"বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন অনিমেষ। নারায়ণগঞ্জেই এক গেরিলা অপারেশনে আসার পর অনিমেষ শহীদ হন। আগরতলার ক্যাম্পে কমান্ডার ডেকে পাঠান অনিমেষের বাবাকে। অনিমেষের রক্তাক্ত জামা আনতে পেরেছিলেন তাঁর সহযোদ্ধারা। সেটা অনিমেষের বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বাবা কাঁদতে থাকেন। তিনি বলেন, আমি এ জন্য কাঁদছি না যে আমার ছেলে কেন মারা গেল। আমি কাঁদছি, আমার কেন মাত্র একটা ছেলে। আজ যদি আমার আরেকটা ছেলে থাকত, আমি তাকে তো যুদ্ধ করতে পাঠাতে পারতাম। " সূত্র: প্রথম আলো।
হয়তো শহীদ অনিমেষের বাবা ভাবতেই পারেননি তাঁর একমাত্র ছেলেসহ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ পরিণত হবে এক মৃত্যু-উপত্যকায় যেখানে বক্ষকই হবেন রক্ষক। সবাই মেতে উঠবেন লুটপাটের এক উন্মত্ত খেলায় যাতে সানন্দে অংশ গ্রহণ করতে ভুল করবেননা মন্ত্রী। চরম অনিয়মই হবে নিয়ম। পৃথিবীর নিরাপদতম স্থান পিতার বুকেও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে শিশু। শহীদদের চরম অপমান করে তাঁদের আত্মত্যাগকে পদদলিত করে তাঁদের রক্তের চিহ্নে তৈরী পতাকা গাড়ীতে লাগিয়ে তাঁদের রক্তে ভেজা মাটির উপর দিয়ে বীরদর্পে ছুটে চলবে রাজাকার।
ক্ষুধা, দারিদ্রতামুক্ত স্বাধীন দেশের স্বপ্নে বিভোর হয়ে হাঁসি মুখে প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছ লাখো অনিমেষ, দৃশ্যত স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরও তোমাদের স্বপ্নকে ন্যুনতম বাস্তব রূপদিতে পারিনি আমরা। আমাদের ক্ষমা কর লাখো শহীদ অনিমেষ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।