আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"বাহ বাহ বাহ মউদুদ সাহেব বাড়ি করলেন তো করলেন শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড"। টাকা পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে দুদক ।

শেষ পর্যন্ত পচা ডিমের আসল চেহারা আসলো জনসম্মুখে । অনেক দিন ধরে রাজনিতিতে বিভিন্ন দলের সাথে যোগসাজশ করে টিকে আছে এই লোক । জি মউদুদ সাহেব এর কথাই বলছিলাম আমি । দুদক সূত্র জানায়, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দুদকের উপপরিচালক মোনায়েম হোসেন বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে লন্ডনে অর্থ পাচারের ঘটনা তদন্ত শুরু করেন। এর অংশ হিসেবে তিনি মওদুদ আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জুলাই নোটিশ দেন।

তাঁকে ১১ জুলাই সকালে দুদকে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু তিনি ৯ জুলাই হাইকোর্ট হাজির হয়ে দুদকের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন দায়ের করলে আদালত তিন মাসের জন্য দুদকের নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। ২০১০ সালের ৫ মার্চ লন্ডনে তিন লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড খরচ করে একটি অ্যাপার্টমেন্ট (বাড়ি) কেনেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা দিয়ে লন্ডন শহরের ১৫ হান্টিংটন এলাকায় বাড়িটি কেনা হয়। মানুষটি রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশে এতদিন নানা ছলচাতুরী করে কাটিয়েছেন ।

প্রয়োজনে অতীত দল ত্যাগ করে নতুন দলে যোগ দিয়েছেন । এখন তার দুর্নীতির এক নতুন দিক উন্মোচন হল । মানুষ যখন দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে প্রতিস্থা লাভ করতে চাচ্ছে সেখানে মউদুদ সাহেব বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশের বাহিরে প্রতিস্থা লাভ করতে চাচ্ছেন । আসলেই আইন ব্যাবসায়ির মাথাই অন্যরকম । কি কৌশলে কোটি কোটি টাকা বাহিরে চলে যাচ্ছে , একবার চিন্তাও করা যায় না ।

হায়রে দুর্নীতি এমনি এক টেকনিক । এই ভাবে আর কয় দিন ? একের পর এক ধরা খাচ্ছে রাজনীতিবিদরা দুর্নীতির দায়ে । এখন কথা হল এই সব দুর্নীতির বিচার আমরা কবে দেখব । এমনকি এদের আশানুরুপ কোন জিগ্যাসাবাদও হয় না । তবে এবার আশার কথা হল কমিশনের নতুন কৌশলের মধ্যে রয়েছে নোটিশ না দিয়েও যেকোনো ‘হাইপ্রোফাইল’ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়।

সুতরাং তাকে জিগ্যাসাবাদ করা হতে পারে এক দুই দিনের ভেতরেই । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।