আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

X মাইয়া হইয়াই মাইয়া চিনতে পারি নাই, পোলাগো দোষ দিয়া লাভ কীX

এ সবই থাক তোমাদের, আমি বড় চাই না হতে, ধুলো মাখা পথই আমার, তুমি চোড়ো জয়োরথে। শত লাঞ্ছণা দিও, কোরো আমায় অসম্মান। তবু আমি বোকাই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশান। রাজশাহীতে প্রথম পা রাখার পর কিছুটা মন খারাপই হয়ে গেল। সাথের কেউই রাজশাহীতে ভর্তি হয় নি, আর যারা হয়েছে তাদের সাথে খুব একটা চলতাম না।

মাস খানেক পর এক হিন্দু মেয়ের সাথে খুব বন্ধুত্ব হল। আমি রাত জাগতাম,সেও জাগত। তাই মিল একটু বেশিই ছিল। মেয়েটা অনেক বেশিই কথা বলত। প্রথম প্রথম আমি ভদ্রতা দেখিয়ে হাসি মুখে তার সব কথা শুনতাম ঢুলু ধুলু চোখে রাত ৩-৪টা পর্যন্ত।

তার গল্পের একটাই টপিক......''তার গুণধর বয়ফ্রেন্ড''। তার বয়ফ্রন্ড মহা পরিচিত এক মুখ রাজশাহীতে, রাবিতে পড়ে, ইংরেজি বিভাগে। আর মেয়ে রাজশাহী কলেজে মেনেজমেন্টে। সারা রাজশাহীর মেয়ে নাকি তার জন্য পাগল( আমি ছবি দেখছিলাম প্রথমে, কিছুটা কোঁকড়া চুলের নিগ্রো তবে রং ফর্সা)। সে এ পর্যন্ত হিসেব ছাড়া রিলেশন করেছে।

মানে ৬-৭ টা নাকি ছাড়িয়ে গেছে। সেই মেয়ের গল্পের টপিক ছিল তার বয়ফ্রেন্ডের এক এক জন প্রিভিয়াছ রাজকুমারীর গল্প আমার সাথে শেয়ার করা। মাঝে মাঝে অনেক গুলো গল্প ৩-৪ বার রিপিট হয়ে যেত, আমি তখন সহ্য না করে বলেই ফেলতাম, দোস্ত এটা বলছিস আরও অনেকবার। আর কত ???? ১ বছর চরম যন্ত্রণা সহ্য করেও ওকে কিছু বলি নি। রাত ২-৩টায় প্রায়ই আমার রুমে মোবাইলএর কার্ড নিতে আসতো, না থাকলে ব্যালেন্স ট্রান্সফার, সপ্তাহে ২-৩ বার আসতোই।

কখনও বিরক্ত হলেও বুঝতে দিতাম না। আর রুমের খাবার দাবার আল্লাহর রহমতে সব খেয়ে একাই সাবার করত, কখনও আমার কথা ভাবতো না। মেয়েটা বেশি মোটা না, ৮০-৯০ কেজি হবে। এমনও দিন গেছে যে সে আমার রুমের ২টা ডিম খেত, তার পর আমাকে অন্যান্য রুমে পাঠাতো রাত ১টার পর আরও ডিম আনতে। আমি যে ডিম টাকা দিয়ে কিনি সেটা হয়তো সে জানতো না।

পরীক্ষার সময়ও আমি ছাড় পেতাম না, একদম পড়তে দিত না। অনেক কষ্ট লাগত আমার, আর এই রাগগুলো কাছের মানুষের উপর ঝাড়তামমার ল্যাপটপে অবাধে নেট ইউজ করত কারণ ওর ধারণা জিপি আমাকে ফ্রি নেট চালাতে দেয়। আমার অবাক লাগে, ও খালি বলেই যেতো কখনও আমার কথা জানার ইচ্ছাই দেখাতো না। আমি সব সময়ই বাইরে একা একা খেতে বের হই বিকেলে। মাঝে মাঝে ওকে নিয়ে যেতাম, একসাথে ঘুরতাম আর ওকে খাওয়াতাম।

নিজের ছায়াসঙ্গী ভাবতাম। মাঝে মাঝে ও আমাকে বাইরে যেতে খুব জোর করতো। আমাকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছামতো খাওয়াত আর নিজেও খুব খেত। পরে বলত, আমি টাকা দিতে পারব না , তুই দে। তখন হয়তবা মাসের শেষ, আমার হাতে বেশি টাকা থাকতো না।

কি আর করা। আমার ফেসবুকের অনেক ফ্রেন্ডকেই সে অ্যাড করেছে, সবাইকে রিকোয়েস্ট দিয়ে বেড়ায়। এত কিছুর পরও আমি ওকে অনেক অনেক আপন ভাবতাম। কয়েক মাস আগে সে হোস্টেল পরিবর্তন করে। তার পর দু একবার আমার রুমে আসত টাকা ধার নিতে।

এসব লেনদেন নিয়ে এক সময় ওর সাথে আমার তেমন কথা হত না, আমাকে ও আনফ্রন্ড করে দিল। আজ নাকি ও আবার আমাদের হোস্টেলে আসছিল। ৫-৬ জনের সামনে আমার অনেক গুনকিত্তন করেছে শুনলাম...'' শাকিলা মেয়েটা অনেক শুবিধাবাজ, চরিত্রও ভাল না, মন মানসিকতা অনেক খারাপ, আরও অনেক অনেক কিছু। '' একটু আগে সব শুনলাম সবার মুখে। রাগ হওয়ার চেয়ে কান্নাই পেল বেশি।

ফ্রেন্ড হিসেবে আর কতটুকু করলে আমি তোর কাছে আমার একটু ভাল কথা শুনতাম? খুব জানতে ইচ্ছে হয়। আমিই ভুল, পাপশ যতো দামিই হোক না কেন তা মাথায় তুলতে হয় না। আর স্বার্থপর মানুষ যতো কাছেই আসুক না কেন তাকে কখনও ফ্রেন্ড ভাবতে হয় না। আজ অনেক খারাপ লাগছিল, তাই কথাগুলো লিখে মনকে হালকা করলাম। আমার চরিত্র সত্যিই অনেক খারাপ রে কারণ আমি তোর কোন কথা কাউকেই বলি নি, আমি বলি নি আমি তোর বয়ফ্রেন্ডকে ৭ দিন আগেও আরেকটা মেয়ের সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখেছি।

আমার মন মানসিকতা সত্যিই অনেক অনেক ছোট রে কারণ আমি আজও তোকে খারাপ দেখতে চাই না। ভাল থাকিস। ভয় নেই ব্লগে তোকে কেউ চিনবে না। আমি যা লিখেছি সব আমার মনকে একটু প্রশান্তি দেবার জন্য, তোকে বিন্দু পরিমাণ ছোট করতে না। সৃষ্টিকর্তা আর কখনও যেন আমাকে তোর সামনাসামনি না করেন।

আমীন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।