আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্যা রিয়্যাল হিডেন টেক্সট অব হিলারী ক্লীন্টন ঃ অন বাংলাদেশ ট্যুর ২০১২

হিলারী ক্লীনটন বাংলাদেশে এসেছিলেন । সফরটা ভাল ছিল । ২ নেত্রীর সাথে দেখা করেছেন । আবার চলে গেছেন । সবাই জানে বিরোধের বিষয় ছিল ইউনুস ।

দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসে রোববার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক অনুষ্ঠানে হিলারি ক্লিনটন বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকে ইউনূসের পদ নিয়ে ‘বিরোধের’ বিষয়টি তিনি ওয়াশিংটন থেকে লক্ষ্য করেছেন। তিনি আশা করেন, সরকার এমন কিছু করবে না যাতে গ্রামীণ ব্যাংকের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়। সরকার তেমন কিছুই করেনি যা ব্যাংকের জন্যে ক্ষতিকর । অত এব মামলা ঢিসমিস । কিন্তু আসলে কি তাই ? ঘোলের মজা তলে ।

আসেন তলে যাই -- তিনি একটি আশা পোষন করেছিলেন , গ্রামীন ব্যাংকের যেন কোন ক্ষতি না হয় । এক্কেরে খাটি আমেরিকান দরদ, মেড ইন ইউএসএ । উনার এই আশার ভাজে কি লুকিয়ে আছে ? ব্যাপারগুলো কি এরকম উনি যা বলেছেন তা ইকটু ব্যাখ্যা করলে যা দাঁড়ায় তা হল-- —--- “ শোন বাংলাদেশের সরকার ইউনুস যা বলে তাই কর। ইউনুসের কথার যেন পান থেকে চুন না খসে । আর যদি ইউনুসের অবাধ্য হও তবে তোমাদের যে চ্যারিটি তো দূরে থাক লোন পর্যন্ত পাবেনা ।

এবং উন্নয়ন সহযোগীতা রহিত হবে । নদীর পানি খাবার অন্ন সব আমরা আটকে দেব । শেখ হাসিনা যদি ইউনুসের কথা পুংখানু পুংখানু ভাবে না শোনে তবে যত দ্রুত সম্ভব প্রধানমন্ত্রী পাল্টাও । এমন একজন প্রধানমন্ত্রী আন যে ইউনুস যা বলে তাই যেন শোনে । কারন ইউনুস প্রধানমন্ত্রী হবেনা , উনি প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিল কিন্তু দ্যাখলাম শেখের বেটি ভোটের প্রতিযোগিতায় উনাকে পুরা বসায় দিতে পারে তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইউনুসের প্রধানমন্ত্রী হবার দরকার নাই , দরকার এমন একজনের যে ইউনুসের ইশারা দিতে টাইম লাগবে কিন্তু পালন করতে টাইম লাগবেনা ।

ইউনুসের পারমিশন ছাড়া কোন কোথাও যেন সিগনেচার না করে । প্রধানমন্ত্রী যেই হোক , ইউনুসের মতের বাইরে কেউ যাবেনা । ইন্ডিয়া সহ অন্য যে কোন রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক তৈরী করা থেকে কেউ বাড়ীর উঠানে টিউবয়েল গারা পর্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রে ইউনুসের পারমিশন লাগবে । ইউনুসের পারমিশন ছাড়া গাছের পাতাও নরবেনা । চায়না এবং ইন্ডিয়ার মধ্যে ইক্টু কিরিঞ্চি করতে এখন আমাদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে খুব দরকার ।

ইউনুস আমাদের খাশ লোক, উনার সাথে আমাদের অনেক ব্যাপার আছে । উনার সাথে ব্যাপার মেলা আগের থেকে । ষ্টুডেন্ট লাইফ থেকে আজ পর্যন্ত ... ডান পাশে সিথি কাটা একটা খাস বাঙ্গাল থেকে আজকের বিলিয়ন ডলার বিসনেস জায়ান্ট , নোবেল প্রাইজ এবং আরো অন্যান্য যা তোমরা বাঙ্গালরা কোনদিন বুজতেও হয়ত পারবানা এমন মেলা কিছু আমরা উনারে দিছি । নোবেল দেবার জন্যে সুপারিশ,ব্যাবসায় থেকে বিলিয়ন ডলার, হাই এলিট সোশ্যাল ষ্ট্যাটাস যা অনেক আমেরিকানরাও পায়না বা পাবার জন্যে যোজন যোজন জীবন সাধনা করে আমরা উনাকে তা দিয়েছি । এমনকি খুলে দিয়েছি খ্রিষ্টান চ্যারিটি ফান্ডের দরজা ।

আমাদের অনেক অনেক টাইপের ইনভেষ্টমেন্ট আছে । কারন উনি অনেক মেধাবী লোক ,তোমরা বাঙ্গালীরা সেই মেধার মূল্য দিতে পারোনাই , আমরা দিয়েছি আর তাইতো ইউনুস এখন শুধুই আমাদের একান্তই আমাদের লোক। উনি যা বলেন তা শুন । উনার কথাই আমেরিকার কথা । তোমরা কখনও ভাবিওনা ইউনুস আমাদের রেখে তোমাদের স্বার্থ আগ বারাই দেখবে ।

দেখবেনা । কারন আমরা তার কোন জায়গাই অপূর্ন রাখিনাই , হী ইজ আওয়ার বেষ্ট এজেন্ট । মোষ্ট প্রেসাশ এজেন্ট । আল্লাহ যেমন নবী পাঠায় , আমরাও ঠিক তেমনি ইউনুস পাঠাইলাম । আল্লাহ নবীকে মানুষ বানায় পাঠাইছিল , কারন সে মানুষের মধ্যেই দাওয়াতি কাজ করবে তাই , তাকে মানুষ বানাইয়া আল্লাহর নিয়ম কানুন মানায় দেখাইছে যে মানুষকে ইসলাম মানতে হবে , তেমনি ইউনুস বাঙ্গাল কে আমরাও পাঠাইছি তোমাদের লোক করে ।

তাকে দেখা যায় তোমাদের মত এমনকি তার জন্ম বাঙ্গালের ওরশে , গর্ভে কিন্তু সে তাহার কথা বলিবেনা , বলিবে আমেরিকার কথা । ইউনুসের ব্লাডের প্রত্যেক কণা আমারিকার সিল মারা । কিন্তু আবার সে বাংলাদেশী , যাতে বাংলাদেশীরা তাকে নিজের ভাই নিজের গোত্রের লোক মনে করে । ইউনুস্কে আপন করে নিতে পারে। আর ইউনুস আপন হলেই তো আমেরিকা আপন।

এ এক জটিল সমীকরন , আমেরিকা তার রাজত্ব ধরে রাখতে এর আগে এসব করেছে । তোমাদের মনে আছে শাহ এর কথা ? ইউনুস্কে আমরা আরো অনেক মডিফাই এবং এফিসিয়েন্ট করে বানিয়েছি । ম্রিত্যুর সময় শাহ আমেরিকার বিরুদ্ধে একটা লাইন উচ্চারন করেছিল – আমেরিকা যার বন্ধু তার শত্রুর দরকার নাই । কিন্তু ইউনুস শাহ এর থেকেও নিখুত , ইউনুস মরার সময় কেন মরার ৫০০ বছর পরেও আমেরিকার বিরুদ্ধে কথা বল্বেনা । ইউনুসের বানানো সাম্রাজ্য ইউনুস মরলেও আমেরিকার পক্ষে জিকির আযগার করবে ।

ইউনুসের রক্ত থেকে আত্মাথেকে বাংলাদেশ বাংলাদেশের মানুষের জন্যে প্রেম দরদ কোনদিন বের হবেনা । কেন হবে কারন তার আত্মা তার রক্ত তো আমেরিকার । ইউনুস শূধুই আমেরিকার , এক সামান্য বাঙ্গাল কি মূল্য আছে তার জীবনের ?? আমরা তাকে জাত করেছি, প্রিথিবীর সবচেয়ে বড় জাতদের জাত । মর্যাদার এমন উচ্চাশীনে ইউনুসকে বসিয়েছি একমাত্র কারনে – যো দেখতা হ্যায় , ও লাগতা নেহী । ইনুসের জন্ম চিটাগাং , ওর বাপ বাঙ্গাল , মা বাঙ্গাল ,বাঙ্গাল কিছু আত্মীয়ও আছে , ওকে দেখে কেউ যেন না মনে করে যে ও আসলে আমেরিকান ।

ওর ডিএনএ থেকে বাংলাদেশ মুছে আমেরিকা বসানো হয়েছে চিরতরে । কিন্তু ওকেই আবার তোমরা কেউ কেউ মনে করবে বাঙ্গালদের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গাল । তোমাদের মধ্যে ওকে নিয়ে ভাগ হবে , তোমরা পরস্পর কুত্তা জরাজরি করিবে , কিন্তু সমাধানে যাইতে পারবে না । আর সমাধানে যাবার দরকার কি , তুমরা আবাল বাঙ্গালের জাত আবালই থাকো , গোলামী করে জীবন যাপন করবা । জীবনে এত কিছু বোজার দরকার তোমাদের নাই , বড়জোর মিডিলিষ্টে যাইয়া বান্দীগিরি করবা ।

দাসত্বের গর্ভেই তোমাদের জীবন যাপন চলিবে। কেউ মাথা উচু করার চেষ্টা করলে সৌদিআরবের সিষ্টেমে তোমাদের মাথা কাটিয়া ফেলা হইবে । তোমরা বাঙ্গালরা ইউনুস্কে বিশ্বাস করবে ,ভরসা করবে , মান্যি করবে। বিশ্বাস করে ওর হাতে তুলে দেবে রাষ্ট্র ,সমাজ, সভ্যতা ,সম্ভ্রম,ইজ্জত , মর্জাদা , স্বাধীনতা ,স্বার্বভৌমত্ব তুলে দেবে আর আমরা তা দিয়ে খেল্বো ছিনিমিনি । চায়না ইন্ডিয়ায় কিরিঞ্চি করমু ,এইডা নিমু ওইডা নিমু, হাজার বিলিয়ন ডলা্রের ইনভেষ্টমেন্টে পুলিশি করমু , শতাব্দীর পর শতাব্দী আমরা নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার পরিচালনা করব ।

ইউনুস সাহেবের উপরে আমাদের ভরসা , ভবিষ্যত প্রিথিবী শাষনের একটা বিরাট ব্যাপার নির্ভর করিতেছে । তাই অচিরেই তোমরা ইউনুসকে মান্য করে ধন্য হও , অন্যাথায় আমেরিকার বিরুদ্ধে দারায় যাও । আফগান হও , ইরাক হও , সারা দুনিয়াইয় দেখো আমাদের কথা না শুনলে আমরা কি করি । ওই শেখের বেটিকে জিজ্ঞেস কর , কি কিরিঞ্চিটাই না করে ওর বাপকে আমরা খেলে দিয়েছি। পাকিস্তানের মত বর্বরেরা বাগে পেয়েও যাকে মারতে পারেনাই আমরা ২/৪ টা “ কুমিল্লার ইতর” দিয়া তাকে একরাত্রে নির্বংশ করে দিছি।

শেখের বেটি যদি ইউনুসের কথা না শুনে তবে অকেও ওর বাপের কাছে পাঠায় দেবো । আর খালেদা যদি কথা না শুনে তবে ইন্ডিয়া তো দাউদ ইব্রাহীমের কথা বলছে আমরা কিন্তু স্বয়ং ঊসামা বিন লাদেনের সাথে তার পীরিতের ডক্যুমেন্টস ফাস করে আরেষ্ট করে ফেলবো । ইউনুসের কথা শোন , নয়ত আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়তে দারিয়ে যাও । ” হিলারী ক্লিনটনের উপরের ওই নরম হেসে ২ লাইনের মানে এইটাই দারায় । তার প্রতিফলন বিশ্বব্যাংকের পদ্মাসেতু কেইস ।

তো এখন শেখ হাসিনা কি করেন সেটাই দেখবার বিষয় । এই বিষয় শুধু আমাদের কাছে না সারা বিশ্বের কাছে । প্রিথিবীর সমস্ত ডিপ্লোমেটরা এই ফরেন সেক্রেটারীর বাংলাদেশ সফর এবং তার কনসিকোয়েন্স দেখবার জন্যে কড়া নজর রেখেছে যে ফরেন সেক্রেটারী কতদূর বাংলাদেশে ইন্টারফেয়ার করতে পারে আর শেখ হাসিনা কতদূর ডিফেন্ড করতে পারে ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.