আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুমায়ুন স্যারের মৃত্যু ও কিছু কথা...

বন্ধু হতে এসেছি জনপ্রিয় গল্পকার,ঔপন্যাসিক,নাট্যকার কি ছিলেন না তিনি। দিনের পর দিন অবিরত লিখে গেছেন। কখনো নিজের আনন্দের জন্য কখনো না অন্যের আনন্দের জন্য। এমন কি অসুস্থ অবস্থায় ও কলম থেকে রাখেন নি। এপার বাংলা ,ওপার বাংলা এমনকি বিশ্বের সকল বাংলাভাষী মানুষ কে অনাবিল আনন্দ দিয়েছেন তার নাটক,চলচিত্রের মাধ্যমেও।

অথচ এই মহান লেখকের মৃত্যুর পর কিছু প্রশ্ন তাড়া করে ফিরছে সবার মনে। কেউবা বলছেন এ মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। অনেকে শাওনের অবহেলা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তাকে অখ্যাত হাসপাতালে রাখ নিয়েও। আর লাশ দাফন নিয়ে টানাহেচড়ার কথা নাইবা বললাম।

অনেকেই শাওনের দিকে অভিযোগের আন্গুল তুলেছেন। কেউবা গুলতেকিন ও তার সন্তানদের দোষারোপ করেছেন দূরে সরে থাকার জন্য। যদিও অবশেষে শাওনের ইচ্ছেই পূরণ হয়েছে। এখন আসি আমারে মতামতে। গুলতেকিন এর দিক ভাবতে গেলে বলতে হয় তিনি হুমায়ূনের কাছ থেকে দূরে সরে ছিলেন অভিমানে,রাগে,দুঃখে।

দীর্ঘ দিন সংসার করার পর সন্তান ও তার দিকে না তাকিয়ে শাওনের সাথে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াটা কষ্টের বৈকি। তদোপর মেয়ের বান্ধবীর কাছে নিজের স্বামী কে হারিয়ে তিনি ছিলেন বিমূড়। সেই হিসেবে তার দূরে সরে যাওয়াটা যুক্তি সংগত ই বটে। আর শাওনের দিকে ভাবতে গেলে বলতে হয় সংসার যখন হয়েই গিয়েছে সেহেতু শাওন চেয়েছে স্যারের কবর নিজের ইচ্ছেয় দাফন করতে। এক্ষেত্রে কবর দেওয়া নিয়ে স্যারের শেষ ইচ্ছের ব্যাপার টাও ঘোলাটে।

অনেকে বলেছেন শাওন স্যারকে মেরে ফেলেছেন। এটা মনে হয়না ঘটেছে। আমি একজন মেয়ে হিসেবে জানি কোনো মেয়েই তার স্বামী কে মেরে ফেলতে পারেনা। এর এমন অল্প বয়সে স্বামী হারিয়ে শাওন অন্যের পরামর্শে কিছু কাচাঁ কাজ করেছেন। তবে শেষে এসে এতটুকুন ই বলতে চাই আমরা যে যাই বলিনা কেনো হুমায়ূন আহমেদ আর কোনোদিন ফিরে আসবেন না।

ফিরে আসবে না হলুদ পান্জাবী পড়া হিমু,মিসির আলী আর সমস্যার সমাধান করবেন না। রুপা বারান্দায় বসে থাকবে অপলক চোখে...আসুন এসব বিতর্ক ওদের পরিবারের ওপর ছেড়ে দেই। এসব নিয়ে বিতর্ক করে শুধু শুধু স্যারের আত্নাকে কষ্ট না দিয়ে স্যারের জন্য প্রার্থনা করি যাতে তিনি যেখানেই থাকেন ভালো থাকেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।