আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১/১১ এর ৪১ দুর্নীতিবাজ টাকা ফেরত পেতে মালা করেছে

একজন খেটে খাওয়া-শ্রমজীবী মানুষ। নিজের অধিকারের কথা বলতে চাই ও অন্যের শুনতে চাই। তাই বলে দেশ, দেশের মাটি, আলো-বাতাশ ও মানুষকে বাদ দিয়ে নয়। জাফর আহমদ/ দৈনিক সংবাদ/০৯ আগস্ট-১২ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতি ও অবৈধভাবে টাকা অর্জন করার অভিযোগে করা জরিমানার টাকা ফেরত চেয়ে মামলা করেছে ৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। মামলার আবেদনে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তাদের কাছে থেকে জোরপূর্বক এসব টাকা নিয়ে সরকারের কোষাগারে রাখার অভিযোগ করা হয়।

খবর অর্থমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংক ও আদালত সূত্রের। এসব অভিযোগকারীর মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে-শওকত আলী চৌধুরী, নুর আলি, হাজি মো. ইউসুফ সওদাগর, এমডি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, আবুল আলম, মাস্টার আবুল কাশেম, আবু সুফিয়ান, আ. কাদের, আমান উদ্দিন আহমেদ, কাজী আবুল কাশেম, আবুল বাশার এবং মো. সফি একা ৪টি মামলা করেছেন। প্রতিষ্ঠানের মধ্যে, আলম স্টিল, কনসুলেটেড টি, মেঘনা সিমেন্ট, ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টি বসুন্ধরা পেপার মিলস, পেগাসাস সুজ, ইউনিক ইস্টার্ন, বোরাক রিয়েল স্টেট, ইউনিক সিরামিক, ইউনিক হোটেল, ইস্টার্ন মেরিন লজেস্টিক, ইস্টার্ন হাউজিং, রিদিশা নিটেক্স, গ্লোবাল ফেইট লিমিটেড, সীমা অটোমেটিক রিরোলিং মিলস, টোটাল ট্রান্সপোর্ট, ট্রাইক্সে গ্লোবাল লজিটিক, আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেড, সুপার স্টিল, এমডি ওয়াকিল উদ্দিন, জেডএন এন্টাপ্রাইজ, নামরিন এন্টাপ্রাইজ, তাসমিনা এমব্রন, স্টার পার্টিকেল বোর্ড, ¯^দেশ প্রোপাট্রিজ, ওমেন মেডিকেল অ্যান্ড কলেজ হসপিটাল। এসব ব্যক্তি ও কোম্পানি মামলার বিপরীতে সরকারি হিসাব মতে মোট ৮৭৭ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা কোষাগারে জমা আছে। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৮ এর নভে¤\^র পর্যন্ত সময়ে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে টাকা নেয়ার সময় গোয়েন্দা সংস্থা এবং টাস্কর্ফোস ইন্টলেজিন্টেস (টএিফআই) প¶ থেকে বলা হয়েছিল, অবৈধ ও দুর্নীতি মাধ্যমে অর্জিত, কর ফাঁকি দেয়া এবং অন্যের সম্পদ হস্তগত করার মাধ্যমে সম্পদের মালিক হওয়ার কারণে এ সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা হিসেবে এসব অর্থ আদায় করা হচ্ছে।

পরে জানানো হয় এসব টাকা সরকারের কোষাগারে জমা রাখার কথা। এ সময়ে অবৈধভাবে অর্জিত টাকা দিয়ে কেনা অনেকগুলো গাড়িও আটক করা। অনেকে রাস্তায় গাড়ি ফেলে রাখে। এ সময় অনেকে জেলে যায়। অনেক ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।

যার অনেকে এখনো জেলে। অনেকে এখনো দেশের বাইরে অবস্থান করছে। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এলে টাকা ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য মামলা করে। এ মামলার আবেদন বলা হয়, এসব ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে সেনা সমর্থিত সরকার ¶মতায় থাকার কারণে এবং ভীতি সৃষ্টি করে তাদের কাছে যখন যা চেয়েছে প্রথমে মানসম্মান ও পরে জীবনে বাঁচার জন্য দিতে বাধ্য হয়েছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ টাকা এখন রাষ্ট্রের সম্পদ।

মামলা করলেও এত তাড়াতাড়ি দেয়া সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, এ টাকা যখন সরকারের এজেন্সি নেয় তখন এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। তা প্রমাণও হয়। কেউ কেউ নিজ থেকে দুর্নীতি ও অন্যের সম্পদ দখল করার কথা নিজের থেকে শিকার করে।

যা তখন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছিল। তারপরও তারা মামলা করেছে সরকারের প¶ হিসেবে আমাদের যা করার দরকার তা করব। এর মধ্যে আদালতের কোন রায় দিলে তা মানতে হবে। তাছাড়া রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত তো আছেই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।