আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

OMG. গ্রামীণফোন কি বলে এসব ????

মনে ভেতর দ্বিধা, পা বাড়াতে বাঁধা, শেকল পড়া পায়, কদিন বাঁচা যায় । বেঁচে থাকা যে দায়। দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুল, মনের আগল খোল, রক্ত আবির অঙ্গে মেখে " সূর্যস্নানে চল " বিক্ষোভের মুখে চাকরিচ্যুত কর্মীদের দাবি পূরণের আশ্বাস থেকে সরে এসেছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপোরেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন। শ্রমআইনের চেয়ে ব্যবসায় স্বার্থে মানবসম্পদ পুণর্গঠনের বিষয়ে অনড় রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নবগঠিত এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাথে রোববারের বৈঠকে প্রস্তাবিত ছয় দফা দাবির বিষয়ে সোমবার রাতে দাপ্তরিক ক্ষুদে বার্তার নিজেদের এমন অবস্থান সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে রাখা হয়েছে অন্ধকারে। সোমবার দুপুরে তড়িঘড়ি করে পছন্দের সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে নিজেদের দায় সেরেছেন গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা কাজী মনিরুল কবির। সম্মেলনে চলতি বছরে ৪১ জন নারীসহ ২১৭ জন চাকরিচ্যুত করার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। জানা গেছে, চাকরিচ্যুতদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৭১ জন চলে গেছেন। এদের মধ্যে অন্তঃসত্বাসহ ১৪ জন নারী রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা অবস্থায় ডেকে এনে যে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে তা মানবিক কিনা জানতে চাইলে মনিরুল কবির জানিয়েছেন, “এটা (ছাঁটাই) প্রক্রিয়ার অংশ। আমাদের (গ্রামীণফোন) সময় মতো ডাকা হয়নি। তাদের সুবিধা মতোই ডাকা হয়েছে। ” চাকরিচ্যুত অনেককেই আগামী নোটিশ না দেয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেছেন, “আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় ছিল না। তাই অনেককে নোটিশ দিতে পারিনি।

তবে এজন্য তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। ” সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স মাহমুদ হোসেন জানিয়েছে, “যতজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি নতুন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এটি কোম্পানির পুনগর্ঠন প্রক্রিয়ার একটি অংশ। ” এদিকে বর্তমানে যারা এই কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছেন তাদের মুঠোফোন কল ট্রাকিং করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সাংবাদিকদের ফোন রিসিভের বিষয়েও চলছে ‘যেমন খুশি তেমন চলি’ আচরণ।

সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় যে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা সে সম্পর্কে জানতে বারবার ফোন করা হলেও তাতে সাড়া দেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সম্প্রতি বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে চাকরিচ্যুত করা ৪৮ কর্মচারীর প্রবেশ কার্ড হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেয়ার পর রোববার দাবির মুখে তা খুলে দেয়া হলেও আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত তা বলবৎ রাখা হয়েছে। তবে ছুটিতে পাঠানোয় তারা অফিস করতে পারছেন না বলে জানা গেছে। তবে রোববার নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করলেও সোমবার চাকরিচ্যুতদের পাঠানো ই-মেইলে ধারাবাহিক চাকুরিচ্যুতির বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী টরে জনসন। টরে জনসনের চিঠিটি পড়তে এখানে ক্লিক করুণ।

সূত্র ঃ 24/7 Bangladesh Mobile News ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।