আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারেক-মামুনের দুর্নীতির খবর- আর কতো???

পত্রিকার পাতা খুললেই তারেক মামুন কোকো খালেদার দুর্নীতির খবর পাই। দেশে ক্ষমতায় থাকা একটি পরিবার এতটা দুর্নীতি করতে পারে যা ভাবনার বাইরে। আজকে যায়যায়দিনে বেরিয়েছে- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অর্থপাচার মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানির চেয়ারপারসন খাদিজা ইসলাম পাচার হওয়া টাকা মামুনকে কনসালটেন্সি ফি হিসেবে প্রদান করেছিলেন মর্মে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকার তিন নাম্বার বিশেষ জজ মো. মোজাম্মেল হোসেইনের আদালতে এ সাক্ষ্য প্রদান করেন খাদিজা। সাক্ষ্যগ্রহণের পর আসামি মামুনের পক্ষে সাক্ষীকে জেরা করতে সময় চাওয়া হলে বিচারক তা মঞ্জুর করে আগামী ১৯ জুলাই জেরার দিন ধার্য করেন।

সাক্ষ্যগ্রহণকালে আসামি মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। গুলশান থানার ৩৮(৫)০৭ নাম্বার মামলার ওপর ভিত্তি করেই তারেক-মামুনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা করে দুদক। মামলার বাদী খাদিজা ইসলাম অভিযোগ করেছিলেন, টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় একটি ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কার্যাদেশ পাইয়ে দিতে ৫ কোটি টাকা চাঁদা নিয়েছেন মামুন। ওই টাকা খাদিজা ইসলাম তার অ্যাকাউন্ট থেকে মামুনের সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন তিনি। খাদিজা ইসলামের গুলশান থানার ওই মামলায় অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক এ অর্থপাচার মামলা দায়ের করে।

কিন্তু খাদিজা ইসলাম তার জবানবন্দীতে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কার্যাদেশ পাইয়ে দিতে মামুনকে ওই টাকা কনসালটেন্সি ফি হিসেবে দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। সাক্ষ্যদানকালেও তিনি বলেন, টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের দরপত্রে চীনের হারবিন কোম্পানি তার মালিকানাধীন নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয়। কিন্তু কার্যাদেশের জন্য তিনি প্রথমে পিডবিস্নউডি ও পরে মন্ত্রণালয়ে ৮ মাস ধরে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হন। তৎকালীন মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর পিএস তাকে পরামর্শ দেন, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। প্রথমে মামুন অপারগতা প্রকাশ করেন।

কিন্তু আবার যোগাযোগ করলে মামুন হারবিন কোম্পানিকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। খাদিজা ইসলাম আরো বলেন, মামুনের সহযোগিতায় মাত্র দুই সপ্তাহেই কার্যাদেশ পায় কোম্পানিটি। তাই হারবিন কোম্পানিকে বলেন, মামুনকে একটি কনসালটেন্সি ফি দিতে। সে মোতাবেক হারবিন কোম্পানি কনসালটেন্সি ফি বাবদ তার (খাদিজা ইসলাম) সিঙ্গাপুরের ওসিবিসি অ্যাকাউন্টে ৭ লাখ ৫০ হাজার ইউএস ডলার পাঠায় মামুনকে দেয়ার জন্য। ওই ডলারই পরে ২০০৩ সালের ১ আগস্ট মামুনের সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন তিনি।

' মামলাটিতে এ পর্যন্ত ৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেসটিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেটি, মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মামলার নিবন্ধন কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক হোসনে আরা বেগম ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক বর্তমানে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর আলীমুজ্জামান। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।