আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আইবিএ এর প্রস্তুতি:শুরু হয়ে যাক আজ থেকেই

অলস মস্তিষ্ক আইবিএ(IBA- institute of business administration) এর এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই হাতে কমপক্ষে দুই মাস সময় নিতে হবে। দেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা মানসম্মত এমবিএ ডিগ্রীর খোঁজ করছেন তাঁদের জন্য আইবিএ নি:সন্দেহে একটি স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। কেননা এর পাঠদানের পরিবেশ,শিক্ষকদের আন্তরিকতা,কোর্স শেষে নিশ্চিৎ চাকরি এবং উচ্চবেতনের গ্যারান্টি যা আপনাকে সহজেই শুরু থেকেই একেবারেই একা একা নিজের সাধ্যমতেই মধ্যবিত্ত হতে উচ্চমধ্যবিত্ত লাইফ লিড করার নিশ্চয়তা দেয়। আর তাছাড়া বাঙ্গালী ঐতিহ্যবাহী ধারণা সোনার টুকরো সন্তান হওয়ার মিনিমাম রিকোয়্যারমেন্ট ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,শিক্ষক,আইনজীবি হওয়ার যে ভিত্তি তা অনেকাংশেই দিনদিন ভেঙ্গে দিচ্ছে আইবিএ। এই প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত হলেও এখানে স্টুডেন্ট পলিটিক্স,সেশন জ্যাম নেই আর এটি একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান।

তাছাড়া এখানে পড়ার খরচ ডিইউ এর মতই। তাই একটা সাধারণ মিডলক্লাস পরিবারের পক্ষেও একজন শিক্ষার্থীর পড়ার খরচ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। আইবিএতেই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত সেমিস্টার সিস্টেম সেশন চালু করা হয়। আপনার বয়স ২৩ না ৪৩ না ৫৩ তা এখানে কোন ব্যাপার না। আসল কথায় আসা যাক।

প্রস্তুতি: ___________________________________________________ একটা মিনিমাম রিকোয়্যারমেন্ট মানে একাডেমিক যোগ্যতা থাকতে হবে পরীক্ষায় বসার জন্য। যারা আইবিএতে বিবিএ পড়তে চান তারা ইন্টার পাশ হলেই চলবে। তবে পলিট্যাকনিক/মাদ্রাসা শিক্ষা/ইংরেজী মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের জন্য ফর্মে উল্লেখিত নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হবে। আইবিএ তে পরীক্ষা দিতে হলে আপনাকে সনাতনী নিয়মে ফর্ম কিনে নয় বরং ইন্টারনেটে সংস্হাটির ওয়েবসাইটে দেওয়া ফর্ম পূরণ করে রেজিষ্ট্রেষণ করতে হবে। এতে প্রয়োজন হবে একটি টেলিটক সিম।

সেই সিম থেকে আইবিএ বরাবর ৬০০-৭০০ টাকা পাঠাতে হবে। এই ওয়েবসাইটেগিয়ে ফরম পূরণ করবেন। উচ্চমাধ্যমিক অথবা গ্র্যাজুয়েটেড যে কোন বয়সী বাংলাদেশী নাগরিক এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। যারা বাংলাদেশী কিন্তু পড়াশোনা করেছেন বিদেশে অর্থাৎ বিদেশী সার্টিফিকেটধারী তাদের অবশ্যই সার্টিফিকেট ইকুইভ্যালেন্স করাতে হবে সরাসরি আইবিএ এর ২০৮ নম্বর কক্ষে ১০০০ টাকার ব্যাংক চার্জের মাধ্যমে। কোন পরীক্ষায় কত মার্ক/ক্লাস/জিপিএ পেলে আপনি রিটেন এক্সামে বসতে পারবেন তার পুরো ডিটেইলস উপরে উল্লিখিত ওয়েবসাইটে পাবেন।

আইবিএ এর জন্য ভালো প্রিপারেশন নিলে অন্যান্য জায়গায় বিবিএ আর এমবিএ পরীক্ষা থেকে শুরু করে বিদেশী জিম্যাট,জিআরই,স্যাট,টোফেলের প্রিপারেশন ৮০% হয়ে যায়। এটা ১০০% গ্যারান্টি। পরীক্ষা দিবেন বেশী হইলে দুইবার বা তিনবার। এরপরেও না হইলে হতাশ হইয়েন না। আপনি চেষ্টা করলেই নিজের জীবনকে অনেক ভালো পজিশনে নিতে পারবেন।

তবে পরীক্ষা দিতে যেহেতু একবার বসেই যাচ্ছেন তাই মাত্র দুইঘন্টার এই পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নিজের সেরাটা দিয়ে দেবেন। আইবিএতে বারবার ভর্তি পরীক্ষা না দিয়ে ৫০-৬০ টা মডেলটেস্ট/মক টেস্ট দিয়ে একবার পরীক্ষা দিয়ে রিটেনে নাম নিয়ে আসা অনেক উত্তম। সাকিব আল হাসানকেও প্রচুর প্র্যাকটিস করে আর ফিটনেস ধরে রেখে জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে হয়। ফর্ম পরে গেলে তাকেও বাই বাই জানানো হবে। রিটেনে যেন টিকে যান সেই চেষ্টাটাই করেন আগে।

রিটেন এক্সাম: এমবিএতে প্রতি পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেন এবং রিটেন এক্সাম থেকে মাত্র ২৫০-৩২০ জন সিলেক্ট করে যেখানে তুমুল প্রতিযোগিতা হয়। এদের মধ্য হতে ইন্টারভ্যিউয়ের মাধ্যমে ১৩০-১৪০ জনকে ফাইনালী নির্বাচন করা হয় এবং এ্যাডমিশন অফার দেওয়া হয়। বছরে দুইবার ভর্তিপরীক্ষা হয়। বিবিএতে আসনসংখ্যা হয়ত আরও কম। পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখবেন প্রশ্নের বিষয়বস্তু চারটি ভাগে বিভক্ত।

ম্যাথ,ইংলিশ,অ্যানালিটিক্যাল এবং রাইটিং। প্রথম তিনটি পার্ট এমসিকিউ। শেষ পার্টটি নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে কিছু একটা লিখতে হবে। মোট সময় ২ ঘন্টা। তবে এমসিকিউ আনসারশিট প্রথম দেড় ঘন্টার ভেতরে শেষ করতে হবে যা সময় শেষ হতেই নিয়ে নেওয়া হবে।

তাই সেভাবে প্রস্তুতি নেবেন। সর্বমোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। নেগেটিভ মার্কিং আছে। আনসার চয়েস থাকবে ৫টা যেখান থেকে শুদ্ধ উত্তরটা আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য +১ নম্বর এবং ভূল উত্তরের জন্য -.২৫ নম্বর।

তবে কোনই উত্তর না দিলে কোন নম্বর যোগ বা বিয়োগ করা হবেনা। তাই না জানলে স্কিপ করে যাওয়াই ভালো। ম্যাথ ৩০,ইংলিশ ৩০,অ্যানালিটিক্যাল ১৫ এবং রাইটিং ২৫। তবে মাঝে মাঝে ৯৫(সর্বশেষ ৬ই জুলাই,২০১২ তে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় এমনটা হয়েছে),১০৫,১১০ নম্বরের পরীক্ষাও হয়। প্রশ্ন সাথে করে নিয়ে যেতে পারবেন না।

হলে ঢোকার পরে আপনাকে বুকলেট(যেখানে এমসিকিউর প্রশ্ন থাকবে এবং রাইটিং পার্ট আনসার করার জন্য জায়গা থাকবে এবং শেষের কিছু পৃষ্ঠা রাফ করার জন্য বরাদ্দ থাকবে)দেওয়া হবে। তবে অনুমতি ব্যাতীত বুকলেট খুলবেন না। এমসিকিউ আনসার শিটে অবশ্যই কোন সেট পেয়েছেন সেই ঘরটি পূরণ করবেন। যেহেতু সময় খুব কম তাই এই দুই ঘন্টার পরীক্ষার জন্য আপনাকে ঘড়ি ধরে প্র্যাকটিস করে নিজেকে ঝালাই করে নিতে হবে শুরু থেকেই। অনেকেই হীনমন্যতায় ভোগেন যে আমিতো অমুক ফিল্ডের,আমার চেয়ে বরং অমুক বুয়েটে পড়ে,তমুক জায়গায় পড়ে তাই তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে রিটেন এবং ইন্টারভ্যিউ দুইটাতেই-যারা এধরণের মনোভাব পোষণ করেন তাদের বলছি এটা সম্পূর্ণ বাজে একটি কথা।

তবে এটা সত্য যে ইংরেজীতে ভালোমানের একটা দখল থাকতেই হবে। কিন্তু তাই বলে ট্যাগওয়ালা পাব্লিকরাই যে চান্স পাবেন আইবিএতে আর বাকীরা হাওয়া খাবেন তা সম্পূর্ণ ভূল ধারণা। কারণ আইবিএতে চান্স পাওয়ার একমাত্র রিকোয়্যারমেন্ট হল রিটেন এবং ইন্টারভ্যিউতে ভালো করা। অনেকে বলেন তদ্বির দিয়ে ঢোকানো হয়-এটিও সম্পূর্ণ বাজে একটি কথা। প্রকৃতপক্ষে আপনি যদি একবার রিটেন এক্সাম দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন তবে আপনি ৫০ ভাগ নিশ্চিত আইবিএতে টিকে গেলেন।

বাকী ৫০ ভাগ পুরোটাই অন্য প্রতিযোগীদের তুলনায় ঐ পরীক্ষায় আপনার পারফরম্যান্স। এবার একটু আলাদা ভাবে সব পার্ট নিয়ে আলোচনা করা যাক: ১। রাইটিং পার্টে সাধারণত ESSAY লিখতে বলা হয়। এরজন্য ২৫ মার্ক(আমি টুট্যাল ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে এই ফরম্যাট দিয়ে এগোচ্ছি)বরাদ্দ থাকবে। বেশী করে প্র্যাকটিস করেন এই পার্টটা।

জনপ্রিয় ESSAY বই,ট্যাম্প্ল্যাটগুলা ফলো করেন। ভালো সূচনা,বুদ্ধিদীপ্ত,প্রতিষ্ঠিত সত্য,প্রাঞ্জল ভাষা ব্যবহার,সঠিকভাবে উদাহরণের প্রয়োগ ও অন্যান্য সম্পর্কযুক্ত উপাদান,পুরা লেখাতে এক অংশের সাথে আরেক অংশের ধারাবাহিক ও বেগমান সম্পর্ক,সঠিক ভোকাবুলারি,নির্ভূল গ্রামার,সুন্দর উপসংহার ইত্যাদি সমন্বয় করে প্র্যাকটিস করতে থাকেন-দেখবেন একসময় আপনি খুব ভালো আর্টিকেল রচয়িতা হয়ে গেছেন। বিভিন্ন নিউজপেপার,ইন্টারনেটে উইকিপিডিয়া,গুগল মামার হেল্পও নেন। মনে রাখবেন এই রাইটিং পার্টের জন্য আপনি পুরো ৩০ মিনিট টাইম পাবেন। তাই এই অংশে ২৫ এ কমপক্ষে ২০-২২ বা ২৩,২৪ তোলার জন্য জান দিয়া দেন।

আর যদি এই অংশ ২০ এ আসে তাইলে সেভাবে হিসাব করে টার্গেট করেন আর নিয়মিত প্র্যাকটিস করে নিজেকে পাকা করেন। টপিক যেকোন কিছুই হতে পারে। যেমন: Traffic Congestion,Money laundering,Bangladesh:A country of six seasons etc. etc.৬ই জুলাই,২০১২ তে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অবশ্য Write an article about your experience of a rainy day(সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠা জায়গা+১৫ নম্বর) এবং Write a short note on "A friend in need is a friend indeed"(সর্বোচ্চ ১ পৃ্ষ্ঠা+৫ নম্বর)-সর্বোমোট ২০ নম্বরের রাইটিং পার্ট এসেছে। অর্থ্যাৎ মোট ৯৫। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন,এমসিকিউ আনসারশিট যেহেতু প্রথম দেড় ঘন্টায় নিয়ে নেওয়া হয় তাই রাইটিং পার্ট প্রথমে টাচ না করাই ভালো।

এমসিকিউ এর জন্য প্রথম ৯০ মিনিট টুট্যাল ৭৫ মার্ক। আগেই বলেছি কোন বিষয়ে কত নম্বরের প্রশ্ন আসবে। পুরো প্রশ্নটাই ইংরেজী ভাষায় আসবে যেহেতু এখানে এ লেভেল/ও লেভেলের শিক্ষার্থী,বিদেশী নাগরিকরাও পরীক্ষা দেন। তবে প্রশ্নকর্তার মাথা খারাপ হলে রাইটিংয় পার্টে যদি বাংলা ভাষায় কিছু লিখতে দেন তাইলে ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীদের কিছুই করার নাই। এমনটা কয়েক সেশন আগে একটা পরীক্ষায় হয়েছিল।

যেহেতু ইনডিভিজ্যুয়্যালি সব অংশেই আপনাকে পাশ(পাশ নম্বরগুলো হল:৩০ এ ১২,২৫ এ ১০,১৫ এ ৬)করতে হবে তাই কোন পার্টে ৩০ এ ৩০ পাইলেন এবং আরেক পার্টে গিয়া ফেল করলেন তা হলে আপনার আনসার শিট এবং বুকলেট শুরুতেই বাতিল বলে গণ্য হবে। ২। ইংলিশ পার্ট এমন একটা পার্ট,যেহেতু এমসিকিউ তাই ওয়ার্ড,ভোকাবুলারিতে খুব ভালো দখল থাকলে আপনি নিশ্চিন্তে এক্সিল্যান্ট একটা ইংরেজী পরীক্ষা দিতে পারবেন। প্রস্তুতির জন্য প্রথম এবং প্রধান কথা নিজেই নিজেকে যাচাই করুন আপনার ইংরেজীর লেভেল কতটুকু। ইংরেজীতে কিভাবে উন্নতি করবেন তা নিয়ে শুরুতেই একটু আলোচনা করে নেওয়া যাক।

একজন মানুষের পক্ষে পুরো পৃথিবীকে জানার ক্ষমতা সীমাহীন। চিন্তাভাবনায় কখনও রেস্ট্রিকশন রাখবেন না। ব্রেইনকে খুলে দেন। যা জানবেন তা ইংরেজীতে সঠিকভাবে রূপান্তর করুন। কোন নতুন ইংরেজী শব্দ শেখার সাথে সাথেই তা দিয়ে সঠিকভাবে বাক্য গঠন,সেই শব্দের সিনোনিমস,অ্যান্টোনিমস ও তাদের ব্যবহার সমূহ রপ্ত করে নিন।

প্রতিটি জানা শব্দ দিয়ে অবশ্যই কমপক্ষে ৩টি বাক্যবানাবেন এবং অতিঅবশ্যই খাতায় লিখবেন। নাইলে ভূলে যাবেন। বেশী না,দিনে ২ ঘন্টা প্র্যাকটিস করলে ২ মাস যথেষ্ট সময় এসব আয়ত্বে আনার জন্য। কিভাবে নিজেকে যাচাই করবেন তার জন্য বেশী বেশী করে ইংরেজী জার্নাল,উপন্যাস ইত্যাদি ইত্যাদি বেগমান আর্টিক্যালওয়ালা মাধ্যমে গিয়ে পড়ুন এবং যাচাই করুন নিজের লেভেল। যত দ্রুত করতে পারবেন ততই ভালো।

বেশী বেশী করে বাকী দুনিয়াকে স্কিপ করে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে ইংরেজী সিনেমা,কমেডি সিরিয়াল,আপনার ইন্টারেস্টের যে কোন টপিকওয়ালা ইংরেজী মুভি/সিরিয়াল দেখতে থাকেন। তবে ঐ আর্টিক্যাল পড়ার বিষয়টাও যথেষ্ঠ। আর আরেকটা কথা। গত কয়েকবছরের আইবিএর প্রশ্ন কালেক্ট করে নেন এবং সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ মিনিটের মধ্যে ইংরেজী পার্ট প্রায় পুরোটাই আনসার করার চেষ্টা করেন। সেই সাথে সম্ভব হলে অফিসিয়াল জিআরই/বিগবুক,অফিসিয়াল জিম্যাট,ব্যারনস জিআরই/জিম্যাট,সাইফুর'স এমবিএ,স্যাট,টোফেলের প্রশ্নগুলোও প্রচুর প্র্যাকটিস করে নেন আইবিএ এর প্রশ্নগুলো এসব অনুসরণ করেই করা হয়।

ইংরেজীতে উন্নতির জন্য মো: খায়রুল ইসলামের(MD. KHAIRUL ISLAM)A Wonder Book On English Learning বইটিও সংগ্রহ করতে পারেন। বইটিতে শুরুতেই ইংরেজী ব্যাকরণের সবধরণের রূলের ব্যবহারেই তৈরী বাক্য দেওয়া রয়েছে। যারা ঢাকা শহরে থাকেন তারা নীলক্ষেতে গেলেই এসব বই পেয়ে যাবেন। চট্টগ্রাম শহরে স্টেশন রোডের পূরান বইয়ের দোকানগুলোতেও আছে অথবা সরাসরি আন্দরকিল্লাতেও চলে যেতে পারেন। চট্টগ্রাম শহরে মাশুক মেহরাব স্যার এর কোচিং আইবিএ এর এ্যাডমিশানের প্রস্তুতির জন্য বেস্ট।

এবার দেখা যাক ইংলিশে কি কি ধরণের প্রশ্ন আসবে। এখানে সাধারণত সিনোনিমস(সমার্থক শব্দ),এন্টোনিমস(বিপরীত শব্দ),এ্যানালজি এই টাইপের প্রশ্ন থাকে। এ্যানালজিতে প্রশ্নে থাকবে দুইটি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত শব্দ। আপনাকে একই সম্পর্কের আরও দুইটি শব্দ আনসারচয়েস থেকে খূজে বের করতে হবে। এন্টোনিমসে প্রশ্নে দেওয়া শব্দের ঠিক বিপরীত অর্থওয়ালা সঠিক শব্দটি খূজে নিতে হবে।

সিনোনিমসে হয়ত এমন থাকবে যে একটি বাক্য দেওয়া হল আর সেখানে একটি শব্দ আন্ডারলাইনড,সেই শব্দের সমর্থক কোন শব্দটি প্রশ্নের বাক্যকে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারে। অথবা অন্য যেকোনভাবে গ্রামাটিক্যাল ব্যবহারও দেওয়া হতে পারে। তবে কোন কোন বছর এই তিন পার্ট থেকে প্রশ্ন আসেনা। তবে অবশ্যই এই তিনটা পার্ট প্রচুর প্র্যাকটিস করবেন যা অন্যান্য পার্টগুলোতে ভালো করার জন্য কাজে লাগবে। একটি পার্ট হল রিডিং কম্প্রিহ্যানসন।

একটা বা দুইটা প্যাসেজ দেওয়া থাকবে আর সেখান থেকে দুইটা-তিনটা প্রশ্ন থাকবে। এই পার্টটা একটু জটিল তবে ব্যাপারনা। জাস্ট প্র্যাকটিস রেগুলারলি যেন সঠিক উত্তর বের করার উপায় আপনার আয়ত্বে চলে আসবে। স্কুল-কলেজ লেভেলে যে কম্প্রিহেনশনগুলো করেছেন সেগুলোর মতই। সাইফুর'স এমবিএ,জিআরই বিগবুক,অফিসিয়্যাল জিম্যাট বইয়ের সমস্যাগুলা অতিঅবশ্যই সলভ করবেন।

আরেকটা ব্যাপার হল শূণ্যস্হান পূরণ। প্রশ্নের বাক্যে যে গ্যাপ থাকবে সেই গ্যাপের উপযুক্ত শব্দ যেটা বাক্যকে সঠিক অর্থবহভাবে প্রকাশ করবে। এখানে সবচেয়ে ঝামেলার হল আনসার চয়েসে যদি একাধিক সিনোনিমস টাইপের শব্দ থাকে। যেমন sufficient,adequate,enough অর্থ এক হলেও ব্যবহার ভিন্ন হতে পারে। তাই প্রচুর প্র্যাকটিস জরুরী।

জিআরই বিগবুক,সাইফূর'স গ্রামারে এধরণের বেশ কিছু অনুশীলনী আছে। এ্যাফেকটিভ এক্সপ্রেশন নামে এক টাইপের প্রশ্ন আসে। একটা পুরা বাক্য দেওয়া থাকবে আর একসাথে পরপর কয়েকটা শব্দের নিচে লম্বা একটা আন্ডারলাইন থাকবে। আপনার কাজ হল গ্রামাটিক্যাল ভূল বের করা। বেশী বেশী করে ট্যান্স,নাম্বারিং,জেন্ডার প্র্যাকটিস করেন।

ভালো হয় বিগতবছরগুলোতে আইবিএতে আসা এ্যাফেকটিভ এক্সপ্রেশনের সমস্যাগুলোর সবগুলোই প্র্যাকটিস করা। একটা সহজ পার্ট আছে যদিও প্রত্যেকবার এটা আসেনা। এটি হল এরর ফাইন্ডিং। একটা লম্বা লাইন থাকবে যেখানে চারটা শব্দের নিচে আন্ডারলাইন থাকবে। যে কোন একটি শব্দ গ্রামাটিক্যালি ভূল থাকবে।

সেটি বের করাই আপনার কাজ(A,B,C,D)। তখন চারটি অপশনের যে কোন একটি হবে উত্তর। ভূল না থাকলে নো এরর অপশন থাকবে শেষে E অপশনে। তখন উত্তর হবে E. ছোটবেলায় যে ট্যান্স,নামবার,জেন্ডার পড়তেন সেগুলো সময় নিয়ে একটু নাড়াচারা করলেই এই পার্টে আপনার একটা দৃঢ় অবস্হান তৈরী হয়ে যাবে। সাইফুর'স এর গ্রামার বইটাতে এধরনের অনেক অনুশীলনী রয়েছে।

প্র্যাকটিসের জন্য সেগুলিই যথেষ্ঠ। ৩। এমসিকিউ প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশটি হল ম্যাথ। অনেকে মনে করেন সাইয়েন্সের ছেলেরা ম্যাথে ভালো তাই সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড,ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্টুডেন্টরাই রিটেন পরীক্ষা সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করে ব্যবসা আর মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের চেয়ে। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা।

কারণ আইবিএতে ম্যাথ পার্ট আসে শুধুমাত্র আপনি স্কুল লেভেলে যে ম্যাথগুলো করেছেন বীজগণিতে এবং পাটিগণিতে মানে শতকরা,ভগ্নাংশ,অনুপাত,লাভক্ষতি,ঐকিক নিয়ম এবং জ্যামিতি থেকে। ক্যালকুলাসের ছিটেফোটাও থাকবেনা কখনও। উচ্চতর গণিতেরও দেখা পাবেন না। সো ডোন্ট ওয়ারী। আপনি চাইলেই যে কোন সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের স্টুডেন্টকে টক্কর দিতে পারবেন।

মনে রাখবেন,৩০ নম্বরের ম্যাথ অংশে সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৭-৮ আসে জ্যামিতি পার্ট থেকে। জ্যামিতির পার্টগুলো জটিল হয়না এবং ভালো প্র্যাকটিস থাকলে ক্যালকুলেশনের ঝামেলা ছাড়াই চোখে চোখে ক্যালকুলেশন করেই আপনি সঠিক উত্তরটি বের করে নিতে পারবেন। তাই জ্যামিতিতে নিজেকে ঝাঁকি ফেলেন এবং ৭ এ ৭ বা ৮ এ ৮ বা যত নম্বরের আসে সবগুলাই শুদ্ধ করার মত করে নিজেকে তৈরী করেন এখন থেকেই। জ্যামিতিতে প্রশ্নগুলো আসে কোণ নির্ণয়,ত্রিভূজ,চতুর্ভূজ,বৃত্ত থেকে। বেসিক প্রশ্নই আসবে।

ম্যাথ পার্টটিও ইংলিশ পার্টের মতই ৩০-৩৫ মিনিটের ভেতরে শেষ করার চেষ্টা করবেন। তবে আন্তাজে উত্তর দেওয়ার চেয়ে না দেওয়াই ভালো। ইংলিশে যেমন চোখে দেখে নেওয়া সিদ্ধান্তেই উত্তর বের করে ফেলছেন তেমনি ম্যাথেও আপনাকে করতে হবে। যেমন ৩০০ এর অর্ধেক ১৫০,৭০০ এর অর্ধেক ৩৫০ এগুলা তো জানারই কথা। তেমনি ৪৪০ এর অর্ধেক ২২০,১১০ এর ৩ গুণ ৩৩০ এগুলাও কারও কাছে কঠিন হওয়ার কথা না।

আবার ২৫% মানেই ২৫/১০০ মানে .২৫ মানে ১/৪ এটাও কমন সেন্সের ব্যাপার। তাছাড়া কত সেকেন্ডে ১ ঘন্টা এবং ১ দিন,কত ইঞ্চিতে এবং কত ফুটে ১ মাইল ও এই টাইপের বিভিন্ন বেসিক কনভারশনগুলা মনে মনে দ্রুততর ক্যালকুলেশনের যোগ্যতা অর্জন করেন অথবা আরও ভালো হয় স্মৃতিতে গেঁথে রাখতে পারলে। যদি কঠিন হয় তাইলে আজকে থেকেই এগুলাতে দক্ষতা অর্জন করেন। এগুলার পিছনে পরীক্ষাতে টাইমলস করলেন তো মরসেন। সামনে আরো জটিল বিষয়ে সময় ব্যয় করতে হবে।

আরে ভাই,যারা নিয়মিত ক্রিকেট খেলেন আর খেলা দেখেন তাদের তো ৬ এর নামতায় সমস্যা হওয়ার কথানা। মানে আমি বলতেসি ৩৪ ওভার ২০৪ বলে,৪৮ ওভার ২৮৮ বলে হয়-তাদের জন্য তো এগুলা মুখে মুখে বলা হিসাব। তাই বলে আমি আপনাকে আবার নামতা মুখস্ত করতে বলছিনা। যেহেতু পরীক্ষার হলে ক্যালকুলেটর,মোবাইল পেলেই পরীক্ষার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয় এবং উত্তরপত্র বাতিল করা হয় তাই আপনাকে অবশ্যই যেকোন যোগ,বিয়োগ,গুণ ইত্যাদি মনে মনে ক্যালকুলেশন করে বের করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এটা মাস্ট রিকোয়্যারমেন্ট।

এটা না পারলে পরীক্ষা দেওয়ার দরকার নাই। একমাত্র ভাগ করার ক্ষেত্রেই আপনি বুকলেটে রাফ করতে পারেন(বারবার খাতা উল্টাইয়া রাফ অংশে রাফ করার চেয়ে প্রশ্ন যেখানে সেখানে রাফ করবেন। এতে টাইম লস হবেনা। এতে কোন সমস্যাও হবেনা)। বেশী তো লাগবেনা।

খুব বেশী হইলে ৮-১০ সেকেন্ড। জটিল প্রশ্ন যেমন থাকবে তেমনি থাকবে ঘোরানো প্যাঁচানো অথচ সোজা প্রশ্ন। সাধারণত নাম্বারিং থেকে আসা প্রশ্নগুলো সহজ হয় যা বীজগণিতের অংশ। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন ম্যাথের ক্ষেত্রে,তা হল যে প্রশ্নটি ৫-১০ সেকেন্ডেই সলভ করা যায় সেটিকে ১ মিনিটে নিয়ে যাওয়ার তো কোন মানে হয়না। কেননা সামনে হয়ত আপনার জন্য এমন প্রশ্ন অপেক্ষা করছে যা সলভ করতে ৫ মিনিট লাগবে।

গত আইবিএতে আসা একটা সমস্যা দিই। একজন লোক তার মাসিক আয়ের ২০% ঘর ভাড়ায়,৩০% খানা খরচে,২৫% অন্যান্য খরচে বিনিয়োগ করে। তার মাসিক সেইভ হয় ৩৫০০ টাকা। তাহলে ঐ যে ৩০% একটা খাতে খরচ করলেন সেটার পরিমাণ কত? উপরের সমস্যাটার উত্তর ৪২০০ টাকা। এইটা আপনার জন্য খুবই সহজ একটা সমস্যা।

সলভ করে এমসিকিউর গোল্লা ভরতে সর্বোচ্চ ২০ সেকেন্ড লাগবে। কিন্তু যদি দেখেন তারচেয়ে বেশী লাগতেসে তাইলে বুঝে নেন আপনার নলেজ থাকলেও আইবিএ এর পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ডের লেভেলে পৌঁছাইতে পারেন নাই। তাই লেভেল বাড়ান। তাড়াহুড়া করে কখনই ভূল উত্তর দেবেন না। তাইলে কিছুই করার থাকবেনা।

যদি ব্ল্যাক বল পয়েন্টের কলমের সাথে বিকল্প হিসেবে টু-বি পেন্সিল দিয়ে এমসিকিউ আন্সার করার পারমিশন থাকে তো ভালোই(এসব নির্দেশনা আপনার এ্যাডমিট কার্ডে থাকবে)। পেন্সিলের সুবিধা হল ভূল আন্সার দিলে মুছামুছি করে আবার সঠিক উত্তরটা দেওয়া যায় তবে অপ্রয়োজনীয় টাইম যাবে। তাই এমনভাবেই প্র্যাকটিস করুন। আর টেস্ট দিয়ে দিয়ে নিজেকে পূর্বের অবস্হান থেকে বেশী করে ঝালাই করতে থাকেন। এতে নিজেই নিজের দূর্বলতা,অজানা,কোন অংশে দেরী হচ্ছে,সমস্যা হচ্ছে এইসব চিহ্নিত করতে পারবেন।

মনে রাখবেন,প্রিপারেশনটাই আসল। তাইলে পরীক্ষার হলে ব্রেইন আর হাত অটোম্যাটিক কাজ করবে। ৪। এবার আসা যাক এমসিকিউ এর বাকী পার্টটি মানে এ্যানালিটিক্যাল এবিলিটি। এখানে ২ টাইপের প্রশ্ন আসে।

পাজল সলভিং/এ্যানালিটিক্যাল রিজনিং এবং লজিক্যাল রিজনিং/ক্রিটিক্যাল রিজনিং। পুরা আইবিএ এর রিটেন এক্সামে নম্বর তোলার খনি বলা যায় এ পার্টকে। মোট ১৫ নম্বরের আসে। ১৫ তে ১৫ তুলার টার্গেট করবেন। তাইলে রিটেনে আপনার নাম আসা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

পাজল সলভিং/এ্যানালিটিক্যাল রিজনিং:প্রথমেই একটা স্যাম্পল দেখাই তারপরে মূল আলোচনায় যাব। উপরে দেওয়া ছবির মত করে একটি সমস্যা দেওয়া থাকবে। অথবা এমনও থাকবে যে ক খ গ ঘ ঙ চ এই ৬ জনের জন্য ৬টা চেয়ার। অমুক অমুকের পাশে বসবে তো একই টাইমে অমুক অমুকের পাশে বসতে পারবেনা। আবার তিনজন বা চারজন একসাথে বসবে তো বাকীরা অন্য কিছু করবে।

তাইলে অমুকের পাশে ঐ টাইমে কে বসবে,কে অন্য কিছু করবে এই টাইপের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রশ্ন থাকবে। মজার তবে টাইম কম। তাই বেশী প্র্যাকটিস করেন। এখানে ৫-৭,৮,৯ নম্বর বা ১০ নম্বর পর্যন্ত প্রশ্ন আসে। এপর্যন্ত ২৭ বার জিআরই হইসে,সেখানে দেওয়া পাজল সলভিং/এ্যানালিটিক্যাল রিজনিংগুলা প্র্যাকটিস করেন।

প্রশ্ন ঐখান থেকেই দেবে। ক্রিটিক্যাল রিজনিং/লজিক্যাল রিজনিং:এ্যানালিটিকালের আরেকটা অংশ হল ক্রিটিক্যাল রিজনিং/লজিক্যাল রিজনিং। এটাও কিছুটা রিডিং কম্প্রিহ্যানশনের মত। একটা প্যাসেজ দেবে। সেখান থেকে প্রশ্ন থাকবে যে নিচের কোন উত্তরটি উপরোক্ত প্যাসেজকে উইকেন বা স্ট্রংথ্যান বা সামারাইজ বা কনক্লুশন দেয়।

বা এমনও থাকবে যে নিচের কোন উত্তরটি উপোরক্ত প্যাসেজের কন্টিনিউয়িং পার্ট হওয়ার যোগ্য। পাজল সলভিং/এ্যানালিটিক্যাল রিজনিংয়ে যে নম্বর বরাদ্দ থাকবে তার পরে যত বাকী থাকবে মানে ৬-১০ মার্ক বরাদ্দ থাকবে এই পার্টে। বেশী বেশী প্র্যাকটিস করেন এখানেও সম্পূর্ণ মার্ক তোলার জন্য। ভালো রিডিং এ্যাবিলিটি থাকলে এবং ভোকাবুলারি ভালো হলে অবশ্যই এই পার্টে সব উত্তর শুদ্ধ করে দিতে পারবেন। তারপরেও চিন্তার কারণ নাই।

জিম্যাট থেকে এখানকার প্রশ্ন আসে। তাই অতিঅবশ্যই জিমেটে আসা লজিক্যাল রিজনিং/ক্রিটিক্যাল রিজনিংগুলা সলভ করবেন। কমন পাবেন অবশ্যই। মনে রাখবেন সর্বমোট ৯০ মিনিটের এমসিকিউতে যদি ম্যাথ আর ইংলিশ মিলে যদি সর্বোচ্চ ৭০ মিনিট খরচ হয় তাহলে শেষ ২০ মিনিট আপনি প্রশ্নের তৃতীয় অংশ মানে অ্যানালিটিক্যাল পার্টটির জন্য পাচ্ছেন। অথবা আরও দ্রুতভাবে প্রথম দুইটি ১ ঘন্টায় কম্প্লিট করতে পারলে অ্যানালিটিক্যালের জন্য ৩০ মিনিট পাচ্ছেন।

অথবা আপনার সুবিধামত নিজের মত করে টার্গেট করে প্র্যাকটিস করতে থাকেন। সাফল্য ধরা দেবেই। ইন্টারভ্যিউ: ইন্টারভ্যিউ ইন্টারভ্যিউই!!!ইন্টারভ্যিউতে স্ট্রেইটফরোয়ার্ড প্রশ্নই করবে। না জানলে সহজ ভাষায় বলে দেবেন জানিনা। হয়ত আপনি যে লাইনে গ্র্যাজুয়েটেড সেই লাইনের প্রশ্ন করা হবে।

তাই নো টেনশন। আবার উপস্হিত বুদ্ধিমত্তা,চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এসবও নিরীক্ষণ করা হতে পারে। প্রতিরক্ষাবাহিনীর অফিসার পদে চূড়ান্ত ভাইভাতে যে টাইপের প্রশ্ন করা হয় সেই টাইপের মজার মজার প্রশ্নও করা হতে পারে। তাই ঘাবড়ে যাবেন না এবং নিজে যা না তা সাজতে যাবেন না। যেকোন প্রশ্নই করা হতে পারে।

এমনই একটা ইন্টারভ্যিউয়ের কথা বলি। এক পরিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে তিনি জনকোলাহলপূর্ণ রাস্তার সামনে অবস্হিত তার বাড়িতে বাইরে থেকে এসে ঢুকছেন। এমন সময় দেখলেন গেইটের বাইরে রাস্তায় তার বোন সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তখন তিনি কি করবেন? সেই পরিক্ষার্থীর তাৎক্ষণিক উত্তর ছিল তিনি বোনকে কোলে তুলে ঘরে নিয়ে যাবেন এবং মায়ের কোলে তুলে দেবেন। কারণ তার বোনটি একটি ছোট অবুঝ শিশু।

উত্তরটি ইন্টারভ্যিউ বোর্ডকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছিল। ইন্টারভ্যিউতে রিলেক্সড,ইজি,স্মার্ট হয়ে যাবেন। মনে রাখবেন এখানে লবিং সামান্য পরিমাণও কাজ করেনা। তাই অমুক মন্ত্রীর সন্তান পরীক্ষা দিচ্ছে বা আইবিএর ডাইরেক্টরের ভাতিজা/ভাতিজী পরীক্ষা দিচ্ছে তা দেখে আলাদা চিন্তা করার কোন কারণ নাই কারণ সেও সেখানে আপনার মতই। অনেক হল পড়ালেখা আর প্রস্তুতির কথা।

এবার চলেন সংস্হাটি নিয়ে কিছু আলোচনা করি। ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সরকারের আমলে সংস্হাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেক বছর ধরে এমবিএ প্রোগ্রাম চলে আসলেও ১৯৯৩ সাল থেকে বিবিএ প্রোগ্রাম চালু করা হয়। দুই টাইপের এমবিএ আছে। আরএমবিএ(রেগুলার) এবং ইএমবিএ(ইভিনিং)।

ইএমবিএ আরেকটা আছে যা চাকরিওয়ালাদের জন্য। এটা এক্সেকিউটিভ এমবিএ। বর্তমান ডাইরেক্টর প্রফেসর জি.এম.চৌধূরী ইএমবিএ ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণত ম্যাথপার্ট থাকেনা তবে দিয়েও দেয় কোন কোন সময়। এখানে সম্ভবত রাইটিং পার্টে আরএমবিএ এর তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশী মার্কের প্রশ্ন আসে। সকল পরিক্ষার্থীর জন্য শুভকামনা।

নেক্সট এক্সাম হয়ত নেক্সট ডিসেম্বরে হবে। উপরে দেওয়া ওয়েবসাইটে সার্বক্ষণিক নজর রাখবেন। আর কিছু জানার থাকলে কমেন্টে প্রশ্ন করবেন। আমি সাধ্যমত উত্তর দেব।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৪৬ বার     বুকমার্ক হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।