আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ যেন এক মহাকাব্যের প্রারম্ভিকা। শত কোটি ব্যাকুল চোখের অপলক দৃষ্টি ‘বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী’ লন্ডন শহরকে ঘিরে। প্রায় ১,৪০০ কোটি ডলার ব্যায়ে এই বিশাল আয়োজন ।

পৃথিবীটা যদি একটা বিশাল নদী হয় , তবে আমি ভাববো পৃথিবীর উপর আমি একটি ভাসমান নৌকা । যার ধর্মই হচ্ছে বয়ে চলা । নিজের অজান্তেই সবার মনে প্রশ্ন-কখন উদ্বোধন হবে লন্ডন অলিম্পিকের। অবশেষে সবার চোখকে বিস্ময়ে বিমূঢ় করে দিয়ে উদ্বোধন হলো খেলাধুলা জগতের সবচেয়ে বড় এবং জমকালো আসর, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ, অলিম্পিক গেমসের। পূর্ব লন্ডনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ জাতি জানিয়ে দিল সাংস্কৃতিক আভিজাত্যে আর এর নয়নাভিরাম উপস্থাপনায় তারা এখনও অনন্য।

বাংলাদেশ সময় রাত দুটোয় ট্যুর ডি ফ্রান্স জয়ী ব্রিটিশ সাইক্লিস্ট ব্রাডলি উইগিনস অনুষ্ঠান শুরু করেন। এর কিছুক্ষণ পরই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান জ্যাক রগাকে নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তারপর কিছু সময়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বহুল প্রত্যাশিত অলিম্পিক গেমস ২০১২-এর উদ্বোধন করেন রানী এলিজাবেথ। এ সময় স্টেডিয়ামে বসে ৮০ হাজার দর্শক এবং টিভি সেটের সামনে আরও একশ’ কোটির বেশি দর্শক উপভোগ করেন ৩ ঘণ্টার এই বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এ সময় স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনসহ অনেক দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা।

অলিম্পিক আয়োজনকে নিখুঁত ও উপভোগ্য করতে অর্থনৈতিক মন্দায় আক্রান্ত যুক্তরাজ্য সরকার প্রায় ১,৪০০ কোটি ডলার খরচ করেছে। শুধু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য খরচ করা হয়েছে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। স্লামডগ মিলিয়নেয়ারখ্যাত অস্কারজয়ী পরিচালক ড্যানি বয়লের পরিকল্পনায় মনোমুগ্ধকর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফুটিয়ে তোলা হয় ব্রিটেনের গ্রামীণ পরিবেশ ও প্রকৃতিকে। বিগ বেনের ঘণ্টাধ্বনির মাধ্যম বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেয়া হয় মহাযজ্ঞ শুরু হয়ে গিয়েছে। অলিম্পিক গেমস শুরুর আগে গতকাল ব্রিটেনজুড়ে একই সময়ে, সকাল ৮টা ১২ মিনিটে, একযোগে ঘণ্টা বাজানো হয়েছে।

প্রাচীন গ্রিসে আবিষ্কৃত অলিম্পিককে গতকাল মোহনীয়ভাবে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় ও আধুনিক লন্ডন শহর। এই নিয়ে এখানে তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করা হলো অলিম্পিকের। এটি অলিম্পিকের ত্রিশতম আসর। অলিম্পিক মানে নানা জাতির মেলবন্ধন। অলিম্পিকের এ আসরে ৩০০টি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন ২০৫টি দেশের ১০ হাজার ৫০০ অ্যাথলেট।

বাংলাদেশ থেকেও ৫ সদস্যের দল অংশ নিয়েছে লন্ডন অলিম্পিকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের ৮০ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ স্টেডিয়ামেই ১২ আগস্ট হবে সমাপনী অনুষ্ঠান। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান জ্যাক রগা পূর্ববর্তী বেইজিং অলিম্পিকের সঙ্গে লন্ডন গেমসে তুলনা না করার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, এবারের গেমসে লন্ডন এমন কিছু উপহার দেবে, যা বিশ্বের আর কোনো দেশের পক্ষে সম্ভব ছিল না।

তার কথার অমর্যাদা করেনি ব্রিটিশরা। ২০০৮ সালে চীন যেভাবে বেইজিংয়ে তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরেছে, লন্ডনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও সেভাবে ব্রিটিশ ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। অলিম্পিক নিয়ে লন্ডনবাসীর স্বপ্ন : স্ট্রার্টফোর্ডের ওয়েস্টফিল্ড শপিং কমপ্লেক্সের সামনে দাঁড়িয়ে ডানে তাকালে অদূরেই দেখা যায় আলোর বিচ্ছুরণ। আলোর খেলা চলছে, আঁকাবাঁকা হয়ে কখনও কখনও আকাশ ছুঁয়ে যাচ্ছে। শুধু এই শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকেই নয়, লন্ডনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই দেখা যায় এই ঠিকরে পড়া আলো।

কিন্তু এই আলো পড়ছে না লন্ডনারদের (লন্ডনের অধিবাসী) মধ্যে। কেন যেন আবেগহীন থিতু হয়ে আছে এই শহরের বাসিন্দারা। অলিম্পিক শুরু, কিন্তু বিলেত নীরব। জিএমটি সময় অনুযায়ী গতকাল সন্ধ্যা ৯টায় এই মেগা আসরের উদ্বোধন হয়েছে, বাংলাদেশ সময় তখন রাত ২টা। ২৬ জুলাই স্থানীয় সময় রাত ১০টায় বের হই নগরীর অবস্থা দেখতে।

অলিম্পিক শুরুর ঠিক আগের রাতে কী অবস্থা লন্ডনের তা দেখতে। পূর্ব লন্ডনের ফরেস্ট গেট থেকে হাটতে শুরু করি স্ট্রার্টফোর্ডের দিকে। ৩০ মিনিটের রাস্তা। আশপাশের অবস্থা দেখার জন্যই এই পদযাত্রা। গ্রীষ্মকালে দিনরাত প্রাণবন্ত থাকে লন্ডন।

ঘুমোনো ছাড়া মানুষ ঘরে যায় না। খাবার হোটেল, পাব ও বার-এ মানুষ গিজ গিজ করে। সামারের সঙ্গে যোগ হয়েছে অলিম্পিক। কিন্তু মানুষের মধ্যে প্রত্যাশিত উচ্ছ্বাস নেই। পথে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট চোখে পড়ল।

প্রায় ফাঁকা। এর মধ্যে ‘ইন্ডিয়া গেট’ নামে বাংলাদেশী মালিকানাধীন একটি রেস্টুরেন্ট পাওয়া গেল। জানা গেছে, মাত্র মাস তিনেক আগে অলিম্পিককে সামনে রেখে রেস্টুরেন্টটি নতুন করে সাজানো হয়েছিল। ১০০ আসনের এ রেস্টুরেন্টে মাত্র দু’জনকে বসে খেতে দেখা গেছে। পাশের রাস্তার খোলা যায়গায় বসে দু-একজন বিয়ারে চুমুক দিচ্ছেন।

সাড়ে ১০টার দিকে যখন স্ট্রার্টফোর্ড পৌঁছাই, প্রায় ফাঁকা হয়ে এসেছে। শুধু গণমাধ্যম কর্মী, অলিম্পিক স্বেচ্ছাসেবকরা ঘোরা ফেরা করছে। বিস্মিত হই। কাল এতবড় ক্রীড়া যজ্ঞ শুরু অথচ উচ্ছ্বসিত উপচেপড়া মানুষ কোথায়? ভাবি, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কারণে হয়তো এখানে লোকজন আসেনি। পূর্ব লন্ডনের প্রাণকেন্দ্র স্টেপনি গ্রীিন, হোয়াইট চ্যাপেল যাওয়ার পরিকল্পনা করি।

টিউবে স্টেপনি গ্রিণ এ পৌঁছে একই দৃশ্য চোখে পড়ল। গাড়ি চলাচল নেই। হঠাত্ হঠাত্ দু-একটা পাবলিক বাস আসে। কেন এই অবস্থা জানতে চাইলে সঙ্গী লন্ডন থেকে প্রকাশিত পাঠক প্রিয় সাপ্তাহিক বাংলা টাইমস পত্রিকার সাবেক সম্পাদক নূরুল আকবর ভূঁইয়া সবুজ জানালেন, অর্থনৈতিক মন্দাই এই নিষ্পৃহতার মূল কারণ। মন্দা থেকে উত্তরণে সরকার দেশটির দীর্ঘদিনের বেনিফিট সংস্কৃতির ব্যাপক কাটছাঁট করেছে।

যা মানুষের অর্থনৈতিক ভবিষ্যেক শঙ্কার মধ্যে ফেলেছে। সরকারের বেনিফিট কেটে নেয়ার ঘোষণা স্থানীয়দের কাছে আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। যে কারণে খরচের ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছে। মাত্র দু’বছর আগেও ব্রিটিশদের মধ্যে একটি ধারণা কাজ করত যে, পকেটে যা আছে তা দিয়ে এক সপ্তাহ চলতে পারলেই হলো। পরের সপ্তাহ নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা ছিল না।

মাত্র দু’বছরের ব্যবধানেই এই ধারা বদলে গেছে। বাড়িভাড়া আকাশচুম্বী হয়েছে অথচ বাড়িভাড়া বাবদ সরকারের দেয়া বেনিফিট ব্যাপক হারে কমানো হয়েছে। আগের নিয়মে নিম্ন আর মধ্যবিত্তদের জন্য স্থানীয় সরকারের বাড়িও এখন আর সারা জীবনের জন্য দেয়া হচ্ছে না। একটি নির্দিষ্ট সময় পর স্থানীয় পরিষদের এসব বাড়ি যাতে ছেড়ে যেতে হয় সেজন্য আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। ইংল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে দেশটির নাগরিকরা আগের নিয়মে নামেমাত্র ফি’তে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারত।

এ নিয়মও বদলে ফেলেছে বর্তমান সরকার। টিউশন ফি বাড়িয়ে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেখানে আগের মতো স্থানীয় এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে তেমন কোনো পার্থক্য আর নেই। একইভাবে বেনিফিটের প্রতিটি স্তরে ব্যাপক কাটছাঁট করেছে সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিম্ন আর মধ্যবিত্ত ব্রিটিশরা এখন আয়-রোজগার বাড়ানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে। অলিম্পিক এখন তাদের জন্য রীতিমতো বিরক্তির কারণ।

তাদের ভাষায় নিয়মিত কর দিচ্ছে অথচ তাদের জন্য সার্ভিসগুলো কঠিন করা হয়েছে অলিম্পিকের কারণে। রাস্তায় যানজটের কারণে রাস্তায় চলাচলের সময় বেড়েছে। তারা কর দিয়ে সমস্যায় ভুগতে রাজি নন। অলিম্পিকের মূল ইভেন্টগুলো হচ্ছে মূলত পূর্ব লন্ডনে যা মূলত ইমিগ্র্যান্ট অধ্যুষিত এলাকা। বাংলাদেশী, পাকিস্তানি, ইন্ডিয়ান আধিপত্য রয়েছে এ এলাকাটিতে।

কোয়ালিশন সরকার ক্ষমতায় আসার আগে সাধারণ কর্মদিবসেও এলাকাটি মানুষে গিজ গিজ করত। যাদের অন্তত তিন চতুর্থাংশই ছিল বাংলাদেশী, পাকিস্তানি অথবা ইন্ডিয়ান। কোয়ালিশন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্রিটেনের ১০০ বর্ষের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এনেছে ইমিগ্রেশন নীতিতে। সরকার ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা দিয়েছিল লাখ লাখ ইমিগ্র্যান্টের মধ্য থেকে যে করেই হোক হাজার হাজার এ নামিয়ে নিয়ে আসবে। এ লক্ষ্য অর্জনে ইমিগ্রেশন নীতিতে পরিবর্তন করার কারণে পূর্ব লন্ডনের সেই অবস্থা আর নেই।

হাজার হাজার ইমিগ্র্যান্ট হয় নিজ দেশে ফিরে গেছে আর না হয় ইউরোপের অন্য দেশে পাড়ি জমিয়েছে। অলিম্পিক নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল লন্ডনারদের। বিশেষ করে পূর্ব লন্ডনের বাসিন্দাদের আশা ছিল, এই মেগা ইভেন্টকে সামনে রেখে তাদের ভালো আয় রোজগার হবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। ধারণা করা হয়েছিল, প্রচুর সংখ্যক বিদেশি আসবে অলিম্পিক দেখতে।

চড়া দামে হোটেল, বাড়িভাড়া দেয়া যাবে। এজন্য বড় বড় বিজ্ঞাপনও দেয়া হয়েছিল। এই আশা পূরণ হয়নি। অলিম্পিক আয়োজনস্থলের আশপাশের বাড়িওয়ালারা ক্রীড়াজগতের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট উপলক্ষে স্বল্প সময়ের জন্য বাড়িভাড়া দিয়ে বড় অঙ্কের অর্থ আয়ের আশা করেছিলেন। এজন্য বাড়িগুলোকে সেভাবে প্রস্তুত করা হয়েছিল।

এ ধরনের বাড়িভাড়া দেয়ার জন্য যারা বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন তাদের শতকরা ৮৯ ভাগই ভাড়া দিতে পারেননি। হোটেলগুলো শেষ পর্যন্ত ভাড়া কমিয়ে দিয়েছে। তারপরও বোর্ডার পাওয়া যাচ্ছে না। কেন যেন এই অলিম্পিক ধনীদেরও আকৃষ্ট করতে পারেনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিছু চড়া দামের টিকিট রাখা হয়েছিল।

২০১২ এবং ১৬০০ পাউন্ড দামের এসব টিকিটের একটি বড় অংশই বিক্রি হয়নি। একসময় রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ করে আসা সামরিক বাহিনীর সদস্য অথবা এ শ্রেণীর রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে যাদের অবদান রয়েছে তাদের মধ্যে বিতরণের সািদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। লন্ডন অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৮০ হাজার দর্শকই রাখা হবে। এ কারণেই অবিক্রিত টিকিটগুলো দিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে অলিম্পিককে কেন্দ্র করে পুরো লন্ডন ব্যাপক যানজটে পড়েছে।

পুরো শহরের স্টেডিয়াম অভিমুখী সড়কে অলিম্পিক লেন করা হয়েছে। এই লেনে কোনো গাড়ি ঢুকলেই ১৩০ পাউন্ড আর দাঁড়ালে ২০০ পাউন্ড জরিমানা। কিন্তু ৭০ ভাগ মানুষই জানে না এসব লেন কোথায়। ফলে তারা অহরহ এসব লেনে ঢুকে পড়ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান।

অলিম্পিক ভেন্যু এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ২৫০০০০ মুসলমান বাস করে। এখানে রয়েছে ১০০ মসজিদ। সাহরি ও ইফতারির সময় বিপুলসংখ্যক মানুষ চলাচল করে। ৩০০০ অ্যাথলেট মুসলমান হওয়ায় তারাও সাহরি, ইফতার ও নামাজের সময় চলাফেরা করে। এর প্রভাব পড়ছে ট্রাফিক সিস্টেমে।

১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিকের পর এই প্রথম রমজান মাসে অলিম্পিক গেম হচ্ছে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।