আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৭ ই রমজান ! অসত্যের বিরুদ্ধে শান্তির পক্ষে প্রথম যুদ্ধ!

আমি নিতান্ত সাদমাটা মানুষ। বলারমত কোন পরিচায় নাই। নিরামিষ মানুষ । যুদ্ধ বরাবরই অশান্তি। তারপরও সব ধর্মে যুদ্ধের বিধান রয়েছে।

সত্যের পক্ষে অসত্য আর অসুচি ধংসের জন্য। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ তেমনি একটি। যুগে যুগে অসত্যকে রুখতে ঐশ্বরিক দুত পাঠান স্রষ্টা। ইসলাম ধর্মেও তেমনি বদর -ওহুদ- খন্দক অনেক যুদ্ধ রয়েছে। সর্বশক্তিমান স্রষ্টার মহান এক দুত ইসলামের মহান নবী হযরত মুহাম্মদ সা:।

সব সময় সত্যের কথা বলতেন । সবাই তাকে ভাল বাসতো। তাকে ডাকতো আল-আমিন (বিশ্বাসী) নামে। সত্যের বানী প্রচার করতে যেয়ে তাকে এতোদিন যারা এতো ভালবাসত তার হয়ে গলে শত্রু। এজন্য তায়েফের ময়দানে তাকে নির্যাতিত হতে হয়েছে।

ঐশ্বরিক ভাবে তাকে বলাহয়েছিল তিনি চাইলে দুটি পাহার একত্র করে নির্যাতন কারিদের খতম করে দেয়া হবে। তিনি কখনো অশান্তি চাইতেন না। তাই নির্যাতিত হয়েও তখন আল্লাহর কাছে নির্যাতন কারিদের যাতে ধংস না করা হয় তার জন্য দোয়া করেছেন। বলছেন এরা অবুঝ। এদের হেদায়েত দেয়ার জন্য।

এরা যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে কার কাছে তোমার বানী প্রচার করব। এই হেন নবী ১৭ই রমজান অসত্যের বিরুদ্ধে প্রথম অস্র ধারন করলেন। কেন এই সংগ্রাম? তার কিছুটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি (যতটুক আমি জানি)। শান্তির বানী প্রচারে তার পদে পদে বাধা। মক্কার কুরাইশরা তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করল।

তিনি মক্কা ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করলেন। সেখানেও তাকে শান্তিতে থাকতে দিলনা ইহুদী নেতারা। তারা মক্কার মুনাফিক ও কাফের সরদারদের সাথে মিলে তারা নবীর বিরুদ্ধে ষরযন্ত্র করতে লাগলো। মহান আল্লাহ তখন পবিত্র কোরআনে প্রথম যুদ্ধের আয়াত নাযিল করলেন। "যুদ্ধ করো তাদের সাথে যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে।

আর সিমালংঘন কর না। " কি সুন্দর আয়াত। সেলফ ডিফেন্স। কেউ আমাকে আক্রমন করলে আত্মরক্ষার খাতিরে আমি তার সাথে লড়ব। পাশাপশি সতর্কবানী নিয়ম শৃংখলা মেনে সিমারমধ্যে থেকে তা করতে হবে।

ইসলামের নবী তাই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হলেন। কিন্তু একি ! তাদের ৩১৩ জন যোদ্ধার বিপক্ষে ১০০০ জনের এক বাহিনি নিয়ে বদর প্রান্তরে প্রস্তুত কাফেরকুল। কিন্তু নবী পেলেন ঐশ্বরিক সাহায্য। ফেরেশতারা এযু্দ্ধে ৩১৩ জনের সাথে একত্র হয়ে যুদ্ধ করেন। আর কাফেরদের দৃষ্ট ভ্রম হল তারা একজন ইসলামি যুদ্ধা কে বেশী দেখতে লাগলো।

এতে তাদের মনে ভিতির সঞ্চার হল। তারা যুদ্ধে হেরে পলায়ন করল। আর এভাবে সত্যের পক্ষে প্রথম বিজয় অর্জিত হল। সত্য সম উজ্জল। মিথ্যা বিলুপ্ত।

মিথ্যাতো বিলুপ্ত হবারই- আল কোরআন। অসত্যের অপপ্রচার আজো চলছে। বলা হয় ইসলাম তরবারীর মাধ্যমে এসেছে। সত্যিকি তাই! কিন্তু ইসলামের নবী সা: এর জীবন পর্যালোচনা করে অনেক অমুসলিম মনিষি তাকে গ্রেট লিডার হিসেবে মুল্যায়ন করেছেন। তাকে একজন সংস্কারক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তার যুদ্ধ গুলো সত্যিকার অর্থে যুদ্ধ ছিলনা। ছিল আত্মরক্ষা। তিনি যেচে কখনো যুদ্ধ চাননি। তাকে অসত্যের পুজারীরা যুদ্ধ করতে বাধ্য করেছে। **তার রণ কৌশলে একটি অনতম দিক হল মানবতা বোধ।

তিনি বলেছেন যুদ্ধের সময় যেন অসহায় নারী পুরুষ আর শষ্য ক্ষেত্রের বা সম্পদের যাতে ক্ষতি না করা হয়। ***তিনি বন্দিদের সাথে ভাল ব্যাবহর করেছেন। তাদেরকে অশিক্ষিত আরবদের শিক্ষা দিক্ষা দেবার কাজে নিয়োজিত করেন। *** তিনি শান্তির জন্য একটি অসম সন্ধি করেন। যাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম (শুরু পরমকরুনা ময় আল্লাহর নামে) বাক্যটি কাফেরদের শর্ত মতে কেটে দেন তিনি।

কি চমতকার দৃষ্টান্ত। বর্তমান যুদ্ধ আর জংগী্বাদের এ জমানায় ইসলামের নবী যুদ্ধ সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গী শান্তি প্রতিষ্ঠার এক অনকরনীয় মডেল । ইসলামকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। উপস্থাপন করা হচ্ছে ইসলামের যুদ্ধ গুলোকে। তাই বেশী বেশী করে অধ্যয়ন প্রয়োজন।

আসুন আমরা ইসলামী বই বেশী বেশী পরি। আর ইসলামকে সঠিক ভাবে জানার চেষ্টা করি। বর্তমানে আমরা কতো দিবসইতো পালন করছি। যদি আপনি সত্যের পক্ষে একজন হিসেবে নিজেকে মনে করেন তাহলে ১৭ই রমজানে সত্যের পক্ষে বদর পান্তরের এ যুদ্ধকে বদর দিবস হিসেবে স্মরন করুন। এ যুদ্ধে শহীদদের জন্য দোয়া করুন।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।