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন ৪৮৮ জন মুক্তিযোদ্ধা। কানাইঘাট অঞ্চলে এ দলটি এত কুশলতার সঙ্গে যুদ্ধ পরিচালনা করতে থাকে যে ভারতীয় বাহিনী তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে। রণাঙ্গনে তিনি এতই চৌকস ছিলেন যে লোকজন তাঁকে সামরিক বাহিনীর কোন অফিসার মনে করত।

তাঁর সহযোদ্ধারা বলেন, মনে হচ্ছিল তিনি শহীদ হবার মিশন নিয়েই অভিযানের নেমেছেন। আজও অনেক বীরউত্তম মনে করেন শুধু মাত্র অসামরিক হবার কারণেই তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দেয়া হয়নি। এই মহান বীরের প্রতি স্যালুট! *wikipedia.org থেকে নেয়া *বীর উত্তম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরস্কার। মোট ৬৮ জনকে এই উপাধিতে ভূষিত করা হয়। সমাধীস্থলের পাশে লেখক  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।