আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শবে বরাত-এর রাতে ইবাদত-বন্দেগী, দোয়া-মুনাজাতকারীর প্রতি সাত জন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাত প্রকার সুসংবাদের ঘোষণা

‘উকনা’ নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র শবে বরাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, হে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আজকের এই শবে বরাত-এর রাত্রিতে উম্মতদেরকে ইবাদতে নিমগ্ন থাকতে বলুন। কেননা এই রাত্রিতে যাবতীয় মাক্বছুদ পুরা করা হবে। অতঃপর সে মুতাবিক হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওই বরাত-এর সারা রাত্রি ইবাদতে নিমগ্ন থাকতে বললেন এবং হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি উম্মতদেরকে পুনরায় তথা দ্বিতীয়বার এসে বললেন, হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দয়া করে আপনি আপনার উম্মতদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন যে, যারা মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে শিরক করে না এদের সকল নর-নারীকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করে দিবেন। অতঃপর হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, দয়া করে আপনি আপনার মাথা মুবারক উত্তোলন করুন। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাথা মুবারক উত্তোলন করার সাথে সাথেই দেখতে পেলেন যে, জান্নাতের দরজাগুলো অথবা আকাশের দরজাগুলো উন্মুক্ত।

প্রথম আকাশের দরজার উপরে একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি রয়েছেন। তিনি আওয়াজ দিয়ে বলছেন, ওই ব্যক্তির জন্য সুসংবাদ, যিনি এই অর্ধ শা’বানের রাত্রিতে তথা বরাত-এর রাত্রিতে রুকু করেছেন। অতঃপর দ্বিতীয় আকাশের দরজায় অপর একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি রয়েছেন তিনিও উচ্চস্বরে বলছেন, ওই ব্যক্তির জন্য সুসংবাদ, যিনি বরাত-এর রাত্রিতে সিজদায় রত ছিলেন। এইরূপ তৃতীয় আকাশের দরজায় একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম রয়েছেন তিনিও উচ্চ আওয়াজে বলতে থাকেন, ওই ব্যক্তির জন্য সূসংবাদ, যিনি এই বরাত-এর রাত্রিতে মানুষের জন্যে দোয়া করে থাকেন। অনুরূপভাবে চতুর্থ আকাশের দরজায় একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি আওয়াজ দিয়ে বলতে থাকেন ওই ব্যক্তির জন্য সুসংবাদ, যিনি এই বরাত-এর রাত্রিতে মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়ে কেঁদেছেন।

পঞ্চম আকাশের দরজায়ও একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি উচ্চ আওয়াজে বলতে থাকেন ওই ব্যক্তির জন্যে সুসংবাদ, যিনি এ রাত্রিতে ভালো কাজে নিয়োজিত ছিলেন। অনুরূপভাবে ষষ্ঠ আকাশের দরজায় একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি এ মর্মে আওয়াজ করে বলেন, এমন কোনো ব্যক্তি কি আছেন, যিনি সত্যিকার প্রার্থী? তিনি যা কিছু কামনা করবেন এ রাতে তাই পাবেন। তদ্রুপ সপ্তম আকাশের দরজায় একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি এ বলে চিৎকার করে থাকেন যে, এমন কোনো পাপী আছে কি? ক্ষমা প্রার্থনা করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ক্ষমা করে দিবেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এ সমস্ত দরজাগুলো কতক্ষণ পর্যন্ত খোলা থাকবে? তিনি উত্তরে বললেন, ছুবহে ছাদিক পর্যন্ত খোলা থাকবে। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “এই বরাত-এর রাত্রিতে মহান আল্লাহ পাক তিনি বনী কালব গোত্রের বকরীর পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক লোককে ক্ষমা করে থাকেন।

সুবহানাল্লাহ!  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৪৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।