আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

না গৃহী না সন্ন্যাসী

sorry vai আমি গৃহের মাঝেই ছিলাম, টলমলে শৈশব আর ঝলমলে কৈশোর জুড়ে আমি গৃহের মাঝেই ছিলাম। হঠাত একদিন একটা মাধুদিকে দেখে বুকের নাটাই টন করে উঠল, আমার শুন্যচারি ঘুড়িটা নেমে এলো মাধুদির ঠোট ও চিবুকে। আমি আহত হলাম আমি বিক্ষত হলাম প্রেম ও সৌন্দর্যে। আমি টের পেলাম যে এইমাত্র আমি যৌবনের প্রথম কদম মাড়ালাম মাধুদির হাহাকার ভরা সুন্দরে। আমি ঠিক তারপরই একটা চাদকে দেখে প্রতিজ্ঞা করলাম ছেড়ে যাব ঘর কেবল এ জোসনার লাগি।

আমার অন্তর্লোকে জন্ম নিল এক প্রলয়ংকারী সন্ন্যাস মাধুদি যার প্রসবিণী। এরপর মাধুদি চলে যায়, ঢেউয়ের মত নারীরা ভেঙে যায় কূল। আমি কেবল বিহবল জোসনায় অর্থ খুজি প্রেম ও সুন্দরের। আমি একটা দপদপে মোমবাতিরও প্রাণ খুজতে থাকি। আমি একঝাক উইপোকার ভেতরে হাতড়ে বেড়াই আমার আজন্ম জিজ্ঞাসার নিবৃত্তি।

আমি ঘর বেধেও কি উল্লাসে ভেঙে দিতে চাই নিয়তি। আমি হৃদয়কে ফাকি দিয়ে কেমন ক্রমশ ক্ষয়ে যেতে ধরি। আমি প্রতি প্রাত:রাশ এ ছুটে যেতে চাই ব্রহ্মপুত্রের যথরে যেখানে আমার আগবেলার ডুব সাতার। আমি রমণীকে তুলা করে শুন্যে ছুড়ি, আমি নবজাতককে ধিক্কার দিই জন্মের জন্যে, আমি আগুণকে নেভাতে যাই অগ্নিশিখা দিয়ে। আমার তাপানূকূল যন্ত্র, আমার মখমল শয্যা, আমার টলটলে শাওয়ার, আমার জামদানী নারি, আমার ফুরফুরে সাফল্য, আমাকে গলা চেপে ধরে গিলাতে চায় সভ্যতা।

আমি আপন মনে আপন বস্ত্র হরণ করে হঠাত উন্মাদ ছুটি চাদ কিংবা ক্ষান্ত বর্ষণ পানে। আমি নগ্ন উদাম হয়ে চিতকার করি চন্দ্রাহত রাতের নির্জনতা ভাঙতে। আমি আমার অশ্রুর হিসেব চাই জোস্না ও আধারের কাছে। আমি পাই পাই হিসেব চাই আমার প্রত্যেকটা ঘুণে খা্ওয়া স্নায়ু কোষের। আমি ধিক্কার দেই আমারি আমাকে।

আমি তুমুল বর্ষণ শেষে ফিরে আসি আপন গৃহে, যেখানে একটি নারি আমার অপেক্ষা করে, যদিও আমি তাকে কখনই বলিনি এমন আকূল অপেক্ষার কথা। যেখানে একটা শিশু বর্ণমালার বই হাতে ছুটে আসে কারাগারের মত দুবাহু বাড়িয়ে। আমি চিতকার করে পেছনে তাকাই। না পেছনে মায়া আর সামনে ত্রাস। মাঝখানে আমি, আমি গৃহী নাকি সন্ন্যাসী? উত্তর পাইনা আর।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।