আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চুরি করলেই চোর হওয়া যায় নাঃ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে-৬

I am Bangladesh supporter আমাদের দেশে একপ্রকার চোর আছে শ্রমিকের পরিশ্রমের দাম দেয় না। দেশের মানুষের তো দেয়ই না, এখন বিদেশিদেরও দিচ্ছে না। বি বি সি বাংলায় এটি শিরনাম হয়ে গেছে। বিপিএল'র বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে বিতর্ক বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো যে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে দেশী বিদেশি অনেক খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক পরিশোধ করা নিয়ে এক ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজিত সেই টুর্নামেন্ট খেলার পর অনেক বিদেশি খেলায়াড় পারিশ্রমিক পাননি বলে অভিযোগ উঠার পর এখন বকেয়া পারিশ্রমিকের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন বাংলাদেশী খেলোয়াড়রা।

তবে অংশগ্রহণকারী দলগুলো এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বলছে বকেয়া পারিশ্রমিকের দাবির বিষয়টি অনেকটা বাড়িয়ে বিপিএল টুর্নামেন্ট নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ড এবং অংশগ্রহণকারী দলগুলো বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে যদিও তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করছে, কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না বাংলাদেশী খেলোয়াড়রা । বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের সংগঠনের সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয় বলছেন বকেয়া পারিশ্রমিকের বিষয়ে এ বিতর্ক বিপিএল-এর সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। নাইমুর রহমান দুর্জয় বলেন , “বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে একটা ধারণা তৈরি হচ্ছে যে বাংলাদেশে খেলতে আসলে টাকা-পয়সা নিয়ে সমস্যা হয়। ” এ বিষয়টি দ্রুত সমাধান করার দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন বকেয়া পারিশ্রমিকের বিষয়ে দ্রুত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। বাংলাদেশের খোলোয়াড়রা মনে করেন বোর্ড যদি এ বিষয়ে উদ্যোগ না নেয় তাহলে খেলোয়াড়দের পক্ষে এই পারিশ্রমিক আদায় বেশ কঠিন হয়ে পড়বে। তবে খেলোয়াড়দের এই অবস্থানকে সহজভাবে নিতে পারছেন না অংশগ্রহণকারী দলগুলো। বকেয়া পারিশ্রমিকের বিষয়টি যদিও তারা স্বীকার করছেন কিন্তু বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের এই অবস্থানের যৌক্তিকতা তারা দেখছেন না। অংশগ্রহণকারী দল 'দূরন্ত রাজশাহী'-র চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান মোহন বলেন আর্থিকভাবে অনেক দল বেকায়দায় ছিল বলেই এ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।

সেজন্য খেলোয়াড়দের অবস্থানে হতাশা প্রকাশ করলেন মি: মোহন। মি: মোহন বলেন , “ খেলোয়াড়দের আরেকটু সহনশীল হওয়া দরকার ছিল। কারণ এই টুর্নামেন্ট ভবিষ্যতে সফল হলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। ” মুশফিকুর রহিম মোহন, চেয়ারম্যান দুরন্ত রাজশাহী "খেলোয়াড়দের আরেকটু সহনশীল হওয়া দরকার ছিল। কারন এই টূর্ণামেন্ট ভবিষ্যতে সফল হলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে" তিনি বলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা যখন স্থানীয় লীগে খেলেন তখনও তাদের পারিশ্রমিক পেতে সময় লাগে।

খেলোয়াড়দের এই অবস্থানকে দূভার্গ্য বলে বর্ণনা করছেন মি: মোহন। স্থানীয় খেলোয়াড়দের পাশাপাশি বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তৈরি হয়েছে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের মারলোন স্যামুয়েলসের বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে। বিপিএল-এর নিয়ম অনুযায়ী কোন দল যদি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সে দায়িত্ব নেবে। কিন্তু বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন বোর্ড এখনও তাদের প্রতিশ্রুতিতে অনড় রয়েছে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপু "বোর্ড এখনও প্রতিশ্রুতিতে অনড় রয়েছে এবং খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের একটি বড় অংশ পরিশোধ করা হয়েছে" তবে গাজী আশরাফ হোসেন লিপু দাবি করেন এরই মধ্যে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের একটি বড় অংশ পরিশোধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন ওয়েষ্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড় স্যামুয়েলসের একাউন্টে তিনবার টাকা দেয়া হলেও সেটি ফেরত এসেছে। মি: স্যামুয়েলসের এজেন্ট ভুল একাউন্ট নম্বর দিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন বকেয়া পারিশ্রমিকের বিষয়ে ফিকা যে বিবৃতি দিয়েছে সেটিতে তারা বিস্মিত হয়েছেন। বিষয়টিকে বিপিএল-এর বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা বলেই তিনি উল্লেখ করেছেন। হাদিসে আছে, শ্রমিকের ঘাম শুকাবার আগে পরিশ্রমের টাকা দিয়ে দিতে হয়।

এদেশের চোররা আর লজ্জা দিবে বিশ্ব সমাজের কাছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.