আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কতটা উলঙ্গ হলে নাংটা বলে?

ঘুমিয়ে থাকা বিবেকের জাগ্রত সত্ত্বা এরা কি মানুষ? এদের গায়ে কি কোন কাপড় নেই? বেশ-ভুষা পোশাক পড়েও উলঙ্গ অবস্থায় নৃত্য দেখাতে কি এদের লজ্জাবোধ করে না? আবার তারাই কিনা শিক্ষা দিচ্ছেন আমাদের এই কুপমন্ডুকতাকে। বড়ই তাজ্জ্বিব ব্যাপার। এতোগুলো মানুষের সামনে নিজেকে উলঙ্গ করে চেখে দেখার কি হলো। টেনে হিছড়ে না বের করে দিয়ে একবারেই বের করে দিলেই তো হয়। যারা অতিত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে ভুলে যায় তাদেরকে এইভাবে গদাম দেয়া উচিত।

এরা সমাজের কলঙ্গ। পশুত্ব বাস করে এদের ভিতরে -বাহিরে। দেড়মাস আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পতন নিয়ে যা খেলা হয়েছিল তা কেউ ভুলে নাই। ক্ষমতার মসনদে পাগলপ্রায় অধ্যাপক এনামুল যেভাবে নিজে নাংটা করেছিলেন পরে অবশ্য কিছু লজ্জাও পেয়েছিলেন যে এটা আমার করা ঠিক হয়নি। তিনিও নিজেকে অনেক বাহাদুর ভাবতেন।

কাউকে তোয়াক্কা করতেন না। সবাকে লেজুর দিয়ে আঘাত করলে যে ফলাফলটা ভাল হয় না তা তিনি পেয়েছেন বেশ জোরেসোরে। ঠিক সেই পথে হাটছে আর একজন হিপোক্রাট বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের উপাচার্য এস এম নাজমুল। সেই সময় পার পেয়ে যাওয়া এই কালোধন আবার আলোচনায় এসেছেন গত মঙ্গলবার হঠাৎ করে একমাস আগে ঈদের ছুটিতে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে বন্ধ করে। নিজের পরাজয় বুঝতে পেরেও কেন তারা েএতো নিচে নামে তা আমার বোধগম্য নয়।

যেখানে সব-শিক্ষক-শিক্ষার্থী একসাথে আন্দোলন করছে সেখানে তিনি কিভাবে টিকবেন। ? দূর্নীতি কিংবা অসৎ প্রমাণ উঠলে আমার মনে হয় সেই শিক্ষককের তার স্ব-পদে থাকা মোটেই শোভনীয় নয়। আমি জানি না ক্ষমতার সাময়িক স্বাদ কেন তারা ভুলতে পারেন না্। তবে এইসব লেজু খেকো শিক্ষকদের কারনে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা কলুষিত হচ্ছে তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। ধিক্কার এইসব শিক্ষকদের।

যারা উলঙ্গতাকে পছন্দ করে অন্যদের নাচ দেখাতে পটুতা দেখতে ভালোবাসেন। তাই সেইসব শিক্ষকদের বলছি আপনারা যখন শীর্ষ ক্ষমতায় আধিষ্ঠিত হন তখন ভূলেই যান আপনার শিকড় কোথায় ছিল আর আপনি কোথায় যাচ্ছেন। নিজেদের নৈতিকতা এতোই নীচে নামছে যেখানে আপনাদের হিতাহীত জ্ঞান বিকিয়ে দিয়ে কাণ্ডজ্ঞান হীন পথকে ভালবাসতেছেন?? আর কতো উলঙ্গ হলে আপনাকে নাংটা বলা যাবে? প্লিজ আর কলুষিত করেন না এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। আপনার অনুকরনপ্রিয় পথে কেউ যেন না যায় সেই কামণা সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্যদের। নিজের ব্যক্তিত্ব হারিয়ে ক্ষমতায় থাকা আর ঘরহীন আশ্রিতার আকাশভ্রমণ একই কথা।

আমরা সেই শিক্ষকদের চাই যারা নিজের অর্জিত জ্ঞানকে ,বিবেককে আত্ব বিসর্জন দেয় না। যারা শিক্ষাকে কেবল জ্ঞান অর্জনিই ভাবে না তার প্রমাণ কাজে দেখান। গবেষণায় এগিয়ে নেন প্রিয় শিক্ষার্থীদের। শুভ বুদ্ধির উন্মেষ ঘটুক প্রতিটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে.......... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৬৯ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.