আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাউ, গাজর, কাঁচাকলা, আলু ও আদার উপকারিতা জানুন।

উচ্চ রক্তচাপে লাউ লাউ মূলত গ্রীষ্ম ও বর্ষা ঋতুর সবজি। শীতকালেও লাউ উৎপাদিত হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম লাজেনারিয়াস। লাউয়ে বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন রোগীর পক্ষে এটা খুবই উপকারী। লাউ ভেষজ গুণসম্পন্ন সবজি।

গরমকালে লাউ বেশি খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে ও দেহে পানির ঘাটতি মেটায়। লাউ বলকারক সবজি। আলসার, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অর্শ রোগীদের জন্য লাউ উপকারী। গাজর খান সুস্থ থাকুন গাজর একটি মূলজ সবজি। এর বৈজ্ঞানিক নাম ডকাশ ক্যারোটা।

গাজর যেমন পুষ্টিকর, তেমনি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। গাজরে প্রচুর ‘ভিটামিন-এ’ আছে। এই ভিটামিন-‘এ’র অভাবে শরীর ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। শরীরের বৃদ্ধি থেমে যায় শারীরিক ক্ষমতা কমে যায়। খাদ্যদ্রব্য হজম হতে অনেক দেরি লাগে, চামড়া খসখসে হয়ে যায়।

ত্বকের রোগ দেখা দেয়। গাজর খেলে শরীর নরম ও সুন্দর হয়। শরীরে শক্তির সঞ্চার হয়। শরীরে পুষ্টি ও বিকাশে গাজর খুবই প্রয়োজন। কাঁচাকলার গুণ কাঁচকলা একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি।

এটি পাকা কলা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এর বৈজ্ঞানিক নাম সুসা প্যারাডিসিকা। কাঁচকলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের তথ্যমতে এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, লোহা, ভিটামিন ‘এ’, অক্সালিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, থায়াসিন, রিবোফ্ল্যাবিন ও ভিটামিন ‘সি’। একটি কাঁচকলা খোসা সমেত টুকরো টুকরো করে কেটে প্রতিরাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে ওই পানি পান করলে আমাশয় রোগ নির্মূল হয়।

এভাবে এক মাস খেতে হবে। এ ছাড়া পেটের অসুখে কাঁচকলা সিদ্ধ করে টাটকা টক দইয়ের সাথে মেখে খেলে রোগ সারে। কাঁচকলা শুকিয়ে গুঁড়া করে প্রতিদিন অল্প পরিমাণ দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে যৌনব্যাধি ও প্রস্রাবের অসুখ সারে। আলুর গুণ আলু কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ শর্করাপ্রধান সবজি। এটা সারাবছর পাওয়া যায়।

এর বৈজ্ঞানিক নাম সোলানাম টিউবারোসাম। আলু খেলে আমরা তাড়াতাড়ি শক্তি পেতে পারি। আলুতে থাকা ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-বি আমাদের শরীরের দুর্বলতা সারাতে সাহায্য করে। আলু শরীরের ভেতরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আলুতে কোনো চর্বি বা ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে।

অথচ এতে আছে লোহা ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। এই দু’টি খনিজ উপাদান হার্টের অসুখ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আলুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। আবার এই আলুতে এক ধরনের প্রোটিনেস ইনহিবিটর থাকায় এটি ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। নিয়মিত আলু খেলে প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া থাকে না।

আদা কোলেস্টেরল কমায় রান্নাবান্নার কাজে আদা ব্যবহারের কথা রাঁধুনীদের অজানা নয়। মূলত সুগন্ধী বলে এটি মসলা হিসেবে রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন গবেষণায় আদার শক্তিশালী কার্যকর ভূমিকা প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক এক গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন, আদা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মূলত রক্তে অধিক মাত্রার কোলেস্টেরলের উপস্থিতি হৃদরোগ সৃষ্টি করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, আদায় রয়েছে রক্ত জমাটবিরোধী গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা রক্তনালীর ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধাতে বাধা দেয়। এ ছাড়াও আদা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।