আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতীয় জাহাজের মাশুল লাগবে না : চূড়ান্ত চুক্তি এক সপ্তাহের মধ্যে

আলো অন্ধকারে যাই... বাংলাদেশের উপকূলে নৌ-চলাচলের অবারিত সুযোগ পেল ভারত। এ জন্য ভারতকে কোনোরকম বাড়তি ফি দিতে হবে না। যদিও এখন তারা ফি দিয়ে চলাচল করে। গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড’ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ও ভারতের সচিব পর্যায়ের দু’দিনের বৈঠকে এ বিষয়ে একটি সম্মতিপত্র সই হয়েছে। সম্মতিপত্রে বাংলাদেশের পক্ষে নৌ-সচিব আবদুল মান্নান হাওলাদার ও ভারতের পক্ষে সে দেশের নৌ-সচিব প্রদীপ কুমার সিনহা সই করেন।

এ সম্মতিপত্রের ওপর ভিত্তি করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি চুক্তি সই হবে। এদিকে বিদ্যমান প্রটোকল সংশোধন এবং উপকূলীয় জাহাজ চলাচলের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে উভয় দেশের স্ট্যান্ডিং কমিটি আগামী তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে। তারই ভিত্তিতে পরে প্রটোকল সংশোধিত আকারে সই হবে। সম্মতিপত্র সইয়ের পর নৌ-পরিবহন সচিব আবদুল মান্নান হাওলাদার জানান, যে কোনো সমুদ্রগামী আন্তর্জাতিক জাহাজ বাংলাদেশের উপকূলে প্রবেশ করলে বাড়তি ফি দিতে হয়। কিন্তু ভারতের যেসব জাহাজ বাংলাদেশে আসবে, সেগুলো সমুদ্রগামী নয় এবং জাহাজগুলো শুধু উপকূল ব্যবহার করে বাংলাদেশেই আসবে।

এ জন্য তাদের বাড়তি কোনো ফি দিতে হবে না। নৌ-সচিব জানান, নৌ-প্রটোকলের মেয়াদ ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নৌ-প্রটোকলের আওতায় ভারত নৌপথ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশকে ১০ কোটি টাকা দেবে। এ ছাড়া বৈঠকে অন্য যেসব প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় তা হচ্ছে-ট্রানজিটের জন্য শুল্কের প্রশাসনিক চার্জ, বাঙ্কারিং সুযোগ-সুবিধা এবং আখাউড়া ও আগরতলা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি ট্রাক ও ট্রেলারের মাধ্যমে ট্রানজিট মালামাল যাওয়া, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিশাখাপট্টম, পারের দ্বীপ ও হলদিয়াসহ ভারতের উপকূলবর্তী অন্যান্য বন্দরে উপকূলীয় জাহাজ আসা-যাওয়ার প্রস্তাব। বৈঠকে ভারতের সব বাঙ্কারিং এবং মালামাল ওঠানামা বন্দরে (পোর্ট অব কল) বাংলাদেশি জাহাজের ক্রুদের ল্যান্ডিং পারমিশন দেওয়ার সম্মতি প্রদান, নৌপথে পাইরেসি, ডিজিটাল ভেসেল ট্রাকিং সিস্টেম ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রস্তাব, ভারতের করিমগঞ্জ ‘পোর্ট অব কল’ বহাল রেখে বদরপুরকে ‘পোর্ট অব কল’ হিসেবে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ।

এখন থেকে বাংলাদেশে মালবাহী ভেসেল সীমান্ত থেকে আরও দূরে আসামের বদরপুরে ভিড়তে পারবে। আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনালে ভারতীয় টাকায় ফিজিবিলিটি স্টাডি করার প্রস্তাবে বৈঠকে সম্মতি প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ভারতীয় অনুদানে আশুগঞ্জে টার্মিনাল নির্মাণ হতে পারে বলেও ভারতীয় পক্ষ আশ্বাস দিয়েছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা সকালের খবরকে জানান, নৌ-প্রটোকলের এই বৈঠকে ট্রানজিটের আদলে ট্রান্সশিপমেন্ট এবং চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ভারতের ব্যবহারের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে ভারতীয় পক্ষ। এ ছাড়া ত্রিপুরার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য আশুগঞ্জকে ব্যবহার করে পরে সড়কপথ ও রেলপথে মালামাল পরিবহনের প্রস্তাবও দিয়েছে ভারত, যা বিবেচনায় রয়েছে।

এরই অংশ হিসেবে ঢাকা সফররত ভারতের একজন কর্মকর্তা গতকাল দুপুরে আশুগঞ্জ ঘুরে আসেন। ভারতীয় নৌ-সচিব পি কে সিনহার নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ভারতীয় অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল কর্তৃপক্ষের (আইডব্লিউএআই) চেয়ারপারসন ভূপিন্দর প্রসাদ, ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, প্রথম সচিব বি শ্যাম, রেলওয়ের উপদেষ্টা চন্দ্রিমা রায় প্রমুখ। অন্যদিকে বাংলাদেশের নৌ-সচিবের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বিআইডবিব্লউটিএর চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দোহা প্রমুখ। সূত্র: Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.