আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ : শ্রীলঙ্কাকে হারাল বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে ২৫ রানে হারিয়ে বাংলাদেশের যুবারা প্রথম চ্যালেঞ্জে উতরে গেছে বেশ ভালোভাবেই। এই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক আনামুল হক। তাঁর ১০১ রানের ওপর ভর করেই প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২৪৯ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয় ২২৪ রানে।

আনামুল হকের যোগ্য সঙ্গী ছিলেন আসিফ আহমেদ। আসিফের ব্যাট থেকে আসে ৮৪ রান। বল হাতে সফলতম বোলার সৌম্য সরকার। মাত্র ১.৪ ওভার বল করে ১০ রানের বিনিময়ে সৌম্য দখল করেন ৩ উইকেট। তাসকিন আহমেদ ২ উইকেট নিয়েছেন ৪৪ রানের বিনিময়ে।

এ ছাড়া নাসুম আহমেদ, নাঈম ইসলাম জুনিয়র ও দেওয়ান সাব্বিরের সংগ্রহ ১টি করে উইকেট। ব্রিসবেনের অ্যালান বোর্ডার মাঠে সকালে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের শুরুটা অবশ্য দুঃস্বপ্নময় ছিল বাংলাদেশের জন্য। স্কোর বোর্ডে কোনো রান না তুলেই বিদায় নিতে হয় সৌম্য সরকারকে। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক আনামুল লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন ইনিংস মেরামতের কাজ।

দলীয় ৪২ রানে লিটন আউট হন ৪ রানে। এরপর আনামুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আসিফ আহমেদ। এই দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে ১৪১ রানের জুটি। আনামুল ১০১ রানে করে এলবিডব্লিউ হন কুশলের বলে। আসিফ আহমেদ আউট হন ব্যক্তিগত ৮৪ রানে।

আনামুল ও আসিফের পর আল-আমিনের ২১ ও নূর হোসেনের ১৪ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৪৯। জয়ের জন্য ২৫০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তুলনামূলক শ্রীলঙ্কার শুরুটা ছিল ভালো। দলীয় ৪২ রানে শ্রীলঙ্কার প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। পেরেরাকে ২৫ রানে ফেরান তাসকিন আহমেদ। উইকেটের পেছনে পেরেরার ক্যাচটি ধরেন উইকেটরক্ষক নূরুল হাসান।

৪৬ রানে আরও এক শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান ওয়াদুগেকে ফেরত পাঠান নাসুম আহমেদ। ওয়াদুগের ক্যাচটি ধরেন আসিফ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে আরও ৩টি উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বাংলাদেশের পক্ষে বাকি উইকেটগুলো নেন দেওয়ান সাব্বির ও নাঈম ইসলাম জুনিয়র। এই দুই বোলার ফেরত পাঠান উইরাক্কোদি ও ফার্নান্দোকে।

রান আউটের শিকার হন মাদুশাঙ্কা। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ব্যাট হাতে দারুণ লড়েছেন আজাদাল্লা জয়াসিংহে। তাঁর সংগ্রহ ৮৩ রান। এ ছাড়া মাদুশাঙ্কা ৪৮ রান করেন। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের একেবারে শেষদিকে বল হাতে নিয়ে লঙ্কান ইনিংসে ধস নামান সৌম্য সরকার।

ব্যাট হাতে ব্যর্থতার জ্বালা মেটান মাত্র ১.৪ ওভারে ১০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে। সৌম্যর এই ৩ উইকেটই শেষ পর্যন্ত টার্নিং পয়েন্ট বিবেচিত হয়। নয়তো হাতে উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার পক্ষে ২৪৯ রান টপকে যাওয়া খুব একটা কঠিন কিছু ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যাট-বলের মিলিত নৈপুণ্যে জয় সুনিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।