আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পর

এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পর ফকির ইলিয়াস ========================================== কখনো কখনো আমার কিছুই লিখতে ইচ্ছে করে না। কলম থেমে যায়। কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে। হাত কাঁপে। লিখে কী হবে? কে শোনে, কে পড়ে এসব লেখা? মন খুব খারাপ হয়ে যায়।

বিশিষ্ট লেখক দার্শনিক নোয়াম চমস্কিকে মনে করি। তিনি বলেন- একজন প্রকৃত লেখকের আর কোনো গন্তব্য নেই। লিখতে হবে। বলতে হবে। মানুষ একদিন সেই ডাক শুনবেই।

বাংলাদেশের মর্মমূলে আঘাত হেনেছে সাভার ট্র্যাজেডি। তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকা-ের পর এটাই দেশে বড় রকমের গার্মেন্টস হত্যাযজ্ঞ। এই হত্যাযজ্ঞ থামানো যেতো। ঐ রানা প্লাজায় ফাটল দেখা দেয়ার পর ঐ ভবনে আর কাউকে ঢুকতে দেয়া উচিত ছিল না। তারপরও ঐ ভবনের মালিক সোহেল রানা নানা দম্ভোক্তি করেছিল মিডিয়ার সামনে।

যা আমরা বিভিন্ন টিভিতে দেখেছি। ঐ গার্মেন্টসের মালিকরাই হোক, আর ভবন মালিকই হোক-এরা সকল মানুষকে ওখানে যাওয়ার পথ রুদ্ধ করতে পারতেন। না- তারা তা করেননি। কেন করেননি? কারণ তারা এটাকে কোনো গুরুত্ব দেননি। অথচ একটি ভবনে ফাটল দেখা দিলেই তা পরিত্যক্ত ঘোষিত হবার কথা।

রানা প্লাজায় যে ধ্বংসলীলা ঘটছেÑ তা রোধ করা সম্ভব হতো। যদি না বাধ্য করে শ্রমিকদের ওখানে ঢুকাতে না হতো। সেটা মালিকরা করেননি। এজন্য অবশ্যই তারা দায় এড়াতে পারেন না। এসব মর্মবিদারক ঘটনা যতোই পড়েছি, দেখেছি পাঁজরটা ভেঙে গেছে।

এদেশের মানুষ কোটি টাকা চান না। তারা খেয়ে-পরে বাঁচার নিশ্চয়তা চান- সেই সুযোগটাই এখন জিম্মি করতে চাইছে একশ্রেণীর মুনাফাখোর ব্যবসায়ী। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই ঘটনা পাশ্চাত্যে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, শিকাগো, লন্ডন, কানাডাসহ অনেক স্থানে বিদেশীরা বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশের এই হত্যাকান্ডের ঘটনায়। যা মূলত বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই গিয়েছে।

তারা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার বহন করে বলেছেন- ‘আমরা বাংলাদেশের অসহায় শ্রমিকদের রক্তমাখা পোশাক পরতে চাই না। ’ একজন সভ্য মানুষের এর চেয়ে বেশি আর কী বলার থাকতে পারে? মানুষের আকুতি যে কতো মর্মস্পর্শী হতে পারে, তা আমরা দেখেছি আবারো এই সাভার হত্যাকান্ডে। টানা ১৭ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করার পর শুক্রবার দুপুরে উদ্ধারকর্মীরা সবিতা নামের একজন শ্রমিককে বের করে আনেন। তাকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনলে কোনো স্বজনের দেখা না পেয়ে পোশাক শ্রমিক সবিতা (৪৫) বলেন, ‘পত্রিকায় আমার মুক্তির কথা দেখলে আমার স্বামী-সন্তান আমাকে দেখতে আসবে। ’ সবিতার বাড়ি রাজশাহী জেলার মতিহার থানার বাদুরতলা (তালাইমারি) গ্রাম।

স্বামী শহিদুল ইসলাম দিনমজুরের কাজ করেন। তাদের এক ছেলে হাসান ও এক মেয়ে কবিতা রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্রমিকরা বলেছেন, একটু পানির জন্য হাহাকার করছিলেন আটকেপড়া শ্রমিকরা। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিলেট জেলার বাসিন্দা কবিতা ধ্বংসস্তূপের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমি নড়াচড়া করতে পারছিলাম না। আমার ডান পাশে এক পুরুষের ওপর ভারী মেশিন পড়ে চ্যাপ্টা হয়ে মারা যান তিনি।

রক্ত গড়িয়ে আমার পিঠ ভিজে ওঠে। পানি মনে করে মুখে দিতেই রক্তের গন্ধ পাই। পরে হাত দিয়ে আমার ব্যাগের পানির বোতল বের করি। অর্ধেক বোতল পানি ছিল। ওই পানি মুখে দিতে গেলেই ডান পাশে চাপা পড়া আরেক ব্যক্তি হাত বাড়িয়ে কেড়ে নিতে চায়।

না দিলে খামচে জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। হাতের চামড়া তুলে রক্তাক্ত করে ফেলে। ’ প্রিয় পাঠক, না আমরা কোনো কারবালার বর্ণনা শুনছি না। শুনছি, সাভারের সেই নারকীয় ঘটনার অংশ। যা তৈরি করেছে এদেশেরই কিছু পাষণ্ড, কুলাঙ্গার, নরপশু ব্যবসায়ীরা।

যারা একচক্ষু হরিণের মতো কেবল নিজেদের স্বার্থই দেখছে। সাধারণ শ্রমিকরা তাদের কাছে খেলার পুতুল মাত্র। এরা জিম্মি করেছে এদেশের কোটি শ্রমজীবী মানুষকে নানাভাবে। অনেক উৎকণ্ঠার সিঁড়ি পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ভবনের মালিক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একটা খবর আমাদের খুব ভাবিয়েছে।

সোহেল রানা বলেছেনÑ ‘ভবনটি যে ধসে পড়বে তা আমি আগেই বুঝেছিলাম। কারণ ডোবার ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ভবনটি। তারপর গার্মেন্টস মালিকরা যেভাবে ভারী মেশিন আর জেনারেটর ওপরে তুলেছেন তাতে ধসে না পড়ে উপায় ছিল না। তাই আমি নিজেও খুব বেশি সময় ভবনের নিচে থাকতাম না। আর ভবনটি যখন ধসে পড়লো তখন কিন্তু আমি ভবনের নিচেই ছিলাম।

আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে গেছি। ’ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমন কথাই বলেছেন সাভারের আলোচিত রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা। রানা প্লাজার ১০ তলার অনুমোদন আছে উল্লেখ করে রানা বলেন, ইঞ্জিনিয়াররা যে পাইলিং করতে বলেছিল তার চেয়েও ৬ ফুট বেশি পাইলিং করা হয়েছে। কিন্তু ওপরে গার্মেন্টসগুলোর জেনারেটর ও বড় বড় মেশিন তোলার কারণেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ফাটল দেখার আগেই তিনি বুঝেছিলেন ভবনটি আর ধরে রাখা যাবে না।

কিন্তু এতো বড় বিপর্যয় ঘটবে তা তিনি কল্পনাও করেননি। ঘটনার আগের দিন ফাটল দেখার পর সবাই যখন ভবন থেকে চলে গেলো তখনই ভবনটি পরিত্যক্ত করা হয়। কিন্তু গার্মেন্টস মালিকরা তাকে অনুরোধ করেন এখন অফিসে কাজ না করা গেলে তাদের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে। শিপমেন্ট বাতিল হবে। এতে তাদের পথে বসতে হবে।

তাই কয়েকটা দিন যেন ভবনটি চালু রাখা হয় সেই অনুরোধ ছিল গার্মেন্টস মালিকদের। তাদের অনুরোধেই পরদিন ভবন খোলা হয়। আর এখন তারা উল্টো কথা বলছেন বলে দাবি করেন রানা। সোহেল রানা এই যে উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলছেন, তাতে কি নিহত-আহতদের কিছু যায় আসে? নাÑ কিছুই যায় আসে না। বাংলাদেশে দখল ও শোষণের যে হোলিখেলা চলছে তা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত শান্তি আসবে না শ্রম জীবনে।

সোহেল রানা কিভাবে বলপূর্বক এই রানা প্লাজার জায়গা দখল করেছিলেন, তার বর্ণনা দিয়েছেন ঐ ভূমি মালিক রবীন্দ্রনাথ সরকার। তিনি বলেন, ‘১৯৮৯ সালে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ছোট বলিমেহের মৌজার ১৫, ১৬, ১৭ ও ২৩ নম্বর দাগের ১২৬ শতাংশ জমি কিনি। জমির মালিক ছিলেন গণফোরাম নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টু, তার ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী। এসব দাগের কিছু অংশের জমি কিনে সোহেল রানার বাবা আবদুল খালেক। আমার জমি মাপজোঁক করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেই।

২০০১ সালের দিকে আবদুল খালেকের ছেলে সোহেল রানা আমার সীমানা প্রাচীর ভেঙে ২৭ শতাংশ জমি দখল করে নেয়। ওই ঘটনায় একটা মামলা করি। ওর বাবা তখন বিএনপি করতেন। এর পরই আমাকে সাভারছাড়া হতে হয়। ছয়-সাত মাস বিভিন্ন জায়গায় কাটাতে হয়েছে।

সাভারে আসতে পারিনি। ঢাকায় হোটেলে হোটেলে কাটাতে হয়েছে। আত্মীয়স্বজনের বাসায় থাকতে হয়েছে। ওই সময়ে ব্যবসার চরম ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তিকে ধরে সাভারে ফিরি।

কিন্তু দখল হওয়া জায়গাটা ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। আমার ঘটনা সাভারে এমন কোনো লোক নেই যে জানে না। যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই পেয়ে যাবেন। আমার কাছে শুনতে হবে না। ’ রবীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘পরে ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ শুরু হয়; দেখলাম ভবনের নির্মাণকাজ খুবই খারাপ।

এ ব্যাপারে সাভার পৌরসভা ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে অভিযোগ করেছিলাম। রাজউকের লোক এসে দুদিন কাজ বন্ধ রেখেছিল। পরে দেখি, আবার কাজ শুরু হয়ে গেছে। ওর (রানা) সামনে বড় বড় নেতারাও পাত্তা পায় না। রাজউক তো দূরের কথা।

’ রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘আমার বাড়ির ওপর রানা প্লাজা ধসে পড়ায় আমার বাড়িও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি। পাশেই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সেটাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গুদামের মালামালও নষ্ট হয়ে গেছে।

আমার বসতবাড়িতেও ফাটল ধরেছে। ওটাতে আর বসবাস করা যাবে না। দুর্ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে দেখি, সব মালামাল লুট হয়ে গেছে। ’ এই হলো বাংলাদেশে একজন হিন্দু নাগরিকের বর্ণনা। একজন রবীন্দ্রনাথ সরকার যে এখনো এদেশে কতো অসহায়, তা এই ঘটনা প্রমাণ করে।

এই বেদনাময় মুহূর্তে অনেক কথাই লিখা যাবে। এই দেশের আপামর মানুষ সাভার ট্র্যাজেডিতে যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, নিজের জীবন বাজি রেখে যে সংগ্রাম করেছেন ও করে যাচ্ছেন- তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। হরতাল প্রত্যাহার করে মানবিকতা দেখিয়েছেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট এটা সময়ের দাবি ছিল। কারণ একটি দেশের মানুষ যখন চরম শোকাহত তখন হরতালের আরো বোঝা চাপিয়ে দেয়ার কোনো মানে হয় না। সাভার ট্র্যাজেডিতে খুবই বেদনাদায়কভাবে নিহত একজন শ্রমিক শাহানার মৃত্যুর ঘটনা গোটা জাতিকে বিশেষভাবে কাঁদিয়েছে।

প্রখ্যাত মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘সিএনএন’ শাহানাকে নিয়ে ‘শি ওয়ান্টেড টু লাইভ ফর হার সন’ শিরোনামে একটি আবেগময় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শাহানার অবস্থান জানার পর সংবাদ মাধ্যমগুলো উদ্ধারকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও একটি সুড়ঙ্গ খুঁড়ে তার কাছাকাছি পৌঁছান উদ্ধারকর্মীরা। একশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে থেকেও উদ্ধারকর্মীদের দেখে তিনি বলেছিলেন ‘অন্তত শিশু সন্তানটিকে দেখার জন্য বাঁচতে চাই আমি’। উদ্ধারকর্মীরা তাকে আশ্বাস দেন এবং খাবার, পানীয় ও অক্সিজেন সরবরাহ করেন।

যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কনক্রিট কেটে তাকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন তারা। শাহানাকে উদ্ধার করতে ১০ ঘণ্টার প্রচেষ্টা শেষে দমকল বাহিনীর উদ্ধারকর্মী নুরুল হক রোববার রাতেই সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে জানান, এক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে উদ্ধার করা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই আরেকটি চরম অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে যায়। নুরুল হক ও তার সঙ্গে থাকা অন্য উদ্ধারকর্মীরা যখন ভেতরে ঢোকেন, তখন তারা দেখেন সেখানে ড্রিল মেশিনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ থেকে হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। মুহূর্তে আগুন ভেতরে থাকা কাপড় ও দাহ্য পদার্থে ধরে গেলে ভেতরের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সুড়ঙ্গ পথে পানি ঢাললেও আগুন নেভেনি। এই আগুনই হরণ করে নেয় শাহানাকে। প্রিয় পাঠক, এর চেয়ে জাতীয় বেদনা আর কী হতে পারে! হ্যাঁ, আমরা সাভার ট্র্যাজেডির খুনিদের বিচার চাই। সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। এ বিষয়ে আমি কিছু প্রস্তাবনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে রাখতে চাই।

১। বাংলাদেশ বিল্ডিং কোড ভায়োলেশনের দায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- করে আইন পাস করতে হবে। কারণ কেউ অবৈধভাবে ইমারত বানিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারে না। ২। সাভার ট্র্যাজেডির সকল খলনায়ক, নেপথ্য নায়কদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।

কেউ যেন বিশেষ কৃপায় কোনোভাবে পার পেয়ে না যায়। ৩। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে বাঁচাতে বিশেষ টিম গঠন করে প্রতিটি কারখানা অডিটের আওতায় আনতে হবে। যারা সরকারি এবং বিজেএমইর গাইডলাইন মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এরা কেউই যেন, সরকারি-রাজনৈতিক-সামাজিক প্রভাব খাটিয়ে পার পেতে না পারে।

কারণ আমরা জানি, এসব শিল্প মালিকদের হাত অনেক লম্বা। ৪। সাভার ট্র্যাজেডিতে যারা নিহত-আহত হয়েছেন, তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। রাষ্ট্রের মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ক্ষতিপূরণ এক কোটি টাকা করে দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। খুনি ঐসব গার্মেন্টস মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি-ক্রোক-বাজেয়াপ্ত করে এই অর্থ পাওয়া সম্ভব।

৫। আহত সকল মানুষের বিনামূল্যে সকল চিকিৎসা দিতে হবে। তাদের কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন করে কাজ করে খাওয়ার রাষ্ট্রীয় সুবিধা দিতে হবে। প্রয়োজনে হুইল চেয়ারসহ যে কোনো প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জাম দিয়ে তাদের কর্মমুখী করার দরজা অবারিত করতে হবে। যে কথাটি না বললেই নয়, তা হচ্ছেÑ বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অন্যতম গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ।

এই আয়, দেশের নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। দেশটিকে এগিয়ে নিতে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তা না হলে, দেশটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রিয় রাজনীতিবিদরা, দয়া করে একটিবার আপনারা দেশের উন্নয়নের কথা ভাবুন। প্লিজ, দেশের গার্মেন্টস শিল্পকে এই চরম হুমকির মুখ থেকে বাঁচান।

----------------------------------------------------------------- দৈনিক ভোরের কাগজ // ঢাকা // ৪ মে ২০১৩ শনিবার ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।