আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশকে বাশ দেওনের পিছনে কাঠমোল্লাদের ভূমিকা: ব্লগে ব্লগে প্রমান খুজে বের করা!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই! ধর্ম কর্মের প্রতি আমাগো আলাদা একটা টান আছে। কুটিকাল থিকাই নামাজ রোজা ওয়াজ শুইনা বড় হইছি। বাংলাদেশ সরকারের দেয়া ইষলাম ধর্ম আর কাঠমোল্লাগো তৈরী করা মাদ্রাসার বেতের বাড়ি খাওয়া আমরা ইসলাম শিখি। বেতের বাড়ি স্কুলেও খাইছি কিন্তু যখন মাদ্রাসা গুলানে উকি দিয়া দেখতাম তখন নিজেরে অনেক ছুটো মনে হইতো।

কারন মাদ্রাসা পড়ুয়া বন্ধু বান্ধবগো শিনা উচাইয়া কইবার পারতাম না," দোস্ত, আমাগো যা পিটায় না!!! চিন্তা করবার পারবি না! আজকাও অনেক পিটনা খাইছি, অখন তর পকেট থিকা ৫ টাকা লওনের কারনে পিটাইস না, পরে দিয়া দিমুনে!" যাই হোউক, অমানবিক পিটানির কারনে হোউক বা অন্যকিছুর কারনেই হোউক, আমাগো মনে আল্লাহ খোদার ভয় ঢুইকা যায়। দেশ ছাড়নের আগে একবার মাওয়া ঘাটে থাকা মসজিদে নামাজ পড়তে যাই। কাতার হইছিলো একখান আর বেশীর ভাগই পুচকা পুলাপানের দল। হাতে একখান ইরিকসনের বই আছিলো। তো হুজুর সাব জামাতে রুকুতে যাওনের সময় হঠাৎ মনে হইলো আমার সামনে কিছু ঘইটা গেলো।

মাগার হুজুর "সামিআল্লাহুলিমান হামিদা" কয়না। আমি তো সমানে রুকুর দোয়া বিজোড় বার পড়নের ট্রাইন লইতাছি। মাগার মনে হইলো আমার আশে পাশে কি জানি হইলো। আমার ভ্রু কুচকানির আগেই হঠাৎ দেখলাম আমার পিছে কি জানি লাগলো, গন্ধও ছুটলো!। নামাজ ভাইঙ্গা তাকাইয়া দেখি হুজুর দাবড়ানি দিতাছে পোলাপানগো, তাগো হাতে ময়লা, আমার আশে পাশের সবাই মুখ খিচা দাড়ায় আছে! আমার পরে জামা চেন্জ্ঞ করতে হয়।

পোলাপানের দিলে ভয় ডর নাই! যাই হোউক, আমাগো দেশ ছোট একখান দেশ। আমার কাছে মনে হয় সকল সমস্যার মূলে আছে জন সংখ্যা। কারন আপনে ধরেন ইউনিতে গেলেন। যেই সাবজেক্টে পড়তেছেন সেই সাবজেক্টের টীচার পাওন মুশকিল। যা পড়ায় তাও আবার ভালো কইরা পড়ায় না, ভালো কইরা পড়াইলেও মনে হয় এই সাবজেক্টের ফেসভ্যালু বাজারে নাই।

সময় আর টাকার দুইটারই অপচয়। অখন ইউনি কি করবা? তার ফান্ড নাই, সরকার ফান্ড দিতে পারে না। সরকার ফান্ড দিবো কই থিকা? সরকারী প্রতিষ্ঠান লসের খাতায়। কারন দুর্নীতি। দুর্নীতি এরা করবো না কেন? চালের কেজী হইছে ৪০ টাকা ডিমের হালিও ৪০ টাকা, দুধের লিটার মনে হয় ৬০ টাকা।

বাসা ভাড়া পাগলা ঘোড়ার মতো বাড়তেছে। মানুষের ন্যুনতম বাচতে হইলেও ঘুষ খাইতে হইবো। তার উপর সন্তানের লেখা পড়া। আমাদের দেশে অখন দুর্নীতি না থাকলেও সমস্যা তিরোহিত হইবো না, কারন এত সম্পদ নাই। বাইরে থিকা সাহায্য আনতেই হইবো।

বাইরেও একই অবস্হা, রিসেশন বা অর্থনৈতিক মন্দা! কারন প্রোডাকশনের চাইতে ভোক্তা বেশী। আবার ম্যালথাসের সূত্রানুসারে বাজারে সাপ্লাই থাকলে অথবা প্রোডাকশন বেশী হইলে তার দাম কমে। বাংলাদেশে মোবাইলের দাম আর পার মিনিটে কথা কওনের রেট ছাড়া কোনো কিছুর দাম কমে না। সবাই মজুতদারী করে। নৈতিকতা বোধ হারায় গেছে, কারন একটাই সেটা হইলো জনসংখ্যা! জন সংখ্য এত বাড়লো কেমনে? পাকিস্তানী আমলে হানাদার সরকার বাংলাদেশে কনডোম বা জন্ম নিয়ন্ত্রনের জন্য এসব মালামালের সাপ্লাই দেয়া হয়।

মুজিব তার নেতাগীরি ফলানির লিগা বইলা বসলো,"বাঙ্গালদের সংখ্যা কমাইতেছে, এইটা ষড়যন্ত্র!" এইটা আমাগো বাপ দাদাগো মুখে শুনা। জানি না সত্য কি মিথ্যা! বাংলাদেশের হুজুরগ নের জীহাদী ফিলিস্তিনের বিষয়ে অনেক আবেগী। আমাগো দেশের বাশ দিয়া যায় মাগার তারা কান্দে ইরানের উপর আমেরিকার চাপ, ফিলি্সতিনের উপর ইসরাইল তথা বিশ্ববাসী কেন দেখে না ভালা কইরা সেইটা নিয়া তাগো আফসোসের বালাই নাই। মাগার দেশে কত অনাহারে লোক মরে, পেটে খাওন নাই , ভালো কাম নাই, বছর বছর সন্তান পয়দা করে সেইটা নিয়া তাগো মাথাব্যাথা নাই! দেশের যেসব জিনিস নিয়া এখনও তাদের মাথা ব্যাথা সেগুলা হইলো! ১) জন্ম নিয়ন্ত্রন অফিসে যারা কাম করে তারা মানুষ না, তারা বেশ্যাদের চেয়েও খারাপ! ২) নারী আইন হইলে দেশ ইহুদীদের কবলে পড়ে যাবে! ৩) আন্তঃ ধর্ম বিবাহ আইন হইলে তো আর কথাই নাই! ৪) এই সরকার ইসলাম বিরোধী কথা কয়, কারন ফতোয়া দেয়াটা তারা বেআইনী ঘোষনা করতে চায় (যদিও দেশে ইসলামী আইন নাই!) ৫) ঢাকা ইউনি বন্ধ কইরা দেয়া হোউক, কারন ঐখানে মাদ্রাসার পোলাপান লওয়া হয় না! তারা অবশ্য একটা ব্যাপারে খুব সচেতন। তারা প্রত্যেকেই মাইয়া বিষয়ে এক্সপার্ট।

কবে তার কি কি হবে, শরীরে কি কি কাহিনী, বিয়ের পর কেমনে কি করতে হবে ইত্যাদী সবকিছুতে তারা মোছে তা দেয়া ওস্তাদ! তাদেরকে প্রায় কখনোই বাল্যবিবাহর বিরুদ্ধে কথা বলতে শোনা যায় নাই। তারা হযরত আয়েশা রঃ এর সাথে নবীজী (সাঃ) এর বিয়ের উছিলায় পিচকি পিচকি মাইয়াগো সাথে বুড়া বুড়া পোলাপান গো বিয়া দিছে। অখনো দিতাছে। ব্লগে এরকম একজনকে সেরকম একটা পোস্ট দিতে। আবু উযাইর নামক এক মোল্লা কোনো বাল্যবিবাহের সমর্থনে পোস্ট দেয়।

পড়ে দেখেন, রুচীতে বাধে কিনা একটু হাত তোলেন আপনারা! রাসুল সাঃ ও আয়িশার বিয়ে ও বাল্য বিবাহ প্রসঙ্গ তার সমর্থনে অনেকেই পোস্ট দেয়। অনেক কোটেশন দেয় হাদীসের যেগুলার বেশীভাগ জাল হাদীস আর সেগুলার মধ্যে এমন লোকের কোটেশন দেয় যেগুলো মূলত হাদীসের মধ্যে পড়ে না। বিতর্কিত ফিকহ যেগুলা যুগের পর যুগ বিজ্ঞান বিবর্জিত হয়ে সাইকো কাঠ মোল্লাদের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে যেগুলা পরে ফতোয়া হিসেবে আমাদের জীবনে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনেছে, সেগুলার কথা নাই বললাম। আবার এইসব পোস্টের সমর্থনে অনেক ধার্মিক বোলগার পোস্টও দেয়! ব্যাটারা যে পেডোফাইল সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই! শিক্ষিত মানুষ হইয়া এমনকি মাদ্রাসাতে পড়েনি এমন পোলাপান আবার এটাও বলে যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের মালপাতী নাকি ইহুদিদের ষড়যন্ত্র। দেখেন এই পোস্টের লিংক দেখেন।

জন্ম নিয়ন্ত্রণের পক্ষে যারা কথা বলে....করা হবে দেশদ্রোহিতা অবশ্য আমি এর কথা কি বলবো, সেদিন ধ্বজভঙ্গ ব্লগ বিডিনিউজে এক অতীব জ্ঞানী বললো জনসংখ্যা নাকি একটা দেশের উন্নতির পিছনে অন্তরায় হতে পারে না। দুঃখ হয় আমাদের শিক্ষাব্যাবস্হার দৈন দশা দেখে! এককালে একজন ভালো ব্লগার ছিলেন যারা সমুদ্রের জীবনী নিয়া পোস্টগুলান খুবই জনপ্রিয় ছিলো। সে ধার্মিকও ছিলেন এবং সে অনেকের প্রিয় বোলগার হিসেবে বেশ সুনামও করেছিলেন। হঠাৎ একটা পোস্ট দিলেন যার সারমর্ম হইলো ফাস্ট ফুড আর বেশ্যবৃত্তী করা নাকি এক কথা এটা নাকি ইসলামেই বলা আছে! কি রকম সাইকো এই লোক! এরকম দৈনিক অসংখ্য সাইকো কাঠমোল্লাদের কারনে কিছু বখে যাওয়া লোক ধার্মিকতা আর নাস্তিকতার নাম করে সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। কি হীন এসব! আর আমাদের কোমড়টা যে সম্মিলিত ভাবে এরাই ভেঙ্গেছে সে দায় এদের উপর চাপিয়েও পার পাওয়া যাবে না! আফসোস! পরবর্তীতে সেকুলারিজমের নামে কিছু কুকুরের কুকর্ম যার প্রমান ব্লগেই আছে সেটার উপর লেখুম! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.