আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আরাকানে মুসলিম নিধন : গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালি অং সান সু চির মুখে তালা

মিয়ানমারের আরাকান অঞ্চলে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক নিধনযজ্ঞের বিরুদ্ধে উচ্চবাচ্য বা প্রতিবাদ না করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ছেন দেশটির নোবেল বিজয়ী বিরোধী নেত্রী অং সান সুচি। অনেকেই তার এ নীরবতাকে রহস্যজনক এবং একইসঙ্গে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন। সরকারি ইন্ধনে চলা মুসলিম-বিরোধী এ দাঙ্গায় বহু মানুষ নিহত হলেও সুচির নীরবতায় হতাশ হয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাধারণ মানুষ। এ জন্য তারা কথিত গণতন্ত্রী ও ‘বেসামরিক খোলসের সামরিক সরকার’-এর পাশাপাশি সুচিকেও অপরাধের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তার এ নীরবতার কারণে এ সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে বলেও মনে করেন তারা।

পুরো খবর কথিত গণতন্ত্রী নেত্রী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যা অং সান সুচির প্রতি সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে করণীয় কি বলে আপনি মনে করেন? হাস্যোজ্জ্বল সুচি তখন বলে ওঠেন, রোহিঙ্গা! তারা আবার কারা? তিনি এখন এদেরকে Kala অর্থাৎ ‘বিদেশী’ বলছেন। সুচির দল এন,এল,ডি-র এক এম,পি গত এপ্রিলে তার সশস্ত্র ক্যাডারদের প্রথম রোহিঙ্গাদের উপর লেলিয়ে দিয়ে দাঙ্গা বাঁধান। আর তখন থেকেই রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সমূহ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে। অতঃপর ৮ই জুন থেকে সুপরিকল্পিত ভাবে হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়। অথচ সুচি হয়ত ভুলে গেছেন যে, তার পিতা অন সানের অন্যতম প্রধান সহযোগী রাজনীতিক ছিলেন মুসলমানদের নেতা উ, রাযাক।

শিক্ষা ও পরিকল্পনামন্ত্রী হিসাবে তিনি রোহিঙ্গা মুসলিম ও বৌদ্ধ বার্মিজ সকলের নিকটে সমান জনপ্রিয় ছিলেন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক সহিংসতায় সুচির পিতার সাথে তিনিও নিহত হন। অথচ আজ সুচি তার পিতার বন্ধুকে চিনেন না। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যখন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে, শান্তির মেডেলধারী সুচি তখন ইউরোপ ভ্রমণে বের হন। উচিত ছিল তার সব ফেলে ছুটে যাওয়া নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে।

হয়তবা তাতেই অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটে যেত।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.