আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যৌনরোগ!!!! এটা সম্পর্কে আপনার জানা উচিৎ।

সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকসন হচ্ছে এক ধরণের রোগ যাতে আপনি সেক্স করার সময় আক্রান্ত হতে পারেন। এই রোগগুলো হচ্ছে ক্লামিডিয়া, গনরিয়া, হার্পিস, ওয়ার্টস, এইচআইভি এবং লাইচ। এদের মধ্যে সব রোগ শুধু সেক্স করার সময় হয় না। আপনার সঙ্গীর শরীর স্পর্শ করার মাধ্যমেও এসব রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। ক্লামিডিয়া: এ রোগে আক্রান্ত হলে আপনি প্রসব করার সময় মনে হবে আপনি উত্তপ্ত পানি আপনার প্রস্রাবের নালি দিয়ে বের হচ্ছে।

কিছু মেয়েদের ক্ষেত্রে অন্যরকমও ঘটতে পারে। যেমন তাদের vagina র মধ্য দিয়ে হলুদাভ নির্যাস বের হতে পারে অথবা vaginaর চারিপাশে বেশ চুলকাতে পারে। কিছু পুরুষ তাদের অন্ডকোষে ব্যথা সহ আরও অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন। তারা সেক্স করার সময় যন্ত্রণা অনুভব করবেন। এটা যেমন হতে পারে---পুড়ে যাওয়া অনুভূতি।

একবার আক্রন্ত হলে চিকিৎসা না হওয়া পর্যন্ত আপনি এ রোগে ভুগতে থাকবেন। মনে রাখবেন--এ রোগের চিকিৎসা করতে দেরি করলে আপনি বিপদে পড়বেন। এমনকি আপনি সন্তান প্রজননন ক্ষমতাও হারাতে পারেন। চিকিৎসা দেরিতে নিলে এটা থেকে আপনি পুরোপুরি আরোগ্য নাও হতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক জটিলতা যা ঘটতে পারে আপনি যদি কিকিৎসা তাড়াতাড়ি না করান।

যার সঙ্গে আপনি সেক্স করবেন। তাকে দেখে আপনি বুঝতে পারবেননা উনি কোন যৌনরোগে আক্রান্ত কিনা। সুতরাং প্রতিবার সেক্স করার সময় কনডম ব্যাবহার করেন। কনডম হয়তো আপনাকে ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা দিবে না। তবে ঝুঁকি কমাবে।

ক্রাবসঃ এ রোগ য়ৌনাঙ্গের চারিধারে দেখা যাবে। এতে চুলকানি হবে। এর চিকিৎসা না করালে এ রোগের তীব্রতা আস্তে আস্তে বাড়তেই থাকবে। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সেক্স করলে কিংবা ঘুমালে এ রোগে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন। এ রোগে আক্রান্ত হলে আপনি সরাসরি স্থানীয় ফার্মেসিতে গিয়ে এন্টিক্রাব লোশন কিনবেন।

অথবা কিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেন। অবশ্যই একজন যৌন বিষয়ক চিকিৎসক। অবশ্যই আপনি অন্যান্য যৌনরোগে আক্রান্ত কিনা এটাও পরীক্ষা করাবেন। কারণ অনেকে অনেক যৌন রোগে আক্রান্ত থাকে কিন্তু এসব রোগ ধরা পড়ে অনেক পরে। এতে রোগের তীব্রতা বেড়ে গিয়ে অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।

সিসটাইটিস (Cystitis): এটা এমন একটা রোগ যে এতে আপনার মনে হবে আপনি আগুন প্রস্রাব করতে যাচ্ছেন। যদিও প্রস্রাব হয় এটা হবে---লালচে ও অথবা cloudy (রক্তসহ)। এরোগ মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি হয় কারণ তাদের প্রস্রাবের থলি একটু খাটো। এজন্য ক্ষতও দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এটা ঘটে ব্যা্কটেরিয়াজনিত জীবানু, এলার্জি, অথবা সেক্স করার সময় বেশি ঘষা লেগে অথবা মাস্টারবেশন করে।

এছাড়া অন্য কারণও থাকতে পারে। এধরণের কোন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত য়ৌনকিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করুন। এরোগ আরোগ্যময়। তবে যত দেরি করবেন ততই বেশি সমস্যায় পড়বেন। জেনিটাল হার্পিসঃ এটি একটা ভাইরাসজনিত রোগ।

এ রোগে আক্রান্ত হবার পর কোন লক্ষণ এক সপ্তাহ কিংবা কয়েক সপ্তাহ এমনকি মাসখানেক পর দেখা যেতে পারে। এরোগে আক্রান্ত হলে--অপাপনি অসুস্থ বোধ করবেন, ফ্লু ধরণের অসুস্থতা, মাথা ব্যথাও অন্যান্য ব্যথা। যৌনাঙ্গ আপনি সুড়সুড়ি অথবা ক্ষত দেখা যাবে। যৌনাঙ্গের চারপাশে ফোসকা পড়তে পারে। প্রস্রাবের সময়ও জ্বালাপোড়া হতে পারে।

এইটা অত্যন্ত চালাক ভাইরাস। এ ভাইরাস কনডমও প্রতিরোধ করতে পারে না। আপনি চুমু, ক্ষতস্থান স্পর্শ করার মধ্য দিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। আরেক ধরণের হার্পিস ভাইরাস আছে--এটা আপনার মুখে চোখে কিংবা শরীরের বিভিন্ন অংশে দেখা দিবে। এতেও ফোসকা ও অন্যান্য ধরণের লক্ষণ দেখা দিবে।

হার্পিস ভাইরাস বিষয়ে একটা কথা প্রচলিত আছে--ভালবাসা ও হার্পিস এর মধ্যে পার্থক্য কী? ভালবাসা আপনাকে ছেড়ে পালাতে পারে কিন্তু হার্পিস কখনও আপনাকে ছেড়ে যাবে না। জেনিটাল ওয়ার্টসঃ গোপনাঙ্গে এসব ওয়ার্টস হয়। এগুলো দেখতে খুবই ভয়ানক। জেনিটাল ওয়ার্টস আছে এধরণের ব্যক্তির সঙ্গে সেক্স করলে এ রোগ হয়। এ রোগ যে ভাইরাসের মাদ্যমে ছড়ায় তার নাম 'Human Papilloma Virus'. এ ভাইরাসের সংখ্যা মোট ৪০টি।

এ রোগের জিকিৎসা খুব জটিল। এ রোগ ভাল না হওয়ার ও সম্ভাবনা রয়েছে। গনরিয়াঃ এটি একটি ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ। এ রোগের লক্ষণ এক থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে কয়েকমাসও লেগে যেতে পারে।

প্রায় ১০% পুরুষ ও ৫০% নারীর ক্ষেত্রে কোন লক্ষণই দেখা যায় না। গণরিয়া আক্রান্ত নারীর লক্ষণ:-র দিয়ে সবুজাভ বা পানসে নির্যাস বের হয়। প্রস্রাবের সময় ব্যথা হয়। পেটের নিম্নভাগে ব্যথা হয়। অনিয়মিত রক্তক্ষরণ।

গনরিয়া আক্রানত পুরুষের লক্ষণঃ পুরুষঙ্গের মধ্যদিয়ে নির্যাস বের হয়। প্রস্রাবের সময় ব্যথা। অন্ডকোষে ব্যথা। পুরুষঙ্গের পুরোভাগে Inflammation। এ রোগের চিকিৎসা না করালে আপনি প্রজনন ক্ষমতা হারাতে পারেন।

গণরিয়া রোগে আক্রানত এমন কারো সঙ্গে মুখ বা যৌনাঙ্গ দিয়ে সেক্স করলে কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষত স্থান আপনার কোন সংবেদনশীল জায়গার সংস্পর্শেও এ রোগ হতে পারে। থ্রাস: এটা অভ্যন্তর প্রদাহঘটিত রোগ। এটা ছত্রাকের শাধ্যমে ঘটে থাকে। এ রোগের জন্য এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সেক্স না করলেও হতে পারে। এটা সাধারণত এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবনের ফলে penis, vagina, mouth এ থাক কিছু ভাল ব্যাকেটটেরিয়া মারা যায়।

এতে এসব জায়গায় ব্যপাক চুলকানি হয়। পরামর্শঃ কোন অপরিচিত পুরুষ বা নারীর সঙ্গে সেক্স করার পর আপনি কি কোন শারীরিক অস্বস্তি বোধ করছেন? আপনি কি কোন লক্ষণ আপনার শরীরে দেখতে পারছেন? যদি এমনটি হয় নিকটস্থ কোন যৌন চিকিৎসকের সঙ্গে আজই যোগাযোগ করুন। একটুও দেরি করবেন না। আপনি হয়তো কোন না কোন রোগে আক্রান্ত। সাধারণত বহুগামী নারী বা পুরুষের সঙ্গে সেক্স করলে আপনি যৌন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

এছাড়াও আরো অনেক কারণে আপনি যৌনরোগে আক্রান্ত হতে পারেন।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।