আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চার শাশুড়ী (সেইফ হওয়ার আগের গপ্প)

ভাল কিছু লিখার প্রত্যাশায় লিখি.. হঠাৎ করে হরতাল ডাকায় মে দিবস সহ ৩ দিন অফিস বন্ধ আর দুই দিন ছুটি নিয়ে পুরা সপ্তাহ কাটানোর উদ্দেশ্যে বাড়ী গিয়েছিলাম। যাই হোক সহিসালামতে বাড়ীতে পৌছার একদিন পরেই ঘটক বাবাজী হাজির। আমার ভাল মন্দ খোজ নিয়ে আসল কথা বলা শুরু করল। কথা তো মুখস্তই... ভাল পাত্রী, ভাল খান্দান, ভাল বংশ, ভাল পড়াশোনা, সব দিক দিয়ে আমিই জিতব এসব। যাই হোক আমি পাত্রীর একখানা ছবি চাইলাম।

ঘটক বাবাজী বলল ছবি আর বাস্তবতা আকাশ পাতাল ফারাক, তার চেয়ে ভাল হয় যদি শশরীরে হাজির হইয়া পাত্রী দেখা যায় । আমি বললাম অযথা কারো খরচ করার ইচ্ছা আমার নাই। কাজেই ছবি দেখলে একটা ধারণা পাওয়া যায় তারপর না হয় যাওয়া যাবে। কিন্তু কে শুনে কার কথা ? আমাকে উদ্দেশ্য করে ঘটক বলল বাবাজী আপনি তো ছুটি শেষ করে আবার চলেই যাবেন তাই একেবারে পাত্রী দেখে গেলে ভাল হত। আমি বললাম আপনি বাবার সাথে কথা বলেন এসব বিষয়ে মুলত তিনিই সিদ্ধান্ত নেন।

রাতে বাবা আমাকে ডেকে বললেন আমি তোর খালাকে ফোন করেছি পাত্রীর বাসার পাশেই তো তোর খালার বাসা। আগে তোর খালা আমাদের কে জানাক তারপর আমরা পাত্রী দেখতে যাব। পরদিন দুপুর ১২ টায় খালার ফোন । দেখলাম বাবা রাগারাগি করে কথা বলতেছে । আমি বাবাকে জিজ্ঞাস করলাম কি ব্যপার আপনি চিল্লাইতেছেন কেন ? বাবা আমাকে বলল তোর খালার সাথে কথা বল।

আমি খালার সাথে ফোনে কথা বলে পুরা অবাক হলাম। আসল ব্যাপার হল খালা বাবাকে ফোন করে বলেছেন কোন মেয়েকে দেখব? বাবা বলেছেন কেন অমুক সাহেবের মেয়ে। খালা বলেছে তা তো বুঝলাম অমুক সাহেবের কোন বউ এর মেয়ে? বাবা বলেছে তার মানে!!! খালা বলেছে উনার তো চার বউ। কোন বউ এর মেয়ে দেখতে হবে। এইবার ব্যপারটা বুঝলাম ,এই জন্যই বাবায় চিল্লাইতেছিল।

কি আর করা.. মনে হইতেছিল ঘটকরে সামনে পাইলে বাশ দিয়া একটু মালিশ করতাম। আরে বেটা তুই তো আগে কবি যে এই যায়গায় বিয়ে করলে ৪ টা শাশুড়ী হবে। চার শাশুড়ী খারাপ না। কিন্তু সবাই তো পছন্দ নাও করতে পারে। যেমনটা আমার পরিবার পছন্দ করে না ...... অত্তঃপর ছুটি শেষে আবার কর্মস্থলে ফিরলাম....  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।