আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এত সেকুলার সেকুলার কইরা কাম হইবো না ৫ হাজার মুতর্ি ভাঙ্গার পরেও সেই পাবলিক আমাগোই ভোট দিছে

সেকুলার দিয়া এইবারের সংসদ নিবর্াচনে নৌকা পাড়ে ভিড়ানো সম্ভব না । কিছুটা হইলেও মে য় র নিবর্াচনে বুঝাগেল ; তা'হারা বুঝাইয়া দিলো এত সেকুলার সেকুলার কইরা কাম হইবো না, গত চার মাসে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মুতর্ি ভাঙ্গার পরেও সেই পাবলিক আমাগোই ভোট দিছে, ইনশাহ আল্লাহ ভবিষ্যতেও দিবো ।   এইবার নতুন একটা কিছু করতে হবে, যেমুন দরেন গিয়া হেফাজতের লাহান মতিঝিল দখল করুম আর আমগো ক্ষেদাইতে সরকারী বাহীনির মানুষ আইবো আর পরের দিন সকালে গাইয়া বেড়ামু আমগো ৫,৫৪৬ জন গায়েব । আর এই ৫,৬৪৬ জনের আত্বীয় স্বজন চিক্কুর পাইরা কানতে কানতে বাংলাদেশের আকাশ বাতাস ভাড়ি বানাইয়া হালাইতে হইবো । যেরা কোন দিন ঢাকা আহে নাই, যেরা দেশের আইন আদালত সমন্ধে জানেনা, যেরা সরকারী বাহীনির শৃংখলা সমন্ধে জানে না আর যেরা অপপ্রচার সহজে বিশ্বাস করে নিজের বুদ্ধি জিন্দেগীতে খরচা করে না হেরাতো আমগো লেগা আফসোস করতে করতে কানবো আর গিয়া নৌকায় ভোটটা দিয়া আইবো ।

হেই কয়জনের ভোট পাইলে আবার ভোটে জিত্যা যাওন যাইবো ।  খোজ খবর লইয়া দেখা গেছে আফসোস পাটর্ির ভোট কম না;  ৩৫% আছে । ৩৫% +  আওয়ামী ভোট + মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ভোট = মিলাইয়া আরেক বার সরকার গঠনের প্রস্তুতি গ্রহন করা যাইতে পারে ।                 সবতে মিল্লা বুদ্ধি বাইর করন লাগবো । কেমনে কি করন যায় ।

নতুন বুদ্ধি বাইর করতে না পারলে চিন্তার কিছু নাই; ৫ই মে,২০১৩ তারিখে হেফাজতে ইসলামকে যারা ফেরেস্তার মত পবিত্র আর কোলকাতার তুলসি পাতার ধোঁয়া বানাইছিলেন তাদের কাছে গেলে কিছু বুদ্ধি অবশ্যই পাওয়া যাবে ।                 অন্য এক জনের কান্ধে বন্দুক রাইখ্যা শিকার করতে গেলে খেসারত দেওনই লাগবো । সেই খেসারত মে য় র নিবর্াচনের মধ্য দিয়া দেওয়াতে কিছুটা রক্ষা পাওয়া গেছে । সংসদ নিবর্াচনের মধ্যে দিতে হইলে মাঠে মরতে হইবো । যত ছাত্রলীগ যুবলীগ আছে আগামী ৫/৬ বৎসরের জন্য বাড়ি ঘর ছাইড়া পলাইতে হইবো ।

৫ই মে,২০১৩ তারিখের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য হেফাজতকে পবিত্র বানাইয়া শুধু মাত্র জামাত-বিএনপিকে দায়ী করার বুদ্ধি কোথা থেকে সংগৃহীত হয়েছিলো জানিনা । সাড়া বাংলাদেশ থেকে প্রস্তুতি নিয়ে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা আসলো ১৩ দফা না মানলে সরকার পতন করে বাড়ি ফিরবে (পূবর্ে ঘোষনা দিয়েই তারা এসেছিল) ।   অথচ সরকার ভেবেছিলো হেফাজতে ইসলাম শাপলা চত্বরে শুধু ওয়াজ মহফিল আর জিকির আসকার করে আওয়ামীলীগ সরকারের হেফজতের উদ্দ্যেশ্যে দোয়া করে ফেরত চলে যাবে;  তা'তো হতে পারে না । কাঁচপুর ব্রীজ যাত্রাবাড়ি দিয়ে যখন তারা ঢুকেছিল (টেলিভিশন সংবাদে দেখেছি) সবার হাতে লাঠি, সবার কাঁধে পোটলার(কাপড়ের ব্যাগ) ভিতরে করে ইট পাটকেল নিয়েই ঢুকেছিলো ।  ওরা কি সবাই ফেরেস্তা ছিলো? হেফাজতে ইসলাম সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবী পরিধান করা লোকের অভাব ছিলো, নেত্রীত্বদানকারীরা জিন্স-গেঞ্জী, সার্ট-পেন্ট পরিহিত যারা যারা ছিলো তারা হয়তো অন্য কোন দলের কমর্ীরা ছিলো কিন্তু হেফাজতের সহযোগী হিসাবে ছিলো ।

হেফাজত এত ভাল ছিলো না ।  হেফাজত যদি এত ভালই ছিলো তবে কেন তাদের বাকী রাত্রটুকুর জন্য অবিশ্বাস করতে হলো আর এত বদনাম কামাইতে হইল ।  কেন এই দ্বায় শুধুমাত্র জামাত-বিএনপির উপরে দিয়ে প্রচার করা হলো ? সেইদিন সকাল সকাল ঢাকা শহরের ভিতরে ঢুকেই সকাল ১০ টায় শাপলা চত্বরে জমা হয়েই সবাই চলে যায় আওয়ামীলীগ অফিসের দিকে । তাদের ধারনা সরকার পতনের আগে যদি আওয়ামীলীগ অফিস খালি করে দিতে পারে তবে অর্ধেক বিজয় অজর্িত হয়ে গেল । বিএনপি-জামাত রাজনৈতিক দল ।

তারা জানে আওয়ামীলীগ অফিসে হামলা দিয়ে কোন লাভ হবে না । রাজনৈতিক কর্মসূচী ছাড়া এখানে সরকারের কেউ থাকেনা । টেলিভিশন সংবাদে দেখলাম হেফাজতে ইসলাম সেইদিন ৫/৬ বার আওয়ামীলীগ অফিসে হামলা দিয়েছিলো এবং সবাই টুপি পাঞ্জাবী পরিহিত ছিল । এত এত প্রমান থাকার পরেও কেন সেইদিন সরকার হেফাজতে ইসলামকে দ্বায়ী না করে বিএনপি-জামাতকে দ্বায়ী করলো ? এই ভুলের জন্য রাজনীতিতে মাসূল দিতে হলো এই নিবর্াচনে । নিঃস্পাপ হেফাজতে ইসলামের উপর রাত্রে সরকারী বাহীনির অভিযানকে সরকারের বিরুদ্ধেই রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগিয়ে প্রচার করলো ।

 প্রচার করলো কারা ? যাদেরকে দ্বায়ী করা হয়েছিলো তারাই নিজেদের বাঁচাতে প্রচার করলো । তাদের প্রচারের মধ্যে স্থান পেলো শত স্বহস্র অংকের গুমের কাহীনি । নিঃস্পাপের উপরে এমন কঠিন পদক্ষেপ গ্রহন করলে সহানুভুতি জানাবার লোকের অভাব হয় না । জঙ্গী আর সন্ত্রাসীদের উপরে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহন করলে কাউকে সহানুভুতি প্রকাশের জন্য খুজে পাওয়া যেতো না । রাজনীতিতে তার প্রভাব এত সহজে কেউ প্রতিষ্ঠা করতে পারতো না এবং জাতীয় রাজনীতিতে তার প্রতিফলন আমাদের দেখতে হতো না ।

 জঙ্গী সংগঠন জেএমজেবির শায়েখ আব্দুর রহমান ও বাংলাভাই-এর বেলায় দেখেছি বিচার কার্য এবং ফাসীর রায় হওয়ার পরেও কেউ প্রতিবাদ করতে তাদের পক্ষ গ্রহন করে নাই । হেফাজতে ইসলাম রাজনৈতিক দল না জঙ্গী সংগঠন ।  জঙ্গী সন্ত্রাসীদের ধংস্বাত্তক কার্যকলাপের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহীনি তাদেরকে ঢাকা শহর থেকে বাহির করে দিলে কেউ আফসোস করত না এবং তাদের দোসরদের ভোট দিয়ে নিবর্াচনে বিজয়ী করতো না ।   ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।