আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহ সোহেল'র পদাবলি

কেন যে আমার লাগেনা ভালো কেন যে আমার লাগেনা ভালো মনেতে বিষম জ্বালা ধরে বেঁধে রাখেগো সে আমায় মারিয়া চাবি তালা। মনের জোরে হাসিয়া যাই আমি জিবন যেখানে বন্ধি হাতে রেখে হাত ভুলে যাই সবই দুশমনে করি সন্ধি। পাখির মতো চাইলেও উড়িতে হাত পা শিকলে বাঁধা সকল স্বাধ আমার মাটি হয়ে যায় চোখেতে লাগে ধাঁধা। জলেতে ভেসে য়ায মেঘলা আকাশ বৃষ্টির এসেছে পালা দুঃখে ভরেছে সারা পৃথিবী গলে বেদনার মালা। ২৬.০২.২০১২ তুমি যদি যাও গো চলে তুমি যদি যাও গো চলে থেমে যাবে এ জিবন থাকো যদি তুমি পাশে ভাসবো জলে আজিবন! এ জিবনে যদি গো হই সখি তোমাকে হারা বন্ধ হবে বায়ূ বাতাস আমি যাব গো মারা! ০৪.০৩.২০১২ বারবার ফিরে দেখা হয় একবার নয়; আবার আসি- বারবার ফিরে দেখা হয়! কোন বাহুবল ধরে আছে প্রাণে কেমন সূর্যদয়? লুকায় সূন্দরী দিন লোকচুরি খায় আকাশের আলো রাতের বেলায় দেখি চাখারাখা নীড় অণির্বন কালো।

হিজরতের হিমালয় এসে কড়া নাড়ে মোঘল দোয়ার ভাসিয়ে নর্দমা যত- অনাবিল নালা- বাওয়াল জোয়ার! সৈন্য সমর্পণ পদে নিরুপম নদী- নিবন্ধ নির্দেশ অনুপম আয়োজনে সৈনিক সংগ্রহ অভিজ্ঞ বিদেশ। সংসার বৈরাগী জিন, ভিমরতি ভিত্তিক থাকে সারাক্ষণ অগ্নিপথের পথিক গুপ্তের সন্ধানে লোকায়িত ধন মাটির নির্যাস চিপে খুঁড়ে আনে সত্য সুন্দরের পুঁজি কার পরি- কার খাই- কোন জমিদার দেয় শুভ্র রুজি? কালের শাহ সোহেল কামনা কাঞ্চনে স্নিগ্ধ সবিনয় একবার নয়; আবার আসি- বারবার ফিরে দেখা হয়! ২৫.১০.২০০৯ কেন হয়ে গেলো এমোন কেন হয়ে গেলো এমোন কি কারণে সব ভেঙ্গেচুরে হল হিরোশিমা বেশ! কি কারণে সাগর নদীকে আঘাত করে শুকায় সকল জলের স্মৃতি, কেন যে বাতাস হানে আঘাত গাছে? বেলাজে উলঙ্গ করে যৌনি পথ ছিড়ে আনে তার উষ্ণ আলিঙ্গণ ঢেকে রাখা পাতার চাদর লুটায় পায়ের নীচে। চোখেতে আর ঝরে না জল ছিড়ে ফেলে-উপড়ে ফেলে জ্যোতির মিলন বাসর। কেনরে দূরে ঠেলে চাঁদ- বেছে নেয় সে কালো কুমির পথ? বেহায়া বেশ্যা মন বিড়ায় নৌকার গলই- কত যে অজানা যম রাখে পা দিতে শরাবী পাড়ি। কতদিন কত পথে ঘুরে ফিরে নিয়ে আসে ভেঙ্গে পড়া আকাশ থাকে না কিছুই আর উপরে মাথার কি নিয়ে সে যায় ফিরে বাড়ী? ভিতরে নিয়ে জ্বালা গর্ভে জাড়জ গলাতে দড়ির মালায় করে সব অবশেষ! ২২.০২.২০১২ মানুষ মানুষ ঘুরে ফিরে আর কোথাও নয়- যেখানে আছে সেখানেই থেকে যায়; মাঝে মাঝে ক্ষুধার্থ ফকির ক্ষনিক আবেগে বলে উঠে- “তারা কতো বড় লোক, কতো তলা বাড়ী বানাইছে দেখ”! আমি এই ক্ষুধার্থ ফকির আর উঁচু তলার ঊঁচু লোকদের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখিনা, কারণ পদ্ম-মেঘনা-যমুনা ভেদ করে পৃথিবীর এক দিক থেকে অন্য দিক ঘুরে এসে মানুষ তার নিজস্ব স্থান- মাটিতেই মিশে যায়! ২৪.০২.২০১২ কতটা আমি হারিয়ে তোমায় কতটা আমি হারিয়ে তোমায় পেয়েছি বনলতা গঙ্গা-যমুনা ওহুদ পেরিয়ে বলেছি তোমার কথা।

তোমার জন্য করেছি আমি তন্য তন্য এই ভুবন আমি খুঁজতে গিয়ে তোমায় বল বাকী রেখেছি কোন বন? দেখেছি কতনা হাঙ্গর-কুমির হয়েছে পথের বাঁধা তোমার জন্যে সবার চোখে আমি দিয়েছি ধূলো কাদা। আমি সব কিছু জয় করে যখন এসেছি তোমার কাছে খোঁজে পেলাম আরেক অন্য মানুষ আমায় ছাড়া সে বাঁচে। ০১.০৩.২০১২ আমার ছিল চরভাঙ্গা এক নদী আমার ছিল চরভাঙ্গা এক নদী বেঁচে মরে চলত নিরবধী! হঠাৎ একদিন চির মরার আসল সময় তার আকাশ ভেঙ্গে আসলে তুমিই করতে উদ্বার! আসলে তুমি বসলে পাশে খনন করলে নদী চৈএ খরায় জল পেয়ে সে নাম দিল দরদী তখন থেকে ভাল মন্দে চায় তোমাকে পাশে তোমার এবং নদীর প্রেমে হাসে নীল আকাশে। খোঁজেনা সে আর কোন পথ তুমি ছাড়া অন্যকে তোমায় চিনে-তোমায় মানে যতোনা সুখ দুঃখে তোমার মাঝে প্রথারণার পায়নিতো লেশ কোনো তুমিও তার সকল কথা হৃদয় ভরে শুনো অন্যকে সে দেয়না জা’গা তোমার মাঝে অন্ধ হঠাৎ কেমন ভেসে আসে বাতাস পঁচা গন্ধ! সিজদা নত হয়ে পা’য়ে প্রশ্ন করে সে বল যাহা বলবে তুমি শুনব ভালবেসে ঘাড় বাকিয়ে মুখটি তোমার নিলে ফিরিয়ে বল্লে তুমি দিয়েছি অনেক;খোঁজ অন্য কোথাও গিয়ে! কোথায় যাবে কার কাছেতে জানেনা পুড়া নদী সব কিছু তার ফুরিয়ে যাবে,যায় মরে সে যদি; আত্মাহুতি জয় করিল সকল তোষামোদী!! ০৯.০৩.২০১২ কি সুন্দর আকাশ কি সুন্দর বাতাস কি সুন্দর আকাশ কি সুন্দর বাতাস! এভাবেই তুমি আমি একদিন হয়ে যাব পৃথিবীর জমিন। আমরা কবে যে কার ঘরে দেবো হানা না শুনে কভু কারো বাঁধা আর মানা ভালবেসে হবো এক অন্যের দাস কি সুন্দর আকাশ কি সুন্দর বাতাস! তুমি আমি করব জয় পৃথিবীটা নিশ্চয় মানব না কভু কালো পরাজয় আকাশের রঙ মেখে আমরা দুজনে পাখিদের মতো যাবো বন ভোজনে।

বাতাসের উপরে হবে মধুর আবাস কি সুন্দর আকাশ কি সুন্দর বাতাস! মে ২০১২ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।